নাট্যকার শ্রীহর্ষ

এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় নাট্যকার শ্রীহর্ষ । এখানে নাট্যকার শ্রীহর্ষের মূল্যায়ণ কর অথবা শ্রীহর্ষ সম্পর্কে টীকা লেখ নিয়ে উপস্থাপন। সংস্কৃত অনার্স ছাত্র ছাত্রীদের এই অধ্যায় খুঁটিয়ে পড়তে হবে। এছাড়া নাট্যকার শ্রীহর্ষ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে WBSSC ( SLST ) পরীক্ষার্থীদের MCQ নির্ভুলভাবে করা সম্ভব নয়।

আমরা যাকে সাহিত্য বলি, সংস্কৃত অলংকার শাস্ত্রে তাই কাব্য নামে চিহ্নিত। রসাত্মক বাক্যে গুণ, অলংকারের মন্ডন ছাড়িয়ে কাব্যের অন্তর্গঢ় রসরূপ সহৃদয় পাঠকের মন আপ্লুত করে।সংস্কৃত সাহিত্যে ‘কাব্যং দ্বিবিধং দৃশ্যং শ্রব্যং চ’ অর্থাৎ কাব্য দুই প্রকার দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য। দৃশ্যকাব্যের আধুনিক প্রতিশব্দ নাটক। মঞ্চে অভিনয় দর্শনের মাধ্যমে দৃশ্যকাব্য উপস্থাপিত হয়। এই দৃশ্যকাব্যের অপর নাম রূপক; কারণ এতে পাত্র-পাত্রীর উপর, নাটকীয় চরিত্রের রূপ আরোপ করা হয়। এই দৃশ্যকাব্য বা রূপক দশ প্রকার। নাট্যকার শ্রীহর্ষ সংস্কৃত সাহিত্যের একজন বিখ্যাত লেখক।

সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে শ্রীহর্ষ একজন শ্রেষ্ঠ লেখক। সংস্কৃত অনার্স ছাত্র ছাত্রীদের এই অধ্যায় খুঁটিয়ে পড়তে হবে। এছাড়া নাট্যকার শ্রীহর্ষ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে WBSSC ( SLST ) পরীক্ষার্থীদের MCQ নির্ভুলভাবে করা সম্ভব নয়।

নাট্যকারশ্রীহর্ষ
অপর নামহর্ষদেব , হর্ষবর্ধন শিলাদিত্য
পিতাপ্রভাকরবর্ধন
মাতাযশোবতী
নাটকরত্নাবলী, নাগানন্দ ও প্রিয়দর্শিকা
সময়কাল590 থেকে 647 খৃস্টাব্দ

নাট্যকার হিসাবে শ্রীহর্ষর স্থান নির্ণয় কর

ভূমিকা :- উত্তর ভারতের এক খ্যাতনামা সম্রাট হর্ষবর্ধন । তিনি 606 থেকে 647 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেন। তিনি হলেন পুষ্যভূতি বংশোদ্ভব স্থানেশ্বররাজ হর্ষবর্ধন। কনৌজরাজ্যও তাঁর অধিকারে ছিল। হর্ষের রাজত্বে সুশাসন এবং শান্তি বজায় থাকার কারণে বহুদূর দেশ থেকেও বহু শিল্পী, বিদ্বান্ ব্যক্তি ও ধর্ম প্রচারক তার রাজসভায় সমাদৃত হন। চিনা পরিব্রাজক হিউয়েনসাঙ্ রাজা হর্ষের রাজসভায় উপনীত হন এবং তার রাজসভার সুবিচার এবং রাজার দানশীলতার সম্বন্ধে প্রশস্তি বাক্য লেখেন নিজের ভ্রমণকাহিনীতে।

কাল :- পুষ্যভূতি বংশোদ্ভূত সার্বভৌম রাজা শ্রীহর্ষ বা হর্ষবর্ধন 590 খ্রিস্টাব্দে থাণেশ্বরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি 606 থেকে 647 খৃস্টাব্দ পর্যন্ত স্থানীশ্বর ও কনৌজের রাজা ছিলেন। 647 খ্রিস্টাব্দে এই মহান সম্রাট তথা নাট্যকার মৃত্যু হয়।

