এই অধ্যায়ে আমরা শিখব সংস্কৃত ব্যাকরণের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কৃত দ্বিগু সমাস । সংস্কৃত দ্বিগু সমাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে সংস্কৃতে অনুবাদ করা সম্ভব নয়। সংস্কৃত অনুবাদ শিক্ষার জন্য দ্বিগু সমাস জানা আবশ্যক। সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর , WBSSC(SLST) পরীক্ষার্থীদের দ্বিগু সমাস কন্ঠস্থ করতে হবে।
আমরা জানব সংস্কৃত ভাষায় দ্বিগু সমাস কাকে বলে ও দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের বিভিন্ন নিয়ম ও সূত্র। এখানে আপনাদের সাহায্যার্থে দ্বিগু সমাসের পুরো বিষয়টিকে খুব সহজভাবে তুলে ধরতে চাইছি, যাতে খুব সহজে আপনাদের বোধগম্য হয়। সংস্কৃত দ্বিগু সমাস।
দ্বিগু সমাস কাকে বলে
সংখ্যাপূর্বো দ্বিগুঃ অর্থাৎ যে কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক বিশেষণ থাকে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। এই সমাসে সমাহার বা সমষ্টি বোঝায়। তাই একবচনে ব্যবহার হয়। যেমন—
- ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ = ত্রিলোকী
- পঞ্চানাং বটানাং সমাহারঃ = পঞ্চবটী
দ্বিগুসমাস একটি পৃথক সমাস নয়। এটি একপ্রকার কর্মধারয় সমাস। এইজন্য বলা হয়—
তৎপুরুষবিশেষঃ কর্মধারয়ঃ, তদ্বিশেষো দ্বিগুঃ।
দ্বিগুসমাস কয়প্রকার
তদ্ধিতার্থোত্তরপদ-সমাহারে চ অর্থাৎ দ্বিগু সমাস তিন প্রকার। যথা—
- I) তদ্ধিতার্থ দ্বিগু সমাস
- II) উত্তরপদ দ্বিগু সমাস এবং
- III ) সমাহার দ্বিগু সমাস।
তদ্ধিতার্থ দ্বিগু সমাস
এই সমাসে তদ্ধিত প্রত্যয়ের অর্থ প্রকাশ করে। যেমন—
- পঞ্চভিঃ গোভিঃ ক্রীতঃ = পঞ্চগুঃ
- ষণ্নাং মাতৃঋণাম্ আপত্যং পুমান্ = ষণ্নাতুরঃ
উত্তরপদ দ্বিগু সমাস
এই সমাসে দুইয়ের অধিক পদ থাকে এবং শেষ পদের অর্থ প্রকাশ করে। যেমন—
- পঞ্চ গাবঃ ধনং যস্য সঃ = পঞ্চগবধনঃ
- ত্রয়াণাং লোকানাং নাথঃ = ত্রিলোকনাথঃ
সমাহার দ্বিগু সমাস
এই সমাসে সমাহার বা সমষ্টি অর্থ বোঝায়। যেমন—
- ত্রয়াণাং ভুবননাং সমাহারঃ = ত্রিভুবনম্
- ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ = ত্রিলোকী
- চতুর্ণাং পদানাং সমাহারঃ = চতুষ্পদী
- পঞ্চানাং তন্ত্রাণাং সমাহারঃ = পঞ্চতন্ত্রম্
- পঞ্চানাং বটানাং সমাহারঃ= পঞ্চবটী
- সপ্তানাং শতানাং সমাহারঃ = সপ্তশতী
দ্বিগু সমাসের কয়েকটি নিয়ম
(1) দ্বিগুরেকবচনম্ অর্থাৎ সমাহার দ্বিগু সমাসে সমাসান্ত পদ একবচন হয়। যেমন—
- পঞ্চানাং গবাং সমাহারঃ = পঞ্চগবম্
- চতুর্ণাং যুগানাং সমাহারঃ = চতুর্যুগম্
2) সনপুংসকম্ অর্থাৎ সমাহার বোঝাতে দ্বিগু সমাস ক্লীবলিঙ্গ হয়। যেমন—
- ত্রয়াণাং ভুবননাং সমাহারঃ = ত্রিভুবনম্
3) অকারান্তোরপদো দ্বিগু স্ত্রিয়ামিষ্টঃ অর্থাৎ উত্তরপদ অ-কারান্ত হলে সমাসবদ্ধ পদটি স্ত্রীলিঙ্গ ঈ-কারান্ত হয়। যেমন—
- ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ = ত্রিলোকী
- অষ্টানাম্ অধ্যায়ানাং সমাহারঃ = অষ্টাধ্যায়ী
4) পাত্রাদিভ্যঃ প্রতিষেধঃ অর্থাৎ পাত্র, ভুবন, যুগ, গুণ, মুখ প্রভৃতি অ-কারান্ত শব্দ থাকলে সমাসবদ্ধ পদটি স্ত্রীলিঙ্গ না হয়ে ক্লীবলিঙ্গ হয়। যেমন—
- পঞ্চানাং পাত্রাণাঃ সমাহারঃ = পঞ্চপাত্রম্
- ত্রয়াণাং ভুবননাং সমাহারঃ = ত্রিভুবনম্
- ত্রয়াণাং গুণানাং সমাহারঃ = ত্রিগুণম্
5) আবন্তো বা স্ত্রিয়ামিষ্টঃ অর্থাৎ উত্তরপদ আ-কারান্ত হলে সমাসবদ্ধ পদটি অ-কারান্ত ক্লীবলিঙ্গ হয়, বিকল্পে ঈ-কারান্ত স্ত্রীলিঙ্গ হয়। যেমন—
- পঞ্চানাং খট্টানাং সমাহারঃ = পঞ্চখট্টম্, পঞ্চখট্টী
6) অনো নলোপশ্চ বা চ দ্বিগুঃ স্ত্রিয়াম্ অর্থাৎ দ্বিগু সমাসে উত্তরপদের অন্ ভাগান্ত শব্দের ন্ -এর লোপ হয়। বিকল্পে ঈ-কারান্ত স্ত্রীলিঙ্গ হয়। যেমন—
- পঞ্চানাং কর্মণাং সমাহারঃ = পঞ্চকর্মম্, পঞ্চকর্মী
অনুরূপ আলোচনা
সমাসগুলি সম্পর্কে জানতে Link এ Click করুন
- সংস্কৃত সমাস প্রকরণ👈
- সংস্কৃত অব্যয়ীভাব সমাস👈
- সংস্কৃত বহুব্রীহি সমাস👈
- সংস্কৃত দ্বন্দ্ব সমাস👈
- সংস্কৃত তৎপুরুষ সমাস👈
- সংস্কৃত কর্মধারয় সমাস👈
- সংস্কৃত দ্বিগু সমাস
- ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয়👈
দ্বিগু সমাস থেকে জিজ্ঞাস্য
কর্মধারয় সমাসের।
সংখ্যাবাচক বিশেষণ পদ।
ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ।
ধন্যবাদ
আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈
আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE👈