এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় বেদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর । এখানে বেদের বিভিন্ন বিষয়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরগুলি স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের WBSSC (SLST) সিলেবাস অনুসারে আলোচিত হল। বেদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর গুলি জানা থাকলে বেদের MCQ প্রশ্নোত্তর গুলি সহজেই করা সম্ভব।
বেদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর জানার আগে জানতে হবে, ‘বেদ’ শব্দটি বিদ্-ধাতু হতে নিষ্পন্ন। বিদ্ + অচ্ = বেদ। ‘বেদ’ মানে জ্ঞান, পরমজ্ঞান। প্রত্যক্ষ, অনুমান প্রভৃতি প্রমাণ দ্বারা আমাদের যে জ্ঞান জন্মে তা পার্থিব জ্ঞান চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয় সাহায্যে যথাক্রমে রূপ, শব্দ, গন্ধ, রগ ও স্পর্শের যে জ্ঞান হয় তা ইন্দ্রিয় জ্ঞান। এই সকল প্রমাণ বা জ্ঞানেন্দ্রিয় আমাদের অভীপ্রিয় জ্ঞান দান করতে পারে না। নয়ন, শ্রবণ, প্রভৃতি ইন্দ্রিয় ও মানবের বাক্যমন যে রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না সেই অতীন্দ্রিয় পরমজ্ঞান আমরা ‘বেদ’ হতে লাভ করতে পারি।
বেদ | ব্রাহ্মণ | আরণ্যক | উপনিষদ |
ঋক্ | ঐতরেয় , কৌষীতকি বা সাংখ্যায়ন | ঐতরেয় , কৌষীতকি বা সাংখ্যায়ন | ঐতরেয় , কৌষীতকি বা সাংখ্যায়ন |
সাম | তাণ্ডা বা পঞ্চবিংশ, যড়বিংশ, ছান্দোগ্য | ছান্দোগ্য | ছান্দোগ্য, কেনোপনিষদ |
যজুঃ | কৃষ্ণযজুর্বেদ তৈত্তিরীয় শুক্ল যজুর্বেদ শতপথ | কৃষ্ণযজুর্বেদ তৈত্তিরীয় শুক্ল যজুর্বেদ বৃহদারণ্যক | কৃষ্ণযজুর্বেদ কঠ, তৈত্তিরীয়, শ্বেতাশ্বতর শুক্ল যজুর্বেদ বৃহদারণ্যক, ঈশোপনিষদ |
অথর্ব | গোপথ | নেই | প্রশ্ন, মুন্ডক, মাণ্ডুক্য |
বেদ থেকে ছোট প্রশ্নোত্তর
বেদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর MCQ in SLST বেদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ।
1) বেদ কাকে বলে ?
উত্তর :- বেদ শব্দের অর্থ জ্ঞান । সেই অতিন্দ্রীয় পরম জ্ঞান যে শাস্ত্র থেকে লাভ করা যায়, তাই বেদ ।
2) বেদের নামান্তর লিখ ।
উত্তর :- শ্রুতি, ত্রয়ী, আগম, ছন্দস্, নিগম।
3) বেদের অপর নাম ‘শ্রুতি’ কেন ?
উত্তর :- মহর্ষি বেদব্যাস কর্তৃক সংকলিত না হওয়া পর্যন্ত বেদ-মন্ত্র গুরুশিষ্য পরম্পরায়, সম্প্রদায়ক্রমে শ্রবণবিদ্ধৃত ও স্মৃতিসঞ্চিতরূপে বর্তমান ছিল বলেই বেদকে ‘শ্রুতি’ নামে অভিহিত করা হয়।
4) যাজ্ঞবল্ক্যের মতে বেদের সংজ্ঞা কী ?
উত্তর :-
‘প্রত্যক্ষেণানুমিত্যা বা যস্তূপায়ো ন বিদ্যতে
এনং বিদন্তি বেদেন তস্মাদ্ বেদস্য বেদাতা ॥’
অর্থাৎ প্রত্যক্ষ বা অনুমানাদির মাধ্যমে যে জ্ঞান লাভ করার কোনো উপায় নেই। সেই অতীন্দ্রিয় জ্ঞান যার দ্বারা লাভ হয়, তার নাম বেদ।
5) মনুর মতে বেদের লক্ষণ কী ?
উত্তর :- ‘বেদোঽখিল ধর্মমূলম্’ অর্থাৎ অখিল ধর্মের মূল।
6) সায়ণাচার্যের মতে বেদের সংজ্ঞা কী ?
উত্তর :- ‘ইষ্টপ্রাপ্ত্যনিষ্টপরিহারয়োরলৌকিকমুপায়ং যো গ্রন্থো বেদয়তি স বেদঃ’ অর্থাৎ ইষ্টপ্রাপ্তি ও অনিষ্ট পরিহারের অলৌকিক উপায় জানা যায় যে গ্রন্থের সাহায্যে তারই নাম বেদ ।
7) বেদের আলোচ্য বিষয় কী ?
উত্তর :- ধর্ম, কর্মফল, যজ্ঞ, যজ্ঞফল, স্বৰ্গ, পরোলক তত্ত্ব, ব্রহ্ম, মোক্ষ প্রভৃতি ।
8) বেদের রচয়িতা কে ?
উত্তর :- ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে বেদ অপৌরুষেয় ।
9) বেদ কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তর :- বেদ নিত্য, এক ও অদ্বিতীয়। ঋষি পরাশর ও সত্যবতীর পুত্র ভগবান্ ব্যাসদেব বেদকে চতুর্ধা বিভক্ত করেছেন, তাই নাম তাঁর বেদব্যাস। তাই বেদ চার প্রকার । ঋক্, সাম, যজুঃ এবং অথর্ব।
10) ‘ত্রয়ী’ কী ?
উত্তর :- ঋক্, সাম ও যজুঃ -এই তিনটি বেদ হল ত্রয়ী ।
11) বেদকে ত্রয়ী বলা হয় কেন?
উত্তর :- পদ্য, গদ্য, গীতি – এই ত্রিবিধ লক্ষণের সমষ্টি থাকায় বেদকে ত্রয়ী বলে ।
12) ‘ঋক্’ কী ?
উত্তর :- ‘তেষাম্ ঋক্ যত্রার্থবশেন পাদব্যবস্থা’ অর্থাৎ ছন্দোবদ্ধ পদ্যাত্মক মন্ত্রই ঋক্ ।
13) ‘সাম’ কী ?
উত্তর :- ‘গীতিষু সামাখ্যা’ অর্থাৎ সুরের সঙ্গে উচ্চারিত ঋক্ই সাম ।
14) ‘যজুঃ’ কী ?
উত্তর :- ‘শেষে যজুঃ শব্দঃ’ অর্থাৎ ঋক্ ও সাম ব্যতীত মন্ত্রই যজুঃ ।
15) আপস্তম্বের মতে বেদের কয়টি অংশ ?
উত্তর :- দুইটি । যথা- মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ ।
16) বেদের মন্ত্রভাগের বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর :- দেবস্তুতি, দেবমহিমা বর্ণন, দেবতার আহ্বান, অভীষ্টবস্তুর প্রার্থনা প্রভৃতি ।
17) বেদের ব্রাহ্মণভাগের বিষয়বস্তু কী ?
উত্তর :- বিভিন্ন যাগযজ্ঞের বিবরণ, মন্ত্রের বিনিয়োগ, যজ্ঞফল, ইতিহাস, পরাকৃতি প্রভৃতি ।
18) জ্ঞানকাণ্ড ও কর্মকাণ্ড কী ?
উত্তর :- বেদের মন্ত্রভাগ জ্ঞানকাণ্ড এবং ব্রাহ্মণভাগ কর্মকাণ্ড ।
19) বেদের কয়টি ভাগ ও কী কী ?
উত্তর :- চারটি । যথা- সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ্ ।
20) সংহিতা কী ?
উত্তর :- মন্ত্রের সমষ্টি ।
21) সংহিতা কয় প্রকার ও কী কী ?
উত্তর :- চার প্রকার । যথা- ঋক্, সাম, যজুঃ, অথর্ব ।
22) মন্ত্রের অঙ্গ কয়টি ও কী কী ?
উত্তর :- তিনটি । যথা- ঋষি, ছন্দ এবং দেবতা ।
23) ঋষি কে ?
উত্তর :- ‘ঋষিঃ দর্শনাৎ’ অর্থাৎ বেদ মন্ত্রের যিনি দ্রষ্টা তিনিই ঋষি। ঋষ্ ধাতুর অর্থ প্রবাহিত হওয়া বা যাওয়া, গমন করা। ভাবের আবেগে যিনি প্রবাহিত হন তিনিই ঋষি।
24) কয়েকজন নারী ঋষির নাম লিখ ।
উত্তর :- ঘোষা, অপালা, রোমালা, লোপমুদ্রা, বিশ্ববারা, আম্ভৃণী বাক্, প্রভৃতি ।
25) বৈদিক ছন্দ কী ?
