মালিনী ছন্দ

এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় মালