ছয়টি কারকের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মকারক। সংস্কৃত কর্মকারক ও দ্বিতীয়া বিভক্তি অত্যন্ত সহজ ভাবে বর্ণিত হয়েছে। সংষ্কৃত ভাষা শিক্ষার জন্য এই কারকের অধ্যয়ন জরুরী। সংস্কৃত অনুবাদ শিক্ষার জন্য কারক বিভক্তি জানা আবশ্যক। সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর , WBSSC(SLST) পরীক্ষার্থীদের এই সংস্কৃত কর্মকারক ও দ্বিতীয়া বিভক্তি কন্ঠস্থ করতে হবে।
কর্মকারক
1)কর্তুরীপ্সিততমং কর্ম :— কর্তার ঈপ্সিততম অর্থাৎ কর্তা ক্রিয়া দ্বারা যাকে বেশি পেতে সর্বাধিকভাবে ইচ্ছা করে, তাকে কর্ম কারক বলে। কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- বালকঃ অন্নং খাদতি।
- বালিকা চন্দ্রং পশ্যতি।
- ছাত্রঃ পুস্তকং পঠতি।
- রামঃ বনং গচ্ছতি।
এখানে অন্ন, চন্দ্ৰ, পুস্তক ও বন —এগুলি কর্তার ঈপ্সিততম বস্তু। তাই পদগুলি কর্ম কারক।
2) তথাযুক্তং চানীপ্সিতম্ :— ঈপ্সিততমের ন্যায় অনীপ্সিত অর্থাৎ কর্তা ক্রিয়া দ্বারা কোনো বস্তু পেতে ইচ্ছা না করলেও, তা কর্মকারক। স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কোনো দ্রব্যের সঙ্গে ক্রিয়ার কর্ম সম্বন্ধ হয়। কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা—
- ওদনং বুভুক্ষুঃ বিষং ভক্ষয়তি।
- গ্রামং গচ্ছন্ তৃণং স্পৃশতি।
- ব্যোমযানং পশ্যন্ সূর্যং পশ্যতি।
এখানে বিষ, তৃণ ও সূর্য — পদগুলির সঙ্গে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ক্রিয়ার কর্ম সম্বন্ধ হয়েছে। তাই এই পদগুলিও কর্ম কারক।
3) অধি শীঙ্স্থাসাং কর্ম :— অধি-শী, অধি-স্থা, অধি-আস্ ধাতুর আধারটি কর্ম কারক হয়। কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- শিশুঃ শয্যাম্ অধিশেতে।
- কৃষ্ণঃ দ্বারকাম্ অধিতিষ্ঠতি।
- বৃদ্ধঃ গৃহম্ অধ্যাস্তে।
4) অভিনিবিশশ্চ :— অভি-নি পূর্বক বিশ্ ধাতুর আধার কর্ম কারক হয়। কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- সাধুঃ সন্মার্গম্ অভিনিবিশতে।
6) উপান্বধ্যাঙ্ বসঃ :— উপ-বস্, অনু-বস্, অধি- বস্ ও আ-বস্ ধাতুর আধারটি কর্ম কারক হয়। কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- দরিদ্রাঃ গ্রামম্ উপবসন্তি।
- অহং বর্ধমানম্ অনুবসামি।
- কৃয়ঃ দ্বারকাম্ অধিবসতি।
- ছাত্রাঃ গুরুকুলম্ আবসন্তি।
