চম্পূকাব্য থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর

এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় চম্পূকাব্য থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর। চম্পূকাব্যের মধ্য থেকে SEMESTER – 4 এ নলচম্পূ ও ভারতচম্পূর সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত। এখান থেকে 2 নম্বরের সংক্ষিপ্ত উত্তর ও 4 নম্বরের ব্যাখ্যামূলক উত্তর সংস্কৃত, বাংলা, ইংরেজী অথবা হিন্দি ভাষায় করতে হবে।

গদ্য-পদ্যময়ী ভাষাতে যে কাব্য রচিত হয় তাই ‘চম্পূ’। বিভিন্ন আলঙ্কারিকগণ চম্পূর সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে গিয়ে ঐ একই কথা বলেছেন। কিন্তু কাব্যে গদ্য পদ্যের অনুপাতের হার সম্বন্ধে কেউ কিছু বলেননি। অর্থাৎ চম্পূকাব্যে গদ্যাংশই বা কতখানি স্থান গ্রহণ করবে, আর পদ্যাংশই বা কতখানি স্থান গ্রহণ করবে সে বিষয়ে কোনও নিয়ামক নেই। তবে মনে হয় গদ্য-কাব্যের সঙ্গে এর পার্থক্য এইটকুই যে গদ্য-কাব্যে গদ্যই আখ্যান ভাগের মূল বাহন। কিন্তু চম্পূতে আখ্যানভাগ গদ্য ও পদ্য উভয়ের সাহায্যেই বর্ণিত হয়।

গ্রন্থগ্রন্থকার
নলচম্পূত্রিবিক্রমভট্ট
মদালসাচম্পূত্রিবিক্রমভট্ট
রামায়ণচম্পূভোজ
যশস্তিলকচম্পূসোমদেব
জীবন্ধরচম্পূহরিচন্দ্র
স্বাহাসুধাকরচম্পূনারায়ণভট্ট
নীলকন্ঠবিজয়চম্পূনীলকন্ঠ দীক্ষিত
পারিজাতহরণচম্পূশেষকৃষ্ণ
গোপালচম্পূজীবগোস্বামী

SAQ প্রশ্নোত্তর

1) চম্পূকাব্য কাকে বলে? একটি চম্পূকাব্যের নাম লেখ।
উত্তর:- আলংকারিকদের মতে, “গদ্যপদ্যময়ং কাব্যং চম্পূরিত্যভিধীয়তে” অর্থাৎ গদ্য-পদ্যময়ী ভাষাতে যে কাব্য রচিত হয় তাকে চম্পূকাব্য বলে।

একটি চম্পূকাব্যের নাম ত্রিবিক্রমভট্টের নলচম্পূ।

2) গদ্যকাব্যের সঙ্গে চম্পূকাব্যের পার্থক্য কী?
উত্তর :- গদ্যকাব্যে গদ্যই আখ্যানভাগের মূল বাহন, পদ্যের প্রয়োগ সীমিত। চম্পূকাব্যে মূল আখ্যানভাগের বাহন হল গদ্য ও পদ্যের সমানুপাতিক সমাবেশ।

3) কোন্ বিষয় অবলম্বন করে চম্পূকাব্য রচিত হয়েছে?
উত্তর :- সাধারণত পৌরাণিক বিষয়কে অবলম্বন করে চম্পূকাব্য রচিত হয়েছে।

4) সর্বাপেক্ষা প্রাচীন চম্পূকাব্যের নাম কী ? কে রচনা করেন ?
উত্তর :- সর্বাপেক্ষা প্রাচীন চম্পূকাব্যের নাম “নলচম্পূ”। “নলচম্পূ” ত্রিবিক্রমভট্ট রচনা করেন।

5) ত্রিবিক্রমভট্টের অপর নাম কী ? তিনি কোন্ সময়ের কবি ?
উত্তর :- ত্রিবিক্রমভট্টের অপর নাম সিংহাদিত্য। তিনি খ্রিস্টিয় দশম শতকের সময়ের কবি।

6) ত্রিবিক্রমভট্টের পিতার নাম কী ? তাঁর পিতামহের নাম কী ?
উত্তর :- ত্রিবিক্রমভট্টের পিতার নাম নেমাদিত্য। তাঁর পিতামহের নাম শ্রীধর।

7) ত্রিবিক্রমভট্ট কার সভাকবি ছিলেন? “নলচম্পূ” ছাড়া তাঁর অন্য একটি চম্পূকাব্যের নাম।
উত্তর :- ত্রিবিক্রমভট্টের রাষ্ট্রকূটরাজ তৃতীয় ইন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। “নলচম্পূ” ছাড়া তাঁর অন্য একটি চম্পূকাব্যের নাম “মদালসাচম্পূ”।

8) ‘নলচম্পূ’র উৎস কী? এই কাব্য কয়টি উচ্ছ্বাসে বিভক্ত?
উত্তর :- ‘নলচম্পূ’র উৎস মহাভারতের বনপর্ব। এই কাব্যটি 7 টি উচ্ছ্বাসে বিভক্ত।

9) “নলচম্পূ” কাব্যের বিষয়বস্তু কী? এই কাব্যের অপর নাম কী?
উত্তর :- নল ও দময়ন্তীর প্রণয় কাহিনী “নলচম্পূ” কাব্যের বিষয়বস্তু। এই কাব্যের অপর নাম দময়ন্তীকথা।

10) “ভারতচম্পূ” কে রচনা করেন? এই কাব্য কয়টি স্তবকে বিভক্ত?
উত্তর :- অনন্তভট্ট “ভারতচম্পূ” রচনা করেন। এই কাব্যটি 12 টি স্তবকে বিভক্ত।

11) ‘ভারতচম্পূ’র উৎস কী? এই কাব্যের বিষয়বস্তু কী?
উত্তর :- ‘ভারতচম্পূ’র উৎস মহাভারত। মহাভারতের সামগ্রিক কাহিনী এই কাব্যের বিষয়বস্তু।

অনুরূপ পাঠ

চম্পূকাব্য থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর এর মতো SEMESTER – 4 এর অনুরূপ পাঠগুলি জানতে নিম্নের Link এ Click করো

Leave a Comment