উত্তর :- যাস্কাচার্য নিরুক্তম্ গ্রন্থে ছন্দের ব্যুৎপত্তি করেছিলেন- ‘ছন্দাংসি ছাদনা।’ পাণিনি বলেছেন— ‘ছন্দয়তি হ্বলাদয়তীতি ছন্দঃ’। ছন্দ আনন্দদায়িনী, ব্রহ্মস্বরূপিণী।
26) বৈদিক ছন্দ কয়টি ?
উত্তর :- সাতটি ।
27) বৈদিক সাতটি ছন্দ কী কী ?
উত্তর :- গায়ত্রী, উষ্ণিক, অনুষ্টুপ, বৃহতী, পংক্তি, ত্রিষ্টুপ এবং জগতী ।
28) সবচেয়ে বেশী অক্ষরের বৈদিক ছন্দটি কী?
উত্তর :- জগতী , 48 অক্ষর।
29) সবচেয়ে কম অক্ষরের বৈদিক ছন্দটি কী ?
উত্তর :- গায়ত্রী , 24 অক্ষর।
30) গীতায় ‘শ্রীকৃষ্ণ’ নিজেকে কোন ছন্দের সঙ্গে তুলনা করেছেন ?
উত্তর :- গায়ত্রী ।
31) বেদের ‘দেবতা’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর :- সর্বানুক্রমণীকার মহর্ষি কাত্যায়নের মতে মন্ত্রে যাঁর কথা বলা হয় তিনিই দেবতা—“ যা তেনোচ্যতে সা দেবতা।” নিরুক্তকার আচার্য যাস্কের মতে “দেবো দানাদ্ বা দীপনাদ বা দ্যোতনাদ্ বা দ্যুস্থানো ভবতীতি বা।” যিনি দান করেন, যিনি দীপ্ত বা দ্যোতিত হন, যিনি দ্যুস্থানে থাকেন তিনিই দেবতা।
32) বেদের দেবতাগণ কয়ভাগে বিভক্ত ?
উত্তর :- তিনভাগে । দ্যুলোক স্থানীয়, অন্তঃরীক্ষ স্থানীয় এবং পৃথিবী স্থানীয় ।
33) কয়েকটি দ্যুলোক স্থানীয় দেবতার নাম লিখ।
উত্তর :- সূর্য (প্রধান), মিত্র, বিষ্ণু, বরুণ, বৃহস্পতি, যম, অশ্বিনীদ্বয় প্রভৃতি ।
34) কয়েকটি অন্তঃরীক্ষ স্থানীয় দেবতার লিখ।
উত্তর :- ইন্দ্র (প্রধান), মরুৎ, রুদ্র, পর্জন্য, গন্ধর্ব প্রভৃতি।
35) কয়েকটি পৃথিবী স্থানীয় দেবতার নাম লিখ।
উত্তর :- অগ্নি, পবন, সোম, পৃথিবী, রাত্রি, নদী প্রভৃতি ।
36) বেদের কয়েকটি নারী দেবতার নাম লিখ।
উত্তর :- ঊষা, পৃথিবী, রাত্রি, অদিতি, সরস্বতী ।
37) ‘আজান দেবতা’ কাকে বলে ?
উত্তর :- স্বতসিদ্ধ দেবতা আজান দেবতা। যেমন- ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ, সূর্য ।
38) ‘কর্মদেবতা’ কাকে বলে ?
উত্তর :- কর্মের মাধ্যমে সিদ্ধ দেবতা কর্মদেবতা । যেমন – ঋভুগণ, অশ্বিনীকুমারদ্বয় ।
39) বৈশ্য শ্রেণিভুক্ত দেবতা কারা?
উত্তর:- গণবাচক দেবতা, আদিত্যগণ, বসুগণ, রুদ্রগণ, মরুৎগণ।
40) ক্ষত্রিয় শ্রেণিভুক্ত দেবতা কারা ?
উত্তর :- ইন্দ্র, যম, বরুণ, সোম প্রভৃতি।
40) ‘সূক্ত’ কাকে বলে ?
উত্তর :- সু অর্থাৎ শোভন উক্তিই সূক্ত নামে অভিহিত। সূক্তে সাধারণত দেবতার স্তুতি বা প্রশংসা সূচক শোভন উক্তিই দৃষ্ট হয়। এক একটি সূক্তে এক বা একাধিক দেবতার উদ্দেশে স্তুতি থাকে। এক বা একাধিক ঋক্ নিয়ে এক একটি সূক্ত হয়। ‘সম্পূর্ণমৃষিবাক্যং তু সুক্তমিতভিধীয়তে’ অর্থাৎ সম্পূর্ণ ঋষিবাক্যের সমষ্টিকে সূক্ত বলে।
41) ম্যাক্সমুলারের মতে বেদের কাল কত ?
উত্তর :- 1200-1000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দ ।
42) বালগঙ্গাধর তিলকের মতে বেদের
রচনাকাল কত ?
উত্তর :- 4500 খ্রী.পূ. ।
43) জ্যাকোবির মতে বেদের রচনাকাল কত ?
উত্তর :- 4500 খ্রী.পূ. ।
44) বিনিয়োগ কয় প্রকার ?
উত্তর : তিন প্রকার। ঋক, তৃচ ও সূক্ত।
45) ‘ঋক্ বিনিয়োগ কী ?
উত্তর :- একটি ঋক্ মন্ত্রের বিনিয়োগ ।
46) ‘তৃচ্’ বিনিয়োগ কী ?
উত্তর :- তিনটি ঋক্ মন্ত্রের বিনিয়োগ।
47) ‘সূক্ত’ বিনিয়োগ কী?
উত্তর:- একটি ঋক্ সূক্তের বিনিয়োগ।
48) বিনিয়োগ কী?
উত্তর :- যজ্ঞের সঙ্গে মন্ত্রের সম্বন্ধ ।
49) বৈদিক স্বর কয়টি ?
উত্তর :- তিনটি ।
50) বৈদিক তিনটি স্বর কী কী ?
উত্তর :- উদাত্ত, অনুদাত্ত এবং স্বরিত।
51) প্রাচীনতম বেদের নাম কী ?
উত্তর :- ঋগ্বেদ ।
52) ঋগ্বেদের বিভাগ লিখ।
উত্তর :- দুটি । যথা- (ক) মন্ডল বিভাগ । (দশটি মন্ডল, 85টি অনুবাক, 1017টি সূক্ত,
10472 টি ঋক) ।
(খ) অষ্টক বিভাগ । (আটটি অষ্টক, 64টি অধ্যায়, 2006টি বর্গ, 10472টি ঋক) ।
53) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন কী ?
উত্তর :- ঋগ্বেদ ।
54) খিল সূক্ত কী ?
উত্তর:- ঋগ্বেদের অষ্টম মণ্ডলের (49 – 59) অতিরিক্ত এগারোটি বালখিল্য সূক্তকে খিল বলে।
55) খিল সূক্ত ঋগ্বেদের কোন্ শাখার অন্তর্গত?
উত্তর:- বাস্কল শাখার।
56) গোষ্ঠী মন্ডলে কয়টি ঋষিকুলের স্মৃতি রক্ষিত হয়েছে ?
উত্তর :- ছয়টি। অন্য মতে সাতটি ।
57) অনুক্রমণী কার রচনা ?
উত্তর :- শৌনক ।
58) সর্বানুক্রমণী কার রচনা ?
উত্তর :- কাত্যায়ন ।
59) ঋগ্বেদের মন্ত্র কয়টি ?
উত্তর :- 10472 / 10552 / 10580 / 10600 (এর যে কোন একটি) ।
60) গায়ত্রী মন্ত্র কোন্ কোন্ বেদে পাওয়া যায়?
উত্তর :- ঋগ্বেদের 3/62 সূক্তে, সামবেদের 13/4/10 সূক্তে, শুক্লযজুর্বেদের তৃতীয় অধ্যায়ের 35 সংখ্যক মন্ত্র।
61) প্রগাথ মন্ডল কোন মন্ডলকে বলা হয় ?
উত্তর :- অষ্টম ।
62) অষ্টম মন্ডলকে বলা হয় কেন ?
উত্তর :- প্রগাথ নামক মিশ্র ছন্দে এই মন্ডলটি রচিত। এছাড়া প্রগাথা নামক ঋষি কর্তৃক সংকলিত বলেও এই মণ্ডলকে প্রগাথ মণ্ডল বলে।
63) নবমমন্ডল কী নামে অভিহিত ?
উত্তর :- সোমমন্ডল ।
64) ‘আখ্যানসূক্ত’ কাকে বলা হয় ?
