ব্যাকরণ

সমস্ত ভাষার ক্ষেত্রেই ব্যাকরণের জ্ঞান থাকা জরুরী। সংস্কৃত ভাষার ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। সংস্কৃত ভাষা জানতে হলে বা অধ্যয়ন করতে হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। www.sanskritruprekha.com ওয়েবসাইটে সংস্কৃত ব্যাকরণ এর প্রতিটি অধ্যায় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আলোচনা করবো।

সংস্কৃত ব্যাকরণ

তার দ্বারা সাধু বা শুদ্ধ শব্দ সাধিত হয় তাই ব্যাকরণ। অর্থাৎ যে শাস্ত্র পাঠ করলে কোন ভাষাকে প্রকৃতি প্রত্যয় প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে বিশুদ্ধভাবে পড়তে, বলতে ও লিখতে পারা যায়, তাকে সেই ভাষার ব্যাকরণ বলে। কাজেই ব্যাকরণকে বলা হয় শুদ্ধ ভাষা শিক্ষা সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান।

সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ বললে, যে ব্যাকরণের সাহায্যে সংস্কৃত ভাষার স্বরূপটি সব দিক দিয়ে আলোচনা করে সম্যক্ রূপে বুঝতে পারা যায় এবং বিশুদ্ধভাবে লিখতে পড়তে ও বলতে পারা যায় সেইরূপ ব্যাকরণ বোঝায়।

1.সংস্কৃত বর্ণমালা 👈
2.বচন👈
3.লিঙ্গ👈
4পদ প্রকরণ👈
5.সংস্কৃত পুরুষ👈
6.ণত্ব বিধান👈ষত্ব বিধান👈
7.সংস্কৃত শব্দরূপ 👈
8.সংস্কৃত ধাতুরূপ👈
9. উদ্দ্যেশ্য ও বিধেয়👈
10. অব্যয়👈
11.শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য👈
12.এককথায় প্রকাশ 👈
13.প্রত্যয় (পরিনিষ্ঠিতরূপ)👈
14.কারক ও বিভক্তি 👈
15.সমাস প্রকরণ👈 (ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয়)👈
16.সন্ধি প্রকরণ👈
17.পরস্মৈপদ 👈আত্মনেপদ বিধান 👈
18.বাচ্যপ্রকরণ 👈বাচ্য পরিবর্তন👈

সংস্কৃত বর্ণমালা

বাগ্ যন্ত্রের বিভিন্ন অংশের বিভিন্নভাবে সঞ্চালনের ফলেই বিভিন্ন প্রকার বাগ্ ধ্বনি উচ্চারিত হয়। এই সকল ধ্বনি কয়েকটি সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা সূচিত হয়ে থাকে। ব্যাকরণ শাস্ত্রে এই সাংকেতিক চিহ্নকে বর্ণ বলা হয়। সংগীতের স্বরলিপি যেমন বিভিন্ন চিহ্ন দ্বারা প্রকাশিত হয়, তেমনি ধ্বনির স্বরলিপি হল বর্ণ। সুতরাং বর্ণই ভাষা সৃষ্টির মূল উপাদান। বর্ণের সমষ্টিকে বলে বর্ণমালা লিপিতে প্রকাশ করার সময় এদের বলা হয় অক্ষর। উচ্চারণের পার্থক্য অনুসারে বর্ণ দুই প্রকার। তথা – স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ।

সংস্কৃত বর্ণমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে Link এ Click করুন।

পদ প্রকরণ

আমরা মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বাক্য ব্যবহার করি। এই বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দকে পদ বলে। অর্থপূর্ণ শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে পদ সৃষ্টি হয়। এই অর্থপূর্ণ পদের সমষ্টিকে বাক্য বলে। যা পদ নয়, তা শাস্ত্রে বা গ্রন্থে ব্যবহৃত হয় না – “নাপদং শাস্ত্রে প্রজুঞ্জীত।”

পদ পাঁচ প্রকার। তথা –

  1. বিশেষ্য পদ,
  2. বিশেষণ পদ,
  3. সর্বনাম পদ,
  4. অব্যয় পদ এবং
  5. ক্রিয়াপদ।

পদ প্রকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে Link এ Click করুন।

শব্দরূপ

প্রাতিপদিকের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত করে নামপদ গঠন করতে হয়। পদকেই বাক্যে ব্যবহার করা হয়, প্রাতিপদিককে নয়।তাই সেই প্রাতিপদিককে পদে পরিণত করার জন্য বিভক্তির প্রয়োগ বিধি জানা প্রয়োজন।

বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম শব্দের উত্তর যে সকল বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাদের বলে শব্দ বিভক্তি বা সুপ্ বিভক্তি। শব্দ বিভক্তি সাতটি। যথা – প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী বিভক্তি। বচন ভেদে শব্দ বিভক্তির রূপ ২১ টি।

সংস্কৃত শব্দরূপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে Link এ Click করুন।

কারক

ক্রিয়ার সঙ্গে অন্যান্য পদের যে মুখ্য বা গৌণ অন্বয় বা সম্বন্ধ থাকে তাকে কারক বলে। “ক্রিয়ান্বয়ি কারকম্।”

সংস্কৃত কারক 👈সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে Link এ Click করুন।

কারক ছয় প্রকার – “ষট্ কারকানি”। যথা –

  1. কর্তৃকারক👈,
  2. কর্মকারক👈,
  3. করণকারক👈,
  4. সম্প্রদানকারক👈,
  5. অপাদানকারক👈 এবং
  6. অধিকরণকারক👈।

কারক-বিভক্তি নির্ণয়👈

সমাস

সম-অস্+ঘঞ্ প্রত্যয় করে সমাস শব্দটি নিষ্পন্ন। তার অর্থ সংক্ষেপ। সমাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে Link এ Click করুন।

“সমাসঃ চতুর্বিধঃ” বলা হলেও, সমাস ছয় প্রকার। যথা –