কবি পরিচিতি :- প্রভাকরবর্ধন ও যশোবতীর পুত্র হর্ষবর্ধন শিলাদিত্য 606 থেকে 647 খৃস্টাব্দ পর্যন্ত স্থানীশ্বর ও কনৌজের রাজা ছিলেন। রত্নাবলী, নাগানন্দ ও প্রিয়দর্শিকা নামক তিনখানি নাটকের তিনিই রচয়িতা। হর্ষই এই নাটকত্রয়ের রচয়িতা কি না এ বিষয়ে এক সময়ে মতভেদ ছিল এবং বিভিন্ন পক্ষ হতে বিভিন্ন যুক্তিতর্কের অবতারণাও করা হয়েছিল। মন্মটের কাব্যপ্রকাশের একটি উক্তি হতে অনেকে অনুমান করেছিলেন যে বাপ বা ধাবক নামে কোনও নাট্যকার এইগুলি রচনা করে অর্থের বিনিময়ে হর্ষবর্ধনের নামে প্রচলিত করেন। পরবর্তীকালে বহু প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া গিয়েছে যা নিঃসংশয়ে হর্ষকেই এই তিনখানির রচয়িতা বলে প্রমাণ করবার পক্ষে যথেষ্ট।

রাজা হর্ষবর্ধনের কবিত্বশক্তির খ্যাতিও ছিল। বাণ হর্ষচরিতে তাঁর প্রশংসা করেছেন। I-tsing-এর বিবরণ হতে জানা যায় যে হর্ষবর্ধন বোধিসত্ত্ব জীতবাহনের কাহিনীকে কবিতায় রূপ দিয়েছিলেন। সোড্লে তাঁর উদয়সন্দেরী কাব্যে হর্ষবর্ধনকে ‘কবীন্দ্র’ বলেছেন। দামোদরগুপ্ত (নবম খ্রিষ্টাব্দ) তাঁর কুট্টনিমতে রত্নাবলীকে হর্ষেরই রচিত বলেছেন। I-tsing ( সপ্তম খ্রিস্টাব্দ) নাগানন্দকে হর্ষের রচিত বলেছেন। যাঁর রচনাশক্তি বিভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক এত প্রশংসিত হয়েছে তিনি অর্থের বিনিময়ে অপরের লিখিত নাটক নিজের নামে চালিয়েছেন এটি মনে করা অযৌক্তিক ও অশোভন। তিনখানি নাটকই যে একই ব্যক্তির রচিত সে বিষয়েও কোন সন্দেহ নাই। বিষয়বস্তু, ঘটনা ও পরিবেশ, ভাব ও ভাষার সাদৃশ্য, নাট্যকারের প্রশংসাসূচক শ্লোক ইত্যাদি প্রমাণিত করিয়াছে যে তিনখানি নাটকই একই নাট্যকারের রচনা ।

হর্ষবর্ধন প্রথম জীবনে এক জন শৈব হলেও পরবর্তীকালে তিনি বৌদ্ধধর্মের অনুসারী হন। তিনি ভারতে বহু বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ করেন এবং নালন্দা মহাবিদ্যালয়ে অনেক দান করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় রাজা যিনি চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

নাটকত্রয় :- সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের জগতে শ্রীহর্ষ তিনখানি নাটক উপহার দিয়েছেন, সেই তিনখানি নাটক হল–
1) রত্নাবলী (শৃঙ্গাররস – বৃহৎকথাশ্রিত – চার অঙ্কের নাটক),
2) প্রিয়দর্শিকা (শৃঙ্গাররস – বৃহৎকথাশ্রিত – চার অঙ্কের নাটক) এবং
3) নাগানন্দ `(বীররস – বৃহৎকথাশ্রিত – পাঁচ অঙ্কের নাটক)।

রত্নাবলী

রত্নাবলী নাটকের কয়েকটি তথ্য নিচে দেওয়া হল ।

নাট্যগ্রন্থরত্নাবলী
অঙ্ক4 টি
উৎসবৃহৎকথা
নায়কউদয়ন
নায়িকারত্নাবলী
বিদূষকবসন্তক
রসশৃঙ্গার

বিষয়বস্তু :- গুণাঢ্যের বৃহৎকথা থেকে এর ইতিবৃত্তটি নেওয়া হয়েছে। বসন্তোৎসবের পরিবেশে রাজা উদয়ন রাজমহিষী বাসবদত্তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সাগরিকাকে দেখতে পান। উভয়ের অনুরাগ জন্মায়। সাগরিকা আসলে রত্নাবলী, সিংহলের রাজকন্যা এবং বাসবদত্তার মাতুলকন্যা। উদয়নের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নিয়ে আসার পথে সমুদ্রে নৌকাডুবিতে সে হারিয়ে যায়। উদয়নের অমাত্য যৌগন্ধরায়ণ তাকে উদ্ধার করে উদয়নের মহিষী বাসবদত্তার কাছে গচ্ছিত রেখেছিলেন সাগরিকা নাম দিয়ে। বাসবদত্তা আগলে রাখলেও সাগরিকার সঙ্গে রাজার প্রণয় গভীর থেকে গভীরতর হয়। বিদূষক মধ্যস্থের ভূমিকা পালন করে। শেষ পর্যন্ত পরিচয় প্রকাশ পায়। নায়ক-নায়িকার পরিণয় ঘটে। দুই রাজ্যের মৈত্রীবন্ধন দৃঢ় হয়।