উত্তর :- সংবাদসূক্ত ।
65) নারাশংসী ও দানস্তুতি কী ?
উত্তর :- দাতার প্রশংসা নারাশংসী এবং দানের প্রশংসা দানস্তুতি ।
66) ঋগ্বেদের পুরোহিতের নাম কী ?
উত্তর :- হোতা ।
67) সামবেদের পুরোহিতের নাম কী ?
উত্তর :- উদগাতা ।
68) অধুর্যু কাকে বলে ?
উত্তর :- যজুর্বেদের পুরোহিতকে ।
69) ‘ত্রিবেদবিদ’ কে ?
উত্তর :- ব্রহ্মা ।
70) ধর্মনিরপেক্ষ সুক্ত কাকে বলে ?
উত্তর :- ঋগ্বেদ প্রধানত ধর্মমূলক হলেও কিছু সূক্ত আছে যার সঙ্গে ধর্মের কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই । সেগুলি ধর্মনিরপেক্ষ সূক্ত । যেমন- বিবাহসূক্ত, অক্ষসূক্ত, প্রভৃতি।
71) অগ্নি কয় প্রকার ?
উত্তর :- আহ্বনীয়, গার্হপত্য ও দক্ষিণাগ্নি ।
72) বেদের পাঠ কয় প্রকার?
উত্তর:- দুই প্রকার।
73) বেদের দুই প্রকার পাঠ কী কী ?
উত্তর:- প্রকৃতিপাঠ ও বিকৃতিপাঠ।
74) প্রকৃতিপাঠ কয়প্রকার?
উত্তর:- তিন প্রকার।
75) প্রকৃতিপাঠের প্রকারভেদগুলি লিখ।
উত্তর:- সংহিতাপাঠ, পদপাঠ ও ক্রমপাঠ।
76) বিকৃতিপাঠ কয়প্রকার?
উত্তর:- আট প্রকার।
77) বিকৃতিপাঠের প্রকারভেদগুলি লিখ।
উত্তর:- জটাপাঠ, মালাপাঠ, শিখাপাঠ, লেখাপাঠ, ধ্বজাপাঠ, দন্ডপাঠ, রথপাঠ ও ঘনপাঠ।
78) গীত শাস্ত্রের উৎস কোন বেদ ?
উত্তর :- সামবেদ ।
79) ‘সাম’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর :- গান ।
80) সামবেদের উৎপত্তি কোথা থেকে ?
উত্তর :- ঋগ্বেদ ।
81) সামবেদের কয়টি শাখা ?
উত্তর :- তিনটি ।
82) সামবেদের শাখাগুলোর নাম কী কী?
উত্তর:- রাণায়নীয়, কৌথুমী ও জৈমিনীয় ।
83) সামবেদের মন্ত্রসংখ্যা কত ?
উত্তর:- 1810টি ।
84) সামবেদে ঋক্ বেদের কয়টি মন্ত্র আছে ?
উত্তর :- 1735টি ।
85) সামবেদের নিজস্ব মন্ত্ৰ সংখ্যা কত ?
উত্তর :- 75টি।
86) সামবেদের কয়টি বিভাগ ?
উত্তর :- দুটিটি ।
87) সামবেদের বিভাগগুলোর নাম লিখ।
উত্তর:- আর্চিক ও গান ।
88) আর্চিক কয়ভাগে বিভক্ত ?
উত্তর :- দুইভাগে ।
89) আর্চিকের বিভাগগুলোর নাম লিখ।
উত্তর:- পূর্বার্চিক ও উত্তরার্চিক ।
90) ছন্দার্চিক কার অপর নাম ?
উত্তর :- পূর্বার্চিক ।
91) পূর্বার্চিকের কয়টি পর্ব ?
উত্তর :- তিনটি ।
92) পূর্বার্চিকের তিনটি পর্ব কী কী?
উত্তর:- আগ্নেয়, ঐন্দ্র ও পবমানসোম।
93) হোতার কাজ কী ?
উত্তর :- ঋক প্রশস্তি পাঠ করা ।
94) উদ্গাতার কাজ কী ?
উত্তর :- স্তুতিগান করা ।
95) অধ্বর্যুর কাজ কী ?
উত্তর :- আহুতি প্রদান করা।
96) সামবেদ সংহিতার উত্তরার্চিক বিভাগের সাম কত ?
উত্তর :- 400।
97) সামবেদের গান গ্রন্থ কয়ভাগে বিভক্ত ?
