বাংলা থেকে সংস্কৃত অনুবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে উচ্চ মাধ্যমিকের কিছু 2025 এর Suggestive বাংলা থেকে সংস্কৃত অনুবাদ করা হয়েছে। সংস্কৃত অনুবাদ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন শব্দরূপ ও ধাতুরূপ জানা আবশ্যক। সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর , WBSSC(SLST) পরীক্ষার্থীদের এই অধ্যায় অনুশীলন করতে হবে।
যেকোনো ভাষার বর্ণিত বিষয়কে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করার নাম অনুবাদ। অনুবাদ যে একেবারে আক্ষরিক করতে হবে তার কোন কথা নেই। বরং অনেক সময় ভাবানুবাদের বাক্যটি শ্রুতি মধুর হয়। সংস্কৃতে অনুবাদ করতে হলে শব্দরূপ, ধাতুরূপ, প্রত্যয়, কারক, সমাসের জ্ঞান থাকতে হবে। ব্যাকরণের যে সমস্ত বিষয় আলোচনা করা হয়েছে, সেগুলি সম্যকভাবে পড়লে এবং অনুধাবন করলে অনুবাদ বিষয়টা সুকঠিন হবে না । আর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই, সুতরাং অনুশীলন করলেই সমস্যার সমাধান হবে আশা করা যায় ।
সংস্কৃত অনুবাদ
এক গ্রামে একজন সত্যবাদী মানুষ বাস করতেন। তার নাম ক্ষুদিরাম। তার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম গদাধর। গদাধর খুব বুদ্ধিমান ও ভক্ত ছিল। সে পরে রামকৃষ্ণ নামে পরিচিত হয়।
সংস্কৃতে অনুবাদ— একস্মিন্ গ্রামে একঃ সত্যবাদী জনঃ বসতি স্ম। তস্য নাম ক্ষুদিরামঃ। তস্য কনিষ্ঠস্য পুত্রস্য নাম গদাধরঃ। গদাধরঃ অতীব বুদ্ধিমানঃ ভক্তঃ চ আসীৎ। স পশ্চাদ্ রামকৃষ্ণ ইতি নান্না খ্যাতিঃ অভবৎ।
2)
এক গ্রামে এক দরিদ্র কৃষক বাস করত। তার দুই সন্তান ছিল। সে প্রতিদিন সকালে নিজের ক্ষেতে চাষ করতে যেত। সে অত্যন্ত সৎ ও সরল জীবন যাপন করত। এজন্য গ্রামে সকলে তাকে খুব শ্রদ্ধা করত।
সংস্কৃতে অনুবাদ— একস্মিন্ গ্রামে একঃ দরিদ্রঃ কৃষকঃ বসতি স্ম । তস্য দ্বৌ সন্তানৌ আস্তাম্। সঃ প্রত্যহং প্রাতঃ স্বক্ষেত্রে চাসং কর্তুম্ গচ্ছতি স্ম। সঃ অতীব সদ্ভাবেন সরলেন চ জীবনং যাপয়তি স্ম। তদেনং গ্রামে সর্বে জনাঃ অতীব শ্রদ্ধাম্ অকুর্বন্।
3)
আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। দেশের রাজধানী দিল্লী। আমি দিল্লী যাব। বাবা আমাকে সেখানে নিয়ে যাবে। সেখানে আমরা দশদিন থাকব।
সংস্কৃতে অনুবাদ— অস্মাকং দেশঃ ভারতবর্ষঃ। দেশস্য রাজধানী দিল্লীঃ। অহং দিল্লীং গমিষ্যামি। পিতা মাং তত্র নীত্বা গমিষ্যতি। তত্র বয়ম্ দশ দিবসং যাবৎ স্থাস্যামঃ।
