ভাসের দূতবাক্য নাটক

কালিদাস পূর্ব নাট্যকারদের মধ্যে অন্যতম সর্বশ্রষ্ঠ মহাকবি ভাসের দূতবাক্য নাটক। এই নাটক সম্পর্কে টীকা লেখা হল। দূতবাক্য (টীকা)

ভাসের দূতবাক্য নাটক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর বা টীকা লেখ। Dutbakya in bengali কালিদাস পূর্ব নাট্যকারদের মধ্যে ভাস অন্যতম। কালিদাস তার মালবিকাগ্নিমিত্র নাটকে প্রথিতযশা ভাসের নাম করেছেন। বানভট্টও ভাস নাটকচক্রের খ্যাতির কথা বলেছেন। মহাকবি ভাস নিজের কবিত্বের পরিচয় যত শ্রদ্ধাস্পদ নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে ততই বিবাদাস্পদ। যাইহোক, ভাসের দূতবাক্য উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়া WBSSC এর SLST পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

দূতবাক্য সম্পর্কে আলোচনা কর

ভূমিকা – কালিদাস পূর্বযুগের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার মহাকবি ভাস। তিনি সম্ভবতঃ খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় বা তৃতীয় শতকে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে ধরা হয়। মহর্ষি কৃয়দ্বৈপায়ন বেদব্যাস রচিত মহাভারত অবলম্বনে এক অঙ্কে রচিত নাটক “দূতবাক্য”।

বিষয়বস্তু – এটি একটি একাঙ্ক নাটক। পাণ্ডবদের দূত হয়ে কৃষ্ণ আসলেন দুর্যোধনের সভায়। প্রহরী দুর্যোধনকে সংবাদ দিল ‘পুরুষোত্তম এসেছেন’। দুর্যোধন প্রহরীকে আদেশ দিলেন ‘পুরুষোত্তম’ শব্দের স্থলে ‘কংস- ভৃত্য দামোদর’ বলবার জন্য। কৃষ্ণের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে দূর্যোধন দৈবাৎ সিংহাসন হতে পড়ে গেলেন। সকলের কাছেই এটি দুর্লক্ষণ বলে মনে হল। কৃষ্ণ উপবেশন করলেন। একটি চিত্রের প্রতি কৃষ্ণের দৃষ্টি আকৃষ্ট হল—দ্রৌপদীর কেশাকর্ষণের চিত্র। কৃষ্ণ পাণ্ডবদের প্রাপ্য রাজ্যাংশের দাবি করলেন। দূর্যোধন দিতে রাজী হলেন না। বলপ্রয়োগে কৃষ্ণকে বন্দী করবার চেষ্টা করা হলে কৃষ্ণ বিশ্বরূপ প্রদর্শন করান। ধৃতেরাষ্ট্র এসে কৃষ্ণের পদতলে পড়ে তাঁকে শান্ত করলেন।

মূল্যায়ণ :- দূতবাক্য-তে কৃষ্ণের অলৌকিক কৌশলে বন্ধন মুক্তির ঘটনা ছাড়া ভাস কোথাও তাঁর সাহিত্যে কৃষ্ণভক্তির অতিরেক দেখাননি। বরং স্রষ্টার নিরপেক্ষ ভূমিকায় দাঁড়িয়ে ছোটো বড়ো সব চরিত্রকে আপন গতিতে বিকশিত হতে দিয়েছেন। দুর্যোধন চরিত্রের ক্রমবিকাশ অনুধাবন করলে উরুভঙ্গ-এর পরাজিত নায়ক সম্বন্ধে শ্রদ্ধাশীল হতেই হয়। কৃষ্ণভক্তির কথা এক্ষেত্রে অবান্তর।

এমন সহজ সরল নাটকীয় সংলাপ অন্যত্র পাওয়া যায় না। অবান্তর ঘটনা বাহুল্যে নাটকটি কোথাও ভারাক্রান্ত হয়নি। বর্ণনায় তিনি অসম্ভব রকমের সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। এমন মঞ্চোপযোগী নাটক সংস্কৃত সাহিত্যে আর দেখা যায় না। এক কথায় নাটকীয় ঘটনা বিন্যাসে, চরিত্র চিত্রনে নাট্য পরিবেশনে এবং মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে নাটকটি সত্যিই শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে।

অনুরূপ পাঠ

ভাসের দূতবাক্য নাটক এর মত একইধরণের বিষয় জানতে নিম্নের LINK এ CLICK করুন ।

• প্রতিমা নাটক 👈
• অভিষেক 👈
• প্রতিজ্ঞাযৌগন্ধরায়ণ 👈 
• স্বপ্নবাসবদত্তা 👈
• অবিমারক 👈 
• মধ্যমব্যায়োগ 👈
• ঊরুভঙ্গ 👈
• হর্ষচরিত 👈 
• পঞ্চরাত্র 👈
• বালচরিত 👈
• গীতগোবিন্দম্ 👈 
• মেঘদূত 👈 
• বিক্রমোর্বশীয়ম্ 👈 
• মালবিকাগ্নিমিত্রম্ 👈 
• অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ 👈 
• মৃচ্ছকটিক 👈 
• মুদ্রারাক্ষস 👈 
• মহাবীরচরিত 👈
• মালতীমাধব 👈
• উত্তররামচরিত 👈
• পঞ্চতন্ত্র 👈 
• হিতোপদেশ 👈 
• হর্ষচরিত 👈 
• কাদম্বরী 👈 
• দশকুমারচরিত 👈
• শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা 👈
• সুশ্রুতসংহিতা 👈

দূতবাক্য সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য

ধন্যবাদ

আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ🙏। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈

আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE 👈