সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার্থী ও প্রথাগত শিক্ষার্থীদের নিকট কারক-বিভক্তির জ্ঞান থাকা একান্ত আবশ্যক। সংস্কৃত কারক-বিভক্তি র জ্ঞান ছাড়া সঠিক বাক্য প্রয়োগ সম্ভব নয়। সংস্কৃত অনুবাদ শিক্ষার জন্য কারক বিভক্তি জানা আবশ্যক। সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর , WBSSC(SLST) পরীক্ষার্থীদের এই কারক বিভক্তি কন্ঠস্থ করতে হবে।
কারক কাকে বলে
‘করোতি (ক্রিয়াং নির্বর্তয়তি) ইতি কারকম্ অর্থাৎ যে কার্য করে, সেই কারক, এরূপ ব্যুৎপত্তি করে কারক শব্দটি পাওয়া যায়। কিন্তু ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ধরলে একমাত্র কর্তাই কারক হতে পারে, কেননা প্রকৃতপক্ষে কর্তাই কার্য সম্পাদন করে। তাই কারকের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে— ক্রিয়ান্বয়ি কারকম্ অর্থাৎ কার্যসাধন ব্যাপারে ক্রিয়ার সঙ্গে যার মুখ্য বা গৌণ অন্বয় বা সম্বন্ধ আছে, তাকে কারক বলে।
বিশেষ বিশেষ বিভক্তির সাহায্যেই বিভিন্ন কারকের অর্থ প্রকাশিত হয়। যথা— নৃপঃ তীর্থক্ষেত্রে কোষাৎ স্বহস্তেন দরিদ্রায় ধনং দদাতি ।
কঃ দদাতি — নৃপঃ। | কস্মৈ দদাতি — দরিদ্রায় । |
কিং দদাতি — ধনম্ । | কুতঃ দদাতি — কোষাৎ । |
কেন দদাতি — স্বহস্তেন। | কুত্র দদাতি — তীর্থক্ষেত্রে। |
এইরূপে ‘দদাতি’ এই ক্রিয়াপদের সঙ্গে বাক্যস্থিত অন্য ছয়টি পদের অন্বয় আছে ; সুতরাং এই ছয়টিই কারক।
ষট্ কারকাণি — কারক ছয়টি। যথা— কর্তা, কর্ম, করণ, সম্প্রদান, অপাদান ও অধিকরণ।
রাম! বারাণ্যাঃ দরিদ্রায় ধনং দদাতি —এই বাক্যে ‘রাম’ এই সম্বোধন পদের সঙ্গে এবং ‘বারাণ্যাঃ’ এই সম্বন্ধ পদের সঙ্গে ‘দদাতি’ এই ক্রিয়ার কোনরূপ মুখ্য বা গৌণ সম্বন্ধ নাই। এইজন্য সম্বোধন পদ এবং সম্বন্ধ পদ কারক নয় ।
অপাদান-সম্প্রদান-করণাধারকর্মণাম্।
কর্তুশ্চান্যোঽন্যসন্দেহে পরমেব প্রবর্ততে।।
একই প্রাতিপদিকে একাধিক কারকের সম্ভাবনা হলে অপাদান, সম্প্রদান, করণ, অধিকরণ, কর্ম, কর্তা এই ক্রমে যেটি পরে আছে, সেটিই হবে, পূর্বেরটি হবে না। যথা— গঙ্গাং গত্বা স্নাতি ( অধিকরণ ও কর্ম মধ্যে কর্ম) , বিপ্রান্ আহূয় যচ্ছতি (সম্প্রদান ও কর্মমধ্যে কর্ম ) ; গৃহং প্রবিশ্য নির্গচ্ছতি ( অপাদান ও কর্মমধ্যে কর্ম); বিপ্রায় দত্ত্বা গৃহ্নাতি ( অপাদান ও সম্প্রদান মধ্যে সম্প্রদান); অস্তি ঘটঃ পশু ( কর্ম ও কর্তার মধ্যে কর্তা )।
বিভক্তি কাকে বলে
সংখ্যাকারকাদিবোধয়িত্ৰী বিভক্তিঃ অর্থাৎ যার দ্বারা প্রাতিপদিকের সংখ্যা, কারক ও সম্বন্ধ প্রভৃতি বিশেষ বিশেষ অর্থ জানা যায়, তাহকে বিভক্তি বলে। যথা— বালকঃ, মুনী, বালিকাঃ, নরস্য প্রভৃতি। সংস্কৃতে বিভক্তি সাতটি। যথা— প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী। সংস্কৃত কারক-বিভক্তি
বিভক্তির ব্যবহার তিন প্রকার—
(১) কারকে— অন্নং খাদতি, বালকঃ পঠতি, চন্দ্ৰং পশ্যতি, ইত্যাদি।
(২) শব্দযোগে— শব্দযোগে বিভক্তিকে উপপদ বিভক্তি বলা হয়। গণেশায় নমঃ, শশিনা সহ যাতি কৌমুদী, শ্রমং বিনা বিদ্যা ন ভবতি ইত্যাদি।
(৩) বিশেষ অর্থে— শোকেন ক্রন্দতি নারী (হেতু), আতপায় ছত্রম্ (নিমিত্ত) ইত্যাদি ।
একই স্থানে যুগপৎ কারক-বিভক্তি ও উপপদ-বিভক্তির প্রাপ্তি ঘটলে কারক-বিভক্তি হয়, উপপদ-বিভক্তি হয় না। কারণ, উপপদবিভক্তেঃ কারকবিভক্তির্বলীয়সী। যথা, শিবং নমস্করোতি—এই বাক্যে শিব শব্দের উত্তর নমস্ শব্দযোগে চতুর্থী এবং কৃ ধাতুর কর্ম বলে কর্মকারকে দ্বিতীয়া যুগপৎ প্রাপ্তি হওয়ায় কর্মকারকে দ্বিতীয়া হয়েছে। কিন্তু নমস্ শব্দ যোগে চতুর্থী হয়নি ।
সাধারণত, কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি, কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি, করণকারকে তৃতীয়া বিভক্তি, সম্প্রদানকারকে চতুর্থী বিভক্তি, অপাদানকারকে পঞ্চমী বিভক্তি, সম্বন্ধ পদে ষষ্ঠী বিভক্তি এবং অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। এ ছাড়া, সম্বোধন পদে প্রথমা বিভক্তি হয়।
YouTube দেখতে
কারক-বিভক্তি থেকে জিজ্ঞাস্য
ছয় প্রকার।
শিবায় নমঃ।
তৃতীয়া।
অনুরূপ পাঠ
কারকগুলি সম্পর্কে জানতে Link এ Click করুন
- সংস্কৃত কারক-বিভক্তি
- সংস্কৃত কর্তৃকারক ও প্রথমা বিভক্তি👈
- সংস্কৃত কর্মকারক ও দ্বিতীয়া বিভক্তি👈
- সংস্কৃত করণকারক ও তৃতীয়া বিভক্তি👈
- সংস্কৃত সম্প্রদান কারক ও চতুর্থী বিভক্তি👈
- সংস্কৃত অপাদানকারক ও পঞ্চমী বিভক্তি👈
- সংস্কৃত ষষ্ঠী বিভক্তি👈
- সংস্কৃত অধিকরণকারক ও সপ্তমী বিভক্তি👈
- কারক-বিভক্তি নির্ণয় 👈
ধন্যবাদ
আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈
আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE👈