4)
আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ। এই দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও প্রাচীন। সংস্কৃতভাষা এই দেশের সংস্কৃতির জীবনী শক্তি। ঋগবেদ বিশ্বসাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ। আমি ভারতীয় হিসেবে গর্ব অনুভব করি।
সংস্কৃতে অনুবাদ— অস্মাকং দেশস্য নাম ভারতবর্ষঃ। অস্য দেশস্য ঐতিহ্যং সংস্কৃতিশ্চ অত্যন্তং সমৃদ্ধা প্রাচীনা চ। সংস্কৃতভাষা অস্য দেশস্য সংস্কৃতেঃ জীবনীশক্তিঃ। ঋগ্বেদঃ বিশ্বসাহিত্যস্য প্রাচীনতমঃ গ্রন্থঃ। অহং ভারতীয়রূপেণ গর্বম্ অনুভবামি।
5)
একটি বানর নদীর তীরে বাস করত। সে প্রতিদিন মিষ্ট ফল খেত। নদীতে একটি কুমীর থাকত। বানরের সঙ্গে কুমীরের বন্ধুত্ব হল। তারা প্রতিদিন গল্প করত।
সংস্কৃতে অনুবাদ— একঃ বানরঃ নদ্যাঃ তীরে বসতি স্ম। সঃ প্রতিদিনং মিষ্টং ফলং খাদতি স্ম। নদ্যাম্ একঃ কুম্ভীরঃ অবসৎ। বানরেণ সহ কুম্ভীরস্য সখ্যম্ অভবৎ। তৌ প্রত্যহং গল্পম্ অকুরুতাম্।
6)
রামায়ণ ও মহাভারত আমাদের মহাকাব্য। বাল্মীকি রামায়ণ লিখেছেন। বেদব্যাস মহাভারত লিখেছেন। আমি রামায়ণ পড়েছি। আমি মহাভারত পড়তে চাই।
সংস্কৃতে অনুবাদ— রামায়ণং মহাভারতং চ অস্মাকং দ্বে মহাকাব্যে। বাল্মীকিঃ রামায়ণং লিখিতবান্। বেদব্যাসঃ মহাভারতম্ অলিখৎ। অহং রামায়ণম্ অপঠম্। অহং মহাভারতং পাঠিতুম্ ইচ্ছামি।
7)
গোবিন্দমাণিক্য ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা ছিলেন। তার ভাই নক্ষত্ররায়। তারা একদিন সকালে গোমতী নদীতে স্নান করছিলেন। হঠাৎ তারা নদীর পাড়ে একটি বালিকাকে দেখতে পেলেন। বালিকা তার ভাইয়ের সঙ্গে খেলা করছিল।
সংস্কৃতে অনুবাদ— ত্রিপুরায়াং গোবিন্দমাণিক্যঃ ইতি রাজা আসীৎ। তস্য ভাতা নক্ষত্ররায়ঃ। তৌ একদা প্রাতঃ গোমতী নদ্যাং স্নানম্ অকুরুতাম্। সহসা তৌ নদ্যাঃ তটে একাম্ বালিকাম্ অপশ্যতাম্। বালিকা তস্যাঃ ভ্রাতা সহ অক্রীড়ৎ।
8)
এক ক্ষুধার্ত শিয়াল একটি রণভূমিতে এসে পৌঁছল। সেখানে সে অদ্ভুদ শব্দ শুনতে পেল। সে ভাবল যে, সেখান থেকে পালিয়ে যাবে। কিন্তু পরে সে ঠিক করল যে, সে শব্দের উৎস খুঁজবে। সে একটি ঢাক দেখতে পেল।
সংস্কৃতে অনুবাদ— একঃ ক্ষুধার্তঃ শৃগালঃ রণভূমিম্ একম্ আগত্য উপস্থিতমভবৎ । তত্র তেন অদ্ভুতধ্বনিঃ শ্রুতঃ। সঃ অচিন্তয়ৎ, তস্মাৎ স্থানাৎ পলায়িতব্যম্ ইতি। কিন্তু পশ্চাৎ সঃ স্থিরমকরোৎ, সঃ শব্দস্য উৎসম্ অন্বিষ্যতি। সঃ একাং ঢক্কাম্ অপশ্যৎ।
9)
প্রায় একশ পঞ্চাশ বছর আগে কলকাতার সিমুলিয়া অঞ্চলে নরেন্দ্রনাথ নামে এক শিশু জন্ম গ্রহন করে। তাঁর পিতা শ্রী বিশ্বনাথ দত্ত ও মাতা ভুবনেশ্বরী দেবী। তিনি খুব সুন্দর গান গাইতে পারতেন। একদিন তাঁর গান শুনে শ্রীরামকৃষ্ণ অত্যন্ত প্রসন্ন হন। পরে নরেন্দ্রনাথ শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে আসেন এবং শ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
সংস্কৃতে অনুবাদ— সার্ধশতবর্ষেভ্যঃ প্রাক্ কলিকাতায়াঃ সিমুলিয়াঞ্চলে নরেন্দ্রনাথঃ ইতি একঃ শিশুঃ অজায়ত। তস্য পিতা বিশ্বনাথঃ দত্তঃ মাতা চ ভুবনেশ্বরী দেবী। স অতীব মধুরং গীতং গাতুং সমর্থঃ। একদা তস্য গীতং শ্রুত্বা শ্রী রামকৃষ্ণঃ অতীব প্রসন্নঃ অভবৎ। পশ্চাদ্ নরেন্দ্রনাথঃ শ্রীরামকৃষ্ণস্য সান্নিধ্যম্ আগাচ্ছৎ শ্রীরামকৃষ্ণস্য শিষ্যত্বং চ গৃহীতবান্।
10)
রামচন্দ্র মর্যাদা পুরুষোত্তমরূপে খ্যাত। তিনি দশরথের পুত্র ছিলেন। তাঁর পত্নী সীতা জনক রাজার কন্যা ছিলেন। দুষ্ট রাবন সীতাকে হরণ করে। রাবন লঙ্কার রাজা ছিল।
সংস্কৃতে অনুবাদ— রামচন্দ্রঃ মর্যাদাপুরুষোরূপেণ খ্যাতঃ। সঃ দশরথস্য পুত্রঃ আসীৎ। তস্য পত্নী সীতা জনকরাজস্য কন্যা আসীৎ। দুষ্টঃ রাবণঃ সীতাম্ অপহৃতবান্। রাবণঃ লঙ্কায়াঃ রাজা আসীৎ।
11)
বারাণসীতে কপূরপট নামে এক ধোপা ছিল। সে একদিন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিল। তারপর জিনিসপত্র চুরি করতে এক চোর ঢুকল। উঠোনে গাধাটি বাঁধা ছিল আর কুকুরটি বসে ছিল।
বারাণস্যাং কপূরপটঃ নাম একঃ রজকঃ আসীৎ। সঃ একদা নিশ্চিন্তং সুপ্তঃ। ততঃ তস্য দ্রব্যাণি হর্তুম্ একঃ চৌরঃ প্রবিষ্টঃ। রজকস্য প্রাঙ্গনে গর্দভঃ বদ্ধঃ আসীৎ, কুকুরশ্চ উপবিষ্টঃ।
12)
কোনো এক বনে ভাসুরক নামে এক সিংহ বাস করত। সে প্রতিদিন বহু পশু হত্যা করত। সমস্ত পশু মিলিত হয়ে তাকে বলল – প্রভু ! এরূপ সব পশুবধের কী প্রয়োজন ?
সংস্কৃতে অনুবাদ— কস্মিংশ্চিদ্ বনে ভাসুরক ইতি কশ্চিৎ সিংহঃ প্রতিবসতি স্ম। সঃ প্রত্যহং বহূন্ পশূন্ হন্তি স্ম। সর্বে পশবঃ মিলিত্বা তমুক্তবন্তঃ – প্রভো ! এবম্ পশুবধস্য কিং প্রয়োজনম্ ?
ধন্যবাদ
সংস্কৃত অনুবাদ তথা আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈
আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE 👈