নাট্যবৈশিষ্ট্য :- রত্নাবলী শ্রীহর্ষের শ্রেষ্ঠ নাটক। তিনি এই নাটকে গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও পরিকল্পনায় যথেষ্ট প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এই নাটকের প্রশংসা করে বলেছেন “রত্নাবলী এক অত্যুৎকৃষ্ট নাটক।” নাট্যকার কল্পনাপ্রভাবেই মগধরাজকন্যা পদ্মাবতীকে সিংহলরাজকন্যা রত্নাবলীতে রূপান্তরিত করেছেন। এই নাটকে জাদুকরের মায়াজাল সৃষ্টি এবং সাগরিকার পোষাক পরিবর্তনাদিতে লেখক আপন উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় রেখেছেন। পরবর্তী নাট্যতত্ত্ববিদগণ বিভিন্ন নাট্যকলায় উদাহরণরূপে রত্নাবলী নাটিকার বিভিন্ন অংশ উদ্ধৃত করা থেকে বোঝা যায় শ্রীহর্ষের এই নাটকই সত্যই সর্বোৎকৃষ্ট। নাটকীয় ঘটনা সৃষ্টিতে কাহিনি শেষপর্যন্ত কৌতূহল জাগিয়ে রাখায়, চরিত্র সৃষ্টিতে কিংবা রহস্যপ্রিয়তায় শ্রীহর্ষের নাটক একটি মূল্যবান গ্রন্থ হয়ে উঠেছে।

প্রিয়দর্শিকা

প্রিয়দর্শিকা নাটকের কয়েকটি তথ্য নিচে দেওয়া হল ।

নাট্যগ্রন্থপ্রিয়দর্শিকা
অঙ্ক4 টি
উৎসবৃহৎকথা
নায়কউদয়ন
নায়িকাপ্রিয়দর্শিকা
বিদূষকবসন্তক
রসশৃঙ্গার

বিষয়বস্তু :- রাজা উদয়নের সঙ্গে অঙ্গরাজ দৃঢ়বর্মার কন্যা প্রিয়দর্শিকার প্রণয় বৃত্তান্ত এর বিষয়। এখানেও রাজমহিষী বাসবদত্তা আছেন এবং প্রিয়দর্শিকাকে আরণ্যিকা নাম দিয়ে রাজঅন্তঃপুরে রেখে দেওয়া হয়েছে। উদয়ন-আরণ্যিকার প্রথম দেখা ও অনুরাগ নিপুণভাবে চিত্রিত করছেন নাট্যকার। তৃতীয় অঙ্কে নাট্যাভিনয়ের দৃশ্য-পরিকল্পনাটি অসাধারণ। বৎসরাজ ও বাসবদত্তার কাহিনি নিয়ে নাট্যাভিনয় হবে কৌমুদীমহোৎসবে। সবাই জানে বসরাজের চরিত্রে অভিনয় করবে বাসবদত্তার পরিচারিকা মনোরমা আর বাসবদত্তা চরিত্রে রূপদান করবে আরণ্যিকা। অভিনয়ের দিন কিন্তু স্বয়ং বৎসরাজ উদয়নই উদয়নচরিত্রে অভিনয় করলেন। বিপরীতে বাসবদত্তারূপী আরণ্যিকা। দর্শক আসনে বসে নট-নটীর আচরণে বাসবদত্তার সন্দেহ ও ক্রমে ক্রোধ জন্মাল। বিদূষকের মুখে সমস্ত পরিকল্পনা শুনে ক্রোধে তিনি অভিনয় বন্ধ করে দিয়ে আরণ্যিকাকে কয়েদে পুরলেন। বাদ পড়ল না বিদূষকও। এরপর চতুর্থ অঙ্কে নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে আরণ্যিকার আসল পরিচয় প্রকাশ পেল। আরণ্যিকা বিষপান করেছেন এই খবরে বিষবিদ্যায় পারদর্শী উদয়নকে হস্তক্ষেপ করতে হয় রোগীর প্রাণরক্ষার তাগিদে। তখনই কঞ্জুকী তাঁকে প্রিয়দর্শিকা বলে চিনতে পারেন। বাসবদত্তাও অতঃপর ভগিনী হিসেবে তাঁকে চিনে সানন্দে উদয়নের হাতে তুলে দেন।