উত্তর :- চার ভাগে ।
98) সামবেদের গান গ্রন্থের বিভাগগুলোর নাম লিখ।
উত্তর :- গ্রামগেয়, অরণ্যগেয়, উহ ও উহ্য ।
99) সামগান কয় প্রকার ?
উত্তর :- পাঁচটি ভাগ ।
100) সামগানের প্রকারভেদগুলোর নাম লেখ।
উত্তর :- হিস্কার, প্রস্তাব, উদ্গীথ, প্রতিহার ও নিধান ।
101) সামবেদের সপ্তস্বর ভারতীয় মার্গসংগীতে কী নামে পরিচিত ?
উত্তর :- যড়জ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত ও নিষাদ ।
102) ‘স্তোত্র’ কী ?
উত্তর :- গানের সঙ্গে উচ্চার্য স্তুতিই স্তোত্র । ‘প্রকৃতমন্ত্রসাধ্যা স্তুতিঃ স্তোত্রম্’ ।
103) যজুঃ কী ?
উত্তর :- ঋক্ ও সাম ভিন্ন যজ্ঞানুষ্ঠানের প্রযোজ্য অবশিষ্ট মন্ত্রই যজুঃ ।
104) যজ্ঞকর্মে প্রধান ঋত্বিক কে ?
উত্তর :- অধুর্যু ।
105) কর্মবেদ কার অপর নাম ?
উত্তর :- যজুর্বেদ ।
106) যজুর্বেদের কয়টি শাখা ও কী কী ?
উত্তর :- দুইটি । কৃষ্ণ ও শুক্লযজুর্বেদ ।
107) যজুর্বেদের প্রাচীনতম শাখার নাম কী ?
উত্তর :- কৃষ্ণ যজুর্বেদ ।
108) কৃষ্ণযজুর্বেদের সংহিতার নাম কী ?
উত্তর :- তৈত্তিরীয় সংহিতা ।
109) ‘কৃষ্ণযজুর্বেদ’ নামকরণের কারণ কী ?
উত্তর :- কৃষ্ণযজুর্বেদে মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ বা যজ্ঞানুষ্ঠানের ব্যাখ্যা প্রভৃতি মিশ্রিত অবস্থায় আছে; এইজন্য বেদের পাঠোদ্ধার ও অর্থোপলব্ধি সমধিক জটিল বলে এর নাম হয়েছে কৃষ্ণযজুর্বেদ।
110) শুক্লযজুর্বেদের সংহিতার নাম কী ?
উত্তর :- বাজসনেয়ী সংহিতা ।
111) ‘শুক্লযজুর্বেদ’ নামকরণের কারণ কী ?
উত্তর :- ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য বৈশম্পায়নের নিকট অধীত বিদ্যা প্রত্যর্পণ করে বেদবিদ্যালাভের জন্য সূর্যের উপাসনা করলে সূর্যদেব বাজী অর্থাৎ অশ্বের রূপ ধারণ করে যাজ্ঞবল্ক্যকে বেদ উপদেশ দেন, এইজন্যই এই সংহিতার নাম বাজসনেয়ী সংহিতা।
112) ‘ব্রহ্মবেদ’ কাকে বলে ?
উত্তর :- অথর্ববেদ ।
113) অথর্ববেদের কয়টি সূক্ত ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত ?
উত্তর :- বারোটি ।
114) অথর্ববেদের নিজস্ব সূক্ত সংখ্যা কত ?
উত্তর :- 719 টি ।
115) পৈপ্পলাদ শাখার অথর্ববেদ কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর :- ডঃ ব্যূহলার ।
116) সায়ণ অথর্ববেদের কোন শাখার ভাষ্য রচনা করেন ?
উত্তর:- শৌনকীয় ।
117) ইন্দ্রজালাত্মক সুক্ত কোন বেদের অন্তর্গত?
উত্তর :- অথর্ববেদ ।
118) রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত মন্ত্রকে কী বলে ?
উত্তর :- ভৈষজ্য ।
119) আয়ুবর্ধক মন্ত্র গুলিকে কী বলা হয় ?
উত্তর :- আয়ুয্যমন্ত্র ।
120) ‘অভিচারমূলক’ মন্ত্র কী ?
উত্তর :- অসুর, দানব, ভূতপ্রেত, শত্রু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত মন্ত্র। এর মাধ্যমে অন্যের অনিষ্ট সাধনা করা যেত।
121) ‘ব্রাহ্মণ‘ কাকে বলে ?
