এখানে আমরা সংস্কৃত প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা করবো। সংস্কৃত ভাষা অধ্যয়ন ও শিক্ষা তথা অনুবাদ শিক্ষার জন্য সংস্কৃত প্রত্যয়ের জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রত্যয়ের যথাযথ ধারণা না থাকলে, সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করা সম্ভব নয়। সংস্কৃত অনুবাদ শিক্ষার জন্য সংস্কৃত প্রত্যয় জানা আবশ্যক। সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর , WBSSC(SLST) পরীক্ষার্থীদের এই ধাতুরূপ কন্ঠস্থ করতে হবে।
সংস্কৃত প্রত্যয়
অন্যান্য ভাষার মতো সংস্কৃত ভাষাতেও প্রকৃতি ও প্রত্যয় যোগে শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। অবশ্য কিছু মৌলিক শব্দও আছে।
যে-কোনো ভাষায় প্রকৃতি ও প্রতায় এই দুইয়ের যোগেই গড়ে ওঠে শব্দসম্ভার। অবশ্য কিছু মৌলিক শব্দও আছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। যাই হোক, সংস্কৃত ভাষাতে প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার, কৃৎ প্রত্যয় এবং তদিত প্রত্যয়। শব্দের সাথে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয় তাদের বলে তথিত প্রত্যয়। আর, ধাতুর সাথে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয় সেগুলি দু ধরনের। প্রথম ধরনের প্রত্যয় হল তি, তস্, অস্তি প্রভৃতি। এগুলি দিয়ে গচ্ছতি, গচ্ছতঃ, গচ্ছক্তি প্রভৃতি সমাপিকা ক্রিয়া পাওয়া যায়। আর, আরেক ধরনের প্রত্যয় হল ক্ত, ক্তবতু, তুমুন্ প্রভৃতি। এই দ্বিতীয় ধরনের প্রত্যয়গুলিকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
প্রত্যয় কাকে বলে
শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যেসকল বর্ণ বা বর্ণ সমষ্ঠি যুক্ত হয়ে যে নতুন নতুন শব্দ গড়ে ওঠে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয়ের সাহায্যেই শব্দ ভান্ডার গড়ে ওঠে।
প্রত্যয় কয় প্রকার
সংস্কৃত ভাষাতে প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার। যথা –
- কৃৎ প্রত্যয় এবং
- তদ্ধিত প্রত্যয়।
কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে
ধাতুর সঙ্গে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে , তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। প্রথম ধরনের প্রত্যয় হল তিঙ্, তস্, অন্তি প্রভৃতি। এগুলি দিয়ে পঠতি, পঠতঃ, পঠন্তি প্রভৃতি সমাপিকা ক্রিয়া পাওয়া যায়। আর, এক ধরনের প্রত্যয় হল ক্ত, ক্তবতু, তুমুন্ প্রভৃতি। এই দ্বিতীয় ধরনের প্রত্যয়গুলিকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। এখানে আমরা সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা করবো।
ধাতোঃ, কৃদতিঙ্ :— সমাপিকা ক্রিয়াবাচক তিঙ্ প্রত্যয় ছাড়া সাক্ষাৎ (directly) ধাতুর পরে যেসব প্রত্যয় হয়, তাদের ‘কৃৎ’ প্রত্যয় বলে। ভূ+যৎ = ভব্য, ভূ+ক্ত = ভূত ইত্যাদি রূপগুলিতে যৎ, ক্ত হল কৃৎ-প্রত্যয়।
কর্তরি কৃৎ :— যেসব স্থলে কর্মবাচ্য প্রভৃতি বিশেষ বাচ্যের উল্লেখ না থাকে, সেইসব ক্ষেত্রে ‘কৃৎ’ প্রত্যয় কর্তৃবাচ্যে হয়—এটাই সাধারণ নিয়ম। যেমন— পচতি যঃ সঃ, এই অর্থে পচ্+ণ্বুল = পাচক শব্দ হয়েছে। এখানে পাচক শব্দের অর্থ হল, যে পাক করে অর্থাৎ পাককর্তা।
লঃ কর্মণি চ ভাবে চাকর্মকেভ্যঃ, তয়োরেব কৃত্য-ক্তখলর্থাঃ :— ধাতুর পরে ‘কৃত্য’ নামক প্ৰত্যয়গুলি, ক্ত-প্রত্যয় ও খলর্থ অর্থাৎ কৃচ্ছ- অকৃচ্ছার্থক প্রত্যয় কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে হয়। যেমন—
- ত্বয়া (তব) পুস্তকং পঠনীয়ম্,
- তেন কর্ম কৃতম্,
- শিশুনা রুদিতম্,
- বালকেন হসিতম্,
- সুকরম্ ইদং ময়া (সু-কৃ+খল্ = সুকর)।
তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে
তদ্ধিতাঃ :— শব্দের উত্তর যে সকল প্রত্যয় শিষ্টপ্রয়োগ অনুসারে প্রযুক্ত হয়, তাদেরকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। শিষ্টপ্রয়োগ অতিক্রম করে ইহারা প্রযুক্ত হয় না। যথা, অতঃ ইঞ্—এইরূপ সূত্র থাকলেও যাবতীয় অকারান্ত শব্দের উত্তর ইঞ্ হয় না, যাদের সম্বন্ধে শিষ্টপ্রয়োগ আছে, কেবল তাদের উত্তরই ইহা বিহিত হয়।
অপত্য, দেবতা, হিত, ভাব, কর্ম, সাধু প্রভৃতি নানাবিধ অর্থে তদ্ধিত প্রত্যয় প্রযুক্ত হয়। এই সকল অর্থকে তদ্ধিতার্থ এবং এই সকল প্রত্যয়জাত নতুন শব্দকে তদ্ধিতান্ত শব্দ বা প্রাতিপদিক বলে।
অনুরূপ পাঠ
সংস্কৃত প্রত্যয়, একইধরণের বিষয় জানতে নিম্নের LINK এ CLICK করুন ।
সংস্কৃত প্রত্যয় থেকে জিজ্ঞাস্য
1) প্রত্যয় কয় প্রকার?
2) প্রত্যয়ের দ্বারা কী সাধিত হয়?
3) কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে?
ধন্যবাদ
আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