নাগানন্দ

নাগানন্দ নাটকের কয়েকটি তথ্য নিচে দেওয়া হল ।

নাট্যগ্রন্থনাগানন্দ
অঙ্ক5 টি
উৎসবৃহৎকথা
নায়কজীমূতবাহন
নায়িকামলয়বতী
বিদূষকআত্রেয়
রসবীর

বিষয়বস্তু :- নাগানন্দ একখানি পঞ্চাঙ্ক নাটক। কথাসরিৎসাগরের দ্বাদশ তরঙ্গে বিদ্যাধররাজ জীমূতবাহনের যে অপূর্ব আত্মত্যাগের কাহিনী বিবৃত হয়েছে, তাই এর বিষয়বস্তু। বিশ্বপ্রেমে উদ্বুদ্ধ জীমূতবাহন রাজ্য ত্যাগ করে অরণ্যবাসী পিতামাতার সেবা করবার জন্য বনে আসেন। মলয় পর্বতে গন্ধর্ব রাজ-দুহিতার সঙ্গে তার প্রণয় জন্মে। একদিন তিনি শুনতে পান যে নাগরাজ গরুড়ের সঙ্গে সন্ধি করে সন্ধির শর্ত অনুসারে প্রতিদিন একটি করে সর্পকে গরুড়ের আহারের জন্য বধ্যশিলায় প্রেরণ করছেন। জীমূতবাহন স্থির করলেন সেইদিন যে সাপটি আসবে, তিনি তার প্রাণ রক্ষা করবেন। হলও তাই। গরুড়ে সর্পভ্রমে জীমূতবাহনকে ভক্ষণ করতে লাগল। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হলে জীমূতবাহন অহিংসা সম্বন্ধে গরুড়কে উপদেশ দেন। গৌরী আবির্ভূতা হয়ে জীমূতবাহনকে নতুন দেহ দান করলেন।

রত্নাবলী ও প্রিয়দর্শিকা হতে নাগানন্দ স্বতন্ত্র। ইহা পুরোপুরি না হলেও অনেকটা বৌদ্ধ রচনার ছাপ বহন করছে। নান্দীশ্লোকে বৃদ্ধের উল্লেখ করা হয়েছে অথচ শেষ ভাগে জীমূতবাহনকে নবদেহ দান করবার জন্য গৌরীর অবতারণা করা হয়েছে। নাটকখানিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—প্রথম তিন অঙ্ক ও শেষ দুই অঙ্ক। বস্তুতঃ, প্রথম তিন অঙ্কেই যদি নাটকটির শেষ হয়ে যেত তবে কোনরূপ অসঙ্গতি বোধ হতনা। প্রথম তিন অঙ্কের জীমূতবাহন ও শেষ দুই অঙ্কের জীমূতবাহনের মধ্যে কোনোও যোগাযোগ আছে বলে মনে হয় না।

উপসংহার :- শ্রীহর্ষ শুধু নাট্যকার হিসাবে নয়, কবি হিসাবেও নিপুণ ছিলেন। তাঁর তিনখানি নাটকের উৎস সম্ভবত গুণাঢ্যের বৃহৎকথা। তবে প্রতি নাটকের কাহিনি বিন্যাসে নাট্যকার উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় রেখেছেন। রত্নাবলী ও প্রিয়দর্শিকার কাহিনি, চরিত্রচিত্রণ, নাটকের ঘাত প্রতিঘাত, ঘটনাবিন্যাস প্রভৃতি একই কৌশলে রচিত। আর নাগানন্দের (বীররস) এবং রত্নাবলী ও প্রিয়দর্শিকার শৃঙ্গাররসকে অঙ্গীরসরূপে উপস্থাপিত করে রস পরিবেশনের দক্ষতা দেখিয়েছেন। কালিদাসের ভাবকল্পনার মাধুর্য, ভবভূতির সমুন্নত চিন্তাশক্তির গভীরতা শ্রীহর্ষের মধ্যে পাওয়া না-গেলেও ঘটনা সন্নিবেশে, পরিবেশ রচনায়, নিসর্গ বর্ণনায়, বিরহ-বিচ্ছেদের করুণ আর্তিতে নাট্যকার শ্রীহর্ষ একজন নিপুণ কবিও বটে।

ধন্যবাদ

আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈

আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE 👈

Leave a Comment