উত্তর :- বৈদিক মন্ত্রসমূহের ব্যাখ্যা এবং যাগযজ্ঞে তাদের প্রয়োগ সম্বলিত গ্রন্থের নামই ব্রাহ্মণ। ব্রহ্মন্ শব্দের অর্থ বেদ মন্ত্র বা বেদ অথবা ব্রাহ্মণ পুরোহিত—অতএব পুরোহিতের যজ্ঞসম্পর্কিত মতামতের আলোচনাই ব্রাহ্মণ।
122) দয়ানন্দ সরস্বতী ব্রাহ্মণের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে কী বলেছেন ?
উত্তর :- আচার্য দয়ানন্দ সরস্বতীর মতে—“চতুর্বেদবিত্তি ব্রহ্মভিব্রহ্মিণৈমহর্ষিভিঃ প্রোক্তানি যানি বেদব্যাখ্যানি তানি ব্রাহ্মণানি।”
123) আপস্তম্ব ব্রাহ্মণের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে কী বলেছেন ?
উত্তর :- মহর্ষি আপস্তম্বের মতে—“কর্মচোদনা ব্রাহ্মণানি।” অর্থাৎ যাগযজ্ঞাদি কর্মের চোদনা বা নির্দেশমূলক শাস্ত্রই ব্রাহ্মণ।
124) ব্রাহ্মণের কয়টি অংশ ও কী কী ?
উত্তর :- তিনটি । ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ।
125) আপস্তম্বের মতে ব্রাহ্মণের আলোচ্য বিষয় কয়টি?
উত্তর :- ছয়টি। বিধি, অর্থবাদ, নিন্দা, প্ৰশংসা, পুরাকৃতি, পুরাকল্প ।
126) সায়ণের মতে ব্রাহ্মণের আলোচ্য বিষয় কয়টি ?
উত্তর :- দুইটি । বিধি ও অর্থবাদ ।
127) ঋকবেদের ব্রাহ্মণ কয়টি ও কী কী ?
উত্তর :- দুইটি । ঐতরেয় ও কৌষীতকি ।
128) সামবেদের ব্রাহ্মণ কয়টি ?
উত্তর :- প্রধানতঃ দুটি। সায়ণের মতে আটটি।
129) কৃষ্ণযজুর্বেদের কয়টি ব্রাহ্মণ ?
উত্তর :- একটি ।
130) কোন কোন বেদের ব্রাহ্মণ সংখ্যা এক ?
উত্তর :- কৃষ্ণ যজুর্বেদ, শুক্লযজুর্বেদ ও অথর্ববেদ।
131) অথর্ববেদের ব্রাহ্মণের নাম কী ?
উত্তর : গোপথ।
132) শতপথ ব্রাহ্মণ কোন বেদের অন্তর্গত ?
উত্তর :- শুক্লযজুর্বেদ ।
133) শতপথ ব্রাহ্মণের এরূপ নামকরণ কেন ?
উত্তর :- শতঅধ্যায়ে বিস্তৃত বলে ।
134) শতপথ ব্রাহ্মণের কোন শাখায় 104 টি অধ্যায় আছে ?
উত্তর :- মাধ্যন্দিন ।
135) কৌষীতকি ব্রাহ্মণের অপর নাম কী ?
উত্তর :- শাঙ্খায়ণ ।
136) কৃষ্ণযজুর্বেদের প্রধান ব্রাহ্মণের নাম কী ?
উত্তর :- তৈত্তিরীয় ।
137) ঐতরেয় ব্রাহ্মণের স্রষ্টা কে ?
উত্তর :- ইতরার পুত্র মহিদাস ।
138) মন্ত্রব্রাহ্মণের অপর নাম কী ?
উত্তর :- ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণ ।
139) বৃহত্তম ব্রাহ্মণগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর :- শতপথ ব্রাহ্মণ ।
140) গোপথ ব্রাহ্মণ কোন বেদের সঙ্গে
সম্পর্কিত ?
উত্তর :- অথর্ববেদ ।
141) আরণ্যক কী ?
উত্তর :- অরণ্যে উক্তমিতি আরণ্যকম্ অর্থাৎ যা অরণ্যে উক্ত হয় তা আরণ্যক। অরণ্য শব্দের একটি অর্থ ব্রহ্ম; অরণ্যের ন্যায় ব্রহ্মা বস্তুটিও গভীর গহন দুষ্প্রবেশ্য। এই দুরধিগম্য ব্রহ্মতত্ত্বের আলোচনার প্রাধান্য হেতু এই জাতীয় রচনাগুলি আরণ্যক নামে অভিহিত।
142) আরণ্যক বিহীন একটি বেদের নাম লিখ।
উত্তর :- অথর্ববেদ ।
143) ঋগ্বেদের কয়টি আরণ্যক ?
উত্তর :- দুইটি । ঐতরেয় ও কৌষীতকি ।
144) ছান্দোগ্য ব্রাহ্মণ কোন বেদের অন্তর্গত ?
উত্তর :- সামবেদ ।
145) ব্রাহ্মণের শেষাংশ কী ?
উত্তর :- আরণ্যক ।
146) আরণ্যকের শেষাংশ কোনটি ?
উত্তর :- উপনিষদ্ ।
147) ‘উপনিষদ’ শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর :- উপ-নি-সদ্ ধাতুর উত্তর ক্বিপ্ প্রত্যয় করে ‘উপনিষদ’ শব্দটি নিষ্পন্ন হয়েছে। যার অর্থ জীবের জন্মমৃত্যুর কারণ অবিদ্যাকে নিঃশেষে জীর্ণ করে যে বিদ্যা ব্রহ্মসমীপে জীবকে নিয়ে যায়, সেই বিদ্যাই উপনিষদ।
148) উপনিষদের মূল বিষয় কী?
উত্তর :- আত্মবিদ্যা ও ব্রহ্মবিদ্যা উপনিষদের মূল বিষয়। যার দ্বারা এই জগতের সৃষ্টি, স্থিতি, লয় হয়ে থাকে, তিনিই ব্রহ্ম। ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা। জীবা ও ব্রহ্মের মধ্যে কোনো ভেদ নেই। তাই ব্রহ্মকে জানতে হবে।
149) উপনিষদের অপর নাম কী ?
উত্তর :- ব্রহ্মবিদ্যা, রহস্যবিদ্যা, বেদান্ত ।
150) ঋগ্বেদের উপনিষদের নাম কী?
উত্তর :- ঐতরেয় ও কৌষীতকি উপনিষদ্ ।
151) একটি আরণ্যকোপনিষদের নাম লিখ।
উত্তর :- বৃহদারণ্যকোপনিষদ্ ।
152) কোন্ উপনিষদ্ বেদের মন্ত্রভাগের সঙ্গে যুক্ত?
উত্তর :- ঈশোপনিষদ্ ।
153) বেদাঙ্গ কয়টি?
উত্তর :- ছয়টি।
154) ছয়টি বেদাঙ্গ কী কী?
উত্তর :- শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দঃ ও জ্যোতিষ।
155) বেদাঙ্গকে কী রূপে কল্পনা করা হয়েছে ?
উত্তর :- বেদ পুরুষের ছয়টি অঙ্গরূপে।
156) ছয়টি বেদাঙ্গকে বেদ পুরুষের কোন কোন অঙ্গরূপে কল্পনা করা হয়েছে ?
উত্তর :-
“ছন্দঃ পাদৌ তু বেদস্য হস্তৌ কল্পোহথ পঠ্যতে।
জ্যোতিষাময়নং চক্ষুর্নিরুক্তং শ্রোত্রমুচ্যতে।।
শিক্ষা ঘ্রাণং তু বেদস্য মুখং ব্যাকরণং স্মৃতম্।
তস্মাৎ সাঙ্গমধীত্যৈব ব্ৰহ্মলোকে মহীয়তে।।”
অর্থাৎ ছন্দ বেদের পাদদেশ, কল্প বেদের হস্তযুগল, জ্যোতিষ বেদের চক্ষু, নিরুক্ত কর্ণ, শিক্ষা নাসিকা, এবং ব্যাকরণ বেদের মুখ। এই ছয়টি অঙ্গ সহ বেদ অধ্যয়ন করিলে ব্রহ্মলোক প্রাপ্তি ঘটে।
অনুরূপ পাঠ
বেদের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর এর ন্যায় অন্যান্য বিষয়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর জানার জন্য link এ click করুন ।
- সাহিত্যের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈 ( For HS)
- নাট্যসাহিত্যের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- কাব্যসাহিত্যের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- গদ্যসাহিত্যের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- গল্পসাহিত্যের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- চম্পূকাব্যের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- গীতিকাব্যের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- পুরাণের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- মহাভারতের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
- রামায়ণের ছোট প্রশ্নোত্তর 👈
ধন্যবাদ
আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈
আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE👈