কিন্তু, উপবাস করা অর্থ বোঝালে উপ-পূর্বক বস্ ধাতুর আধারটি কর্ম কারক হয় না। সুতরাং দ্বিতীয়া বিভক্তিও হয় না। সেখানে আধারটি অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন—সাধুঃ তীর্থে উপবসতি (তীর্থে উপবাস করেন)। সূত্র—’অভুক্ত্যর্থস্য ন’। এই সূত্রানুযায়ী অভুক্তি অর্থাৎ উপবাস অর্থে উপ-বস্ ধাতুর আধারটি কর্ম কারক হয়নি। আধার না হয়ে সেখানে অন্য কোনো অর্থ থাকলে দ্বিতীয়া বিভক্তি হবে। যেমন—বিধবা একাদশীম্ উপবসতি। এখানে একাদশীটা কোনো আধার নয়। একাদশীর সময় ধরে উপবাস করছে, এই অর্থ প্রকাশিত হয়েছে। অতএব এখানে ব্যাপ্তি অর্থে দ্বিতীয়া হয়েছে।
7) অকথিতং চ :— অকথিত অর্থাৎ অপ্রধান বা গৌণ কর্ম। এমন কিছু ধাতু আছে যাদের দুটি করে কর্ম থাকে। সেগুলি হল—দুহ্, যাচ্, পচ্, দণ্ড, রুধ্, প্রচ্ছ্, চি, ব্রূ, শাস্, জি, মন্থ্, মুষ্, নী, হৃ, কৃষ্ ও বহ্ — এই ষোলোটি দ্বি কর্মক ধাতুর প্রধান কর্মের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত অন্য কারকও কর্মসংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়। এইরূপ কর্মকে অকথিত, অপ্রধান বা গৌণ কর্ম বলে। যথা—
- গোপো গাং (গোঃ- অপাদান) দুগ্ধং দোগ্ধি।
- বামনঃ বলিং ( বলে: – অপাদান ) বসুধাং যাচতে।
- বালিকা বৃক্ষং (বৃক্ষাৎ—অপাদান ) পুষ্পং চিনোতি।
- শিশু: গুরুং (গুরো:- অপাদান) ধর্মং পৃচ্ছতি।
- পাচক: তণ্ডুলান্ (ততুলৈঃ—করণ) ওদনং পচতি।
- রাজা চৌরং (চৌরাৎ- অপাদান) শতং দণ্ডয়তি।
- গোপ: গাং ব্রজং ( ব্রজে – অধিকরণ ) রুণদ্ধি।
- গুরু শিষ্যং ( শিষ্যায় – সম্প্রদান ) ধর্মং ক্রতে।
- আচার্য: শিষ্যং (শিষ্যায়— সম্প্রদান) ধর্মং শান্তি।
- দেবদত্তঃ যজ্ঞদত্তং (যজ্ঞদত্তা – অপাদান) শতং জয়তি।
- দেবগণ: সমুদ্রম্ (সমুদ্রাৎ- অপাদান) অমৃতং মথুাতি।
- চৌর: দেবদত্তং (দেবদত্তাৎ- অপাদান) শতং মুঞ্চাতি।
- গোপ: গাং গৃহং ( গৃহে—অধিকরণ ) নয়তি।
- ভৃত্যঃ গ্ৰামং (গ্রামে—অধিকরণ) ভারং বহতি।
- বালক: অজাং গ্রামং ( গ্রামে-অধিকরণ ) হরতি।
- কৃষীবল: ভূমিং (ভূমৌ— অধিকরণ) শস্যৎ কর্ষতি।
YouTube এ দেখতে
দ্বিতীয়া বিভক্তি
1)কর্মণি দ্বিতীয়া :— অনুক্ত কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। পূর্বোক্ত সূত্রগুলোতে যেসকল স্থলে কর্মকারক হয়েছে, সেই সকল স্থলে ‘কর্মণি দ্বিতীয়া ‘ সূত্রানুসারে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- বালকঃ অন্নং খাদতি।
- কৃষ্ণঃ দ্বারকাম্ অধিতিষ্ঠতি।
- সাধুঃ সন্মার্গম্ অভিনিবিশতে।
- বালিকা বৃক্ষং পুষ্পং চিনোতি।
এই বাক্যগুলিতে আলোচ্য সূত্রানুসারে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে।
2) কালাধ্বনোরত্যন্তসংযোগে :— গুণ, ক্রিয়া বা দ্রব্য দ্বারা অত্যন্তসংযোগ অর্থাৎ ব্যাপ্তি বোঝালে কাল পরিমাণ বাচক (মাসাদি), অধ্ব পরিমাণ বাচক ক্রোশাদি শব্দের উত্তর দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- মাসং ব্যাকরণং পঠতি।
