ভাসের প্রতিমা নাটক

কালিদাস পূর্ব নাট্যকারদের মধ্যে অন্যতম সর্বশ্রষ্ঠ মহাকবি ভাসের প্রতিমা নাটক। এই নাটক সম্পর্কে টীকা লেখা হল। প্রতিমা (টীকা)

ভাসের প্রতিমা নাটক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর বা টীকা লেখ। Pancharatra in bengali কালিদাস পূর্ব নাট্যকারদের মধ্যে ভাস অন্যতম। কালিদাস তার মালবিকাগ্নিমিত্র নাটকে প্রথিতযশা ভাসের নাম করেছেন। বানভট্টও ভাস নাটকচক্রের খ্যাতির কথা বলেছেন। মহাকবি ভাস নিজের কবিত্বের পরিচয় যত শ্রদ্ধাস্পদ নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে ততই বিবাদাস্পদ। যাইহোক, ভাসের প্রতিমা উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীদের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়া WBSSC এর SLST পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্রতিমামহাকবি ভাস
অঙ্ক সংখ্যা7 টি
উৎসরামায়ণ
নায়করাম
নায়িকাসীতা

প্রতিমা নাটক সম্পর্কে আলোচনা কর

ভূমিকাকালিদাস পূর্বযুগের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার মহাকবি ভাস। তিনি সম্ভবতঃ খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় বা তৃতীয় শতকে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে ধরা হয়। মহর্ষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণ অবলম্বনে সাত অঙ্কে রচিত নাটক “প্রতিমা”।

উৎস :- মহাকবি ভাস রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা নাটক রচনা করেন। রামায়ণের অযোধ্যাকান্ড থেকে লঙ্কাকান্ড বা যুদ্ধকান্ড পর্যন্ত ঘটনাই এই নাটকের বিষয়বস্তু।

বিষয়বস্তু :- রামায়ণ অবলম্বনে রচিত নাটকগুলির মধ্যে সাত অংকের প্রতিমা নাটক সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় । দশরথ কর্তৃক রামের রাজ্যাভিষেকের উদ্যোগ গৃহীত হলেও তা সম্ভব হয়নি। কৈকেয়ীর বর প্রার্থনা অনুসারে ভরতের রাজ্য প্রাপ্তি হয় ও রামচন্দ্রের বনবাস গমন হয়েছে। পিতারর মৃত্যু হয়েছে , মাতুলালয়ে অবস্থানকারী ভরতকে মৃত্যু সংবাদ না জানিয়ে অযোধ্যায় প্রত্যাগমনের ব্যবস্থা হয়েছে। মাতুলালয় থেকে অযোধ্যায় ফেরার পথে ভরত মন্দির সংলগ্ন এক প্রতিমাগৃহে প্রবেশ করলে সেখানে তিনি তাঁর প্রয়াত পিতৃপুরুষদের প্রতিমার পাশে পিতা দশরথের প্রতিমা দর্শন করেন। বিহ্বল ভরত পূজারীকে পিতৃ-প্রতিমা স্থাপনের কারণ জিজ্ঞাসার জবাবে প্রকৃত সত্য অর্থাৎ পিতার মৃত্যু জানতে পারেন। এই প্রতিমদর্শন থেকেই নাটকটির নামকরণ হয়েছে প্রতিমা নাটক।

জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নির্বাসনের সংবাদ শ্রবণ করে রামচন্দ্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বনে গমন করেন। ভরতের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেন রামচন্দ্র। ভরত রামচন্দ্রের পাদুকা এনে অযোধ্যার সিংহাসনে ঐ পাদুকার অভিষেক করেন। তারপর লঙ্কেশ্বর রাবণ কর্তৃক সীতাহরণ, রাম-রাবণের যুদ্ধ , রাবণের পরাজয় ও সীতাকে উদ্ধার করে রামচন্দ্রের অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করে রাজ্যাভিষেক পর্যন্ত কাহিনি এই নাটকের বিষয়বস্তু।

ভরত তাঁর জননীর উচ্চাকাঙ্ক্ষার নিন্দা করে বলেছেন— “বধূপ্রধর্ষণং প্রাপ্তং প্রাপ্যাত্রভবতীং বধূম্” (৬।১৪)। অর্থাৎ এক রাজবধূ হয়েও আপন কুলবধূ সীতাদেবীর অমর্যাদা ঘটাতে তাঁর বাধেনি। অন্য দুই মায়ের সঙ্গে আপন মাকে একত্রে অভিবাদন করতে ভরত তাই অসম্মতি জানান। গঙ্গা-যমুনার মাঝখানে কোনো এক কুনদীর সঙ্গে কৈকেয়ীর তুলনা তাঁর মনে আসে— “গঙ্গাযমুনয়োমধ্যে কুনদীব প্রবেশিতা”। পুত্রের তিরস্কারে মা কাতর কণ্ঠে নিজের আচরণের কারণ বোঝাবার চেষ্টা করেছেন এখানে। কৌশল্যা ও সুমিত্রাকে দেখি কৈকেয়ীর অনুতপ্ত হৃদয়ে প্রলেপ দিয়ে পুত্র ভরতকে কাছে টেনে নিতে। কৈকেয়ী এখানে কুটিল ষড়যন্ত্রী প্রাসাদবাসিনী নন, একজন সাধারণ নারী যাঁর একান্ত বাসনা ছিল ‘পুত্রো মে রাজা ভবতু ইতি’।

মূল্যায়ণ :- এমন সহজ সরল নাটকীয় সংলাপ অন্যত্র পাওয়া যায় না। অবান্তর ঘটনা বাহুল্যে নাটকটি কোথাও ভারাক্রান্ত হয়নি। বর্ণনায় তিনি অসম্ভব রকমের সংযমের পরিচয় দিয়েছেন। এমন মঞ্চোপযোগী নাটক সংস্কৃত সাহিত্যে আর দেখা যায় না। এক কথায় নাটকীয় ঘটনা বিন্যাসে, চরিত্র চিত্রনে নাট্য পরিবেশনে এবং মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে নাটকটি সত্যিই শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে।

অনুরূপ পাঠ

ভাসের প্রতিমা নাটক এর মত একইধরণের বিষয় জানতে নিম্নের LINK এ CLICK করুন ।

প্রতিমা নাটক সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য

1) প্রতিমা কার লেখা।

মহাকবি ভাসের।

2) প্রতিমা নাটকে কয়টি অংক আছে?

সাতটি।

3) পঞ্চরাত্র নাটকের নায়ক কে?

রাম ।

ধন্যবাদ

আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈

আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE 👈

Leave a Comment