প্রত্যয় থেকে SAQ প্রশ্নোত্তর

প্রত্যয় থেকে SAQ প্রশ্নোত্তর একাদশ শ্রেণীর SEMESTER – 2 পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। বিশেষতঃ তুমুন্, শতৃ, শানচ্, কৃত্য প্রত্যয়ের নিয়ম ও প্রয়োগ পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত। উল্লিখিত প্রত্যয়গুলির প্রতিটি SAQ প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হল। সঙ্গে প্রত্যয়গুলির পূর্ণাঙ্গ নিয়মও দেওয়া হয়েছে।

সংস্কৃত প্রত্যয়

অন্যান্য ভাষার মতো সংস্কৃত ভাষাতেও প্রকৃতি ও প্রত্যয় যোগে শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। অবশ্য কিছু মৌলিক শব্দও আছে।

যে-কোনো ভাষায় প্রকৃতি ও প্রতায় এই দুইয়ের যোগেই গড়ে ওঠে শব্দ ভাম্ভার। অবশ্য কিছু মৌলিক শব্দও আছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। যাই হোক, সংস্কৃত ভাষাতে প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার, কৃৎ প্রত্যয় এবং তদিত প্রত্যয়। শব্দের সাথে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয় তাদের বলে তথিত প্রত্যয়। আর, ধাতুর সাথে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয় সেগুলি দু ধরনের। প্রথম ধরনের প্রত্যয় হল তি, তস্, অস্তি প্রভৃতি। এগুলি দিয়ে গচ্ছতি, গচ্ছতঃ, গচ্ছক্তি প্রভৃতি সমাপিকা ক্রিয়া পাওয়া যায়। আর, আরেক ধরনের প্রত্যয় হল ক্ত, ক্তবতু, তুমুন্ প্রভৃতি। এই দ্বিতীয় ধরনের প্রত্যয়গুলিকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।

প্রত্যয় কাকে বলে

শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যেসকল বর্ণ বা বর্ণ সমষ্ঠি যুক্ত হয়ে যে নতুন নতুন শব্দ গড়ে ওঠে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয়ের সাহায্যেই শব্দ ভান্ডার গড়ে ওঠে।

প্রত্যয় কয় প্রকার

সংস্কৃত ভাষাতে প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার। যথা –

  1. কৃৎ প্রত্যয় এবং
  2. তদ্ধিত প্রত্যয়।

কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে

ধাতুর সঙ্গে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে , তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। প্রথম ধরনের প্রত্যয় হল তিঙ্, তস্, অন্তি প্রভৃতি। এগুলি দিয়ে পঠতি, পঠতঃ, পঠন্তি প্রভৃতি সমাপিকা ক্রিয়া পাওয়া যায়। আর, এক ধরনের প্রত্যয় হল ক্ত, ক্তবতু, তুমুন্ প্রভৃতি। এই দ্বিতীয় ধরনের প্রত্যয়গুলিকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। এখানে আমরা সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় নিয়ে আলোচনা করবো।

ধাতোঃ, কৃদতিঙ্ :— সমাপিকা ক্রিয়াবাচক তিঙ্ প্রত্যয় ছাড়া সাক্ষাৎ (directly) ধাতুর পরে যেসব প্রত্যয় হয়, তাদের ‘কৃৎ’ প্রত্যয় বলে। ভূ+যৎ = ভব্য, ভূ+ক্ত = ভূত ইত্যাদি রূপগুলিতে যৎ, ক্ত হল কৃৎ-প্রত্যয়।

কর্তরি কৃৎ :— যেসব স্থলে কর্মবাচ্য প্রভৃতি বিশেষ বাচ্যের উল্লেখ না থাকে, সেইসব ক্ষেত্রে ‘কৃৎ’ প্রত্যয় কর্তৃবাচ্যে হয়—এটাই সাধারণ নিয়ম। যেমন— পচতি যঃ সঃ, এই অর্থে পচ্+ণ্বুল = পাচক শব্দ হয়েছে। এখানে পাচক শব্দের অর্থ হল, যে পাক করে অর্থাৎ পাককর্তা।

লঃ কর্মণি চ ভাবে চাকর্মকেভ্যঃ, তয়োরেব কৃত্য-ক্তখলর্থাঃ :— ধাতুর পরে ‘কৃত্য’ নামক প্ৰত্যয়গুলি, ক্ত-প্রত্যয় ও খলর্থ অর্থাৎ কৃচ্ছ- অকৃচ্ছার্থক প্রত্যয় কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে হয়। যেমন—