- বালকঃ বর্ষং রামায়ণং পঠতি।
- ক্রোশং কুটিলা নদী।
- ক্রোশং গিরিস্তিষ্ঠতি।
3) অন্তরান্তরেণ যুক্তে :— অন্তরা (মাঝে) ও অন্তরেণ শব্দ যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- শ্রমম্ অন্তরেণ না বিদ্যা।
- হিমালয়ং বিন্ধ্যগিরিং চান্তরা আর্যভূময়ঃ।
4) অভিতঃ-পরিতঃ-সময়া-নিকষা-হা-প্রতিযোগঽপি (বা) — অভিতঃ (সামনে ), পরিতঃ (চারিদিকে ), সময়া (নিকটে), নিকষা (নিকটে), হা (হায়) এবং প্রতি ( প্রতি ) শব্দের যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন—
- সূৰ্যম্ অভিতো ন তমঃ।
- পৃথিবীং পরিতঃ অর্ণবঃ।
- গ্রামং সময়া বনম্।
- বিদ্যালয়ং নিকষা উদ্যানম্।
- হা পাপিনম্ ।
- দরিদ্রং প্রতি।
5) উভ-সর্বতসোঃ কার্যা ধিগুপর্যাদিষু ত্রিষু ।
দ্বিতীয়াম্রেড়িতান্তেষু ততোহন্যত্রাপি দৃশ্যতে ॥( বা ):—
তস্ প্রত্যয়ান্ত উভ ও সর্ব শব্দের যোগে, ধিক্ শব্দের যোগে , উপর্যুপরি , অধ্যধি ও অধ্যোহধঃ শব্দের যোগে, এবং এতদ্ভিন্ন কয়েকটি শব্দ ( যাবৎ ও ঋতে ) যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা —
- গ্রামম্ উভয়তঃ বনম্ অস্তি।
- পৃথিবীং সর্বতঃ বায়ুঃ বহতি।
- কৃপণং ধিক্ ।
- উপর্যুপরি লোকং হরিঃ।
- অধোহধঃ লোকং হরিঃ।
- নদীং যাবৎ অরণ্যানী।
- শ্রমং ঋতে বিদ্যা ন ভবতি।
6) কর্মপ্রবচনীয় যুক্তে দ্বিতীয়া :— কর্মপ্রবচনীয় যোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা —
- জপম্ অনু প্রাবর্ষৎ।
7) ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া :— ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যথা —
- অশ্বঃ দ্রুতং ধাবতি।
- বালিকা মধুরং গায়তি।
অনুরূপ পাঠ
কারকগুলি সম্পর্কে জানতে Link এ Click করুন
- সংস্কৃত কারক-বিভক্তি👈
- সংস্কৃত কর্তৃকারক ও প্রথমা বিভক্তি👈
- সংস্কৃত কর্মকারক ও দ্বিতীয়া বিভক্তি
- সংস্কৃত করণকারক ও তৃতীয়া বিভক্তি👈
- সংস্কৃত সম্প্রদান কারক ও চতুর্থী বিভক্তি👈
- সংস্কৃত অপাদানকারক ও পঞ্চমী বিভক্তি👈
- সংস্কৃত ষষ্ঠী বিভক্তি👈
- সংস্কৃত অধিকরণকারক ও সপ্তমী বিভক্তি👈
- কারক-বিভক্তি নির্ণয় 👈
কর্মকারক ও দ্বিতীয়া বিভক্তি থেকে জিজ্ঞাস্য
উত্তর- দ্বিতীয়া।
উত্তর- দ্বিতীয়া।
উত্তর- অনু কর্মপ্রবচনীয় যোগে দ্বিতীয়া।
উত্তর – এখানে কর্তার ঈপ্সিততম বিষয় মোদক, তাই মোদকং পদে কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে।
ধন্যবাদ
আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈
আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE👈
ভাস সমস্যা কী? এর উত্তর জানতে Link এ click করুন।