  • ত্বয়া (তব) পুস্তকং পঠনীয়ম্,
  • তেন কর্ম কৃতম্,
  • শিশুনা রুদিতম্,
  • বালকেন হসিতম্,
  • সুকরম্ ইদং ময়া (সু-কৃ+খল্ = সুকর)।

তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে

তদ্ধিতাঃ :— শব্দের উত্তর যে সকল প্রত্যয় শিষ্টপ্রয়োগ অনুসারে প্রযুক্ত হয়, তাদেরকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। শিষ্টপ্রয়োগ অতিক্রম করে প্রযুক্ত হয় না। যথা, অতঃ ইঞ্—এইরূপ সূত্র থাকলেও যাবতীয় অকারান্ত শব্দের উত্তর ইঞ্ হয় না, যাদের সম্বন্ধে শিষ্টপ্রয়োগ আছে, কেবল তাদের উত্তরই বিহিত হয়।

অপত্য, দেবতা, হিত, ভাব, কর্ম, সাধু প্রভৃতি নানাবিধ অর্থে তদ্ধিত প্রত্যয় প্রযুক্ত হয়। এই সকল অর্থকে তদ্ধিতার্থ এবং এই সকল প্রত্যয়জাত নতুন শব্দকে তদ্ধিতান্ত শব্দ বা প্রাতিপদিক বলে।

SAQ প্রশ্নোত্তর

প্রত্যয় থেকে SAQ প্রশ্নোত্তর গুলি নিম্নে দেওয়া হল।

1) প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তর :- শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যেসকল বর্ণ বা বর্ণ সমষ্ঠি যুক্ত হয়ে যে নতুন নতুন শব্দ গড়ে ওঠে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয়ের সাহায্যেই শব্দ ভান্ডার গড়ে ওঠে।

2) প্রত্যয় কয়প্রকার ও কী কী?
উত্তর :- প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার। যথা – কৃৎ প্রত্যয় এবং তদ্ধিত প্রত্যয়।

3) কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তর :- ধাতুর সঙ্গে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে , তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।

4) তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তর :- শব্দের উত্তর যে সকল প্রত্যয় শিষ্টপ্রয়োগ অনুসারে প্রযুক্ত হয়, তাদেরকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।

5) কৃত্য প্রত্যয় কাকে বলে?
উত্তর :- তব্য, অনীয়, ণ্যৎ, যৎ ও ক্যপ্ এই পাঁচটি প্রত্যয়কে কৃত্য প্রত্যয় বলে।

6) কৃত্য প্রত্যয়গুলি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :- ঔচিত্য, আদেশ, অনুজ্ঞা, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ কাল বোঝালে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যে ধাতুর উত্তর কৃত্য প্রত্যয় হয়।

7) তুমুন্ প্রত্যয় কখন হয়?
উত্তর :- বাংলায় করতে, বলতে, শুনতে ইত্যাদি নিমিত্তবোধক অসমাপিকা ক্রিয়াগুলি বোঝানোর জন্য সংস্কৃতে তুমুন্ প্রত্যয় হয়। একটি ক্রিয়ার জন্য অনুষ্ঠিত অন্য ক্রিয়া নিকটে থাকলে, নিমিত্তবোধক ক্রিয়ার ধাতুর পর তুমুন্ প্রত্যয় হয়।

8) শতৃ ও শানচ্ প্রত্যয় কখন হয়?
উত্তর :- বাংলায় ‘হাসতে হাসতে’, ‘নাচতে নাচতে’, ‘করছে এমন’, ‘কাঁদছে এমন’ এইসব বাক্যে হাসতে হাসতে মানে হাসিরত, নাচতে নাচতে মানে নৃত্যরত, কাঁদতে কাঁদতে মানে ক্রন্দনরত ক্রিয়াগুলিকে বোঝাতে সংস্কৃত ভাষায় ধাতুর পর শতৃ ও শানচ্ প্রত্যয়ের ব্যবহার হয়।

9) শতৃ প্রত্যয় কোথায় হয়?
উত্তর :- লট্ বিভক্তির স্থানে পরস্মৈপদী ধাতুর পর ‘শতৃ প্রত্যয় হয়। শতৃ প্রত্যয়ের অৎ হয়।

10) শানচ্ প্রত্যয় কোথায় হয়?
উত্তর :- লট্ বিভক্তির স্থানে আত্মনেপদী ধাতুর পর ‘শানচ্’ প্রত্যয় হয়। শানচ্-এর সাধারণত আন বা মান হয়।

11) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— অশ্নবৎ, আসীন।
উত্তর :- অশ্নবৎ = অশ্ + শতৃ, আসীন = আস্ + শানচ্।

12) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— অত্তব্য, দর্শনীয়।
উত্তর :- অত্তব্য = অদ্ + তব্য, দর্শনীয় = দৃশ্ + অনীয়।

13) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— অধীয়ান, দাতুম্।
উত্তর :- অধীয়ান = অধি – ই + শানচ্, দাতুম্ = দা + তুমুন্।

14) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— কুর্বাণ, শাসিতুম্।
উত্তর :- কুর্বাণ = কৃ + শানচ্, শাসিতুম্ = শাস্ + তুমুন্।

15) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— কর্তব্য, লব্ধুম্।
উত্তর :- কর্তব্য = কৃ + তব্য, লব্ধুম্ = লভ্ + তুমুন্।

16) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— শ্রোতব্য, ভক্ষণীয়।
উত্তর :- শ্রোতব্য = শ্রু + তব্য, ভক্ষণীয় = ভক্ষ্ + অনীয়।

17) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— হন্তব্য, আচার্য।
উত্তর :- হন্তব্য = হন্ + তব্য, আচার্য = আ-চর্ + ণ্যৎ।

18) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— পিবৎ, বর্তমান।
উত্তর :- পিবৎ = পা + শতৃ, বর্তমান = বৃৎ + শানচ্।

19) প্রকৃতি প্রত্যয় নির্ণয় করো— শয্য়া, বাচ্য়।
উত্তর :- শয্য়া = শী + ক্যপ্ , বাচ্য় = বচ্ + ণ্যৎ।

20) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — হন্ + যৎ , শাস্ + ক্যপ্ ।
উত্তর :- হন্ + যৎ = বধ্য , শাস্ + ক্যপ্ = শিষ্য।

21) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — পচ্ + ণ্যৎ , বিদ্ + ক্যপ্ ।
উত্তর :- পচ্ + ণ্যৎ = পাচ্য/পাক্য , বিদ্ + ক্যপ্ = বিদ্যা।

22) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — হন্ + শতৃ , জি + তুমুন্ ।
উত্তর :- হন্ + শতৃ = ঘ্নৎ , জি + তুমুন্ = জেতুম্।

23) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — সহ্ + তুমুন্ , ভী + তুমুন্ ।
উত্তর :- সহ্ + তুমুন্ = সহিতুম্/সোঢুম্ , ভী + তুমুন্ = ভেতুম্।

24) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — প্রচ্ছ্ + তুমুন্ , জাগৃ + তুমুন্ ।
উত্তর :- প্রচ্ছ্ + তুমুন্ = প্রষ্টুম্ , জাগৃ + তুমুন্ = জাগরিতুম্।

25) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — শ্রু + শতৃ , জাগৃ + শতৃ ।
উত্তর :- শ্রু + শতৃ = শৃণ্বৎ , জাগৃ + শতৃ = জাগ্রৎ।

26) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — কৃ + ণ্যৎ , আ-দৃ + ক্যপ্ ।
উত্তর :- কৃ + ণ্যৎ = কার্য , আ-দৃ + ক্যপ্ = আদৃত্য।

27) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — আ-হৃ + ণ্যৎ , ছিদ্ + তব্য ।
উত্তর :- আ-হৃ + ণ্যৎ = আহার্য , ছিদ্ + তব্য = ছেত্তব্য।

28) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — জ্ঞা + শতৃ , বৃধ্ + শানচ্ ।
উত্তর :- জ্ঞা + শতৃ = জানৎ , বৃধ্ + শানচ্ = বর্ধমান।

29) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — অধি-ই + শতৃ , অধি-ই + শানচ্ ।
উত্তর :- অধি-ই + শতৃ = অধীয়ৎ , অধি-ই + শানচ্ = অধীয়ান।

30) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — অধি-ই + তুমুন্ , দুহ্ + তুমুন্ ।
উত্তর :- অধি-ই + তুমুন্ = অধ্যেতুম্ , দুহ্ + তুমুন্ = দগ্ধুম্।

31) পরিনিষ্ঠিত রূপ লেখো — পঠ্ + ণ্যৎ , ধৃ + ক্যপ্ ।
উত্তর :- পঠ্ + ণ্যৎ = পাঠ্য , ধৃ + ক্যপ্ = ধার্য।

অনুরূপ পাঠ

প্রত্যয় থেকে SAQ প্রশ্নোত্তর এর মতো একইধরণের বিষয় জানতে নিম্নের LINK এ CLICK করো ।

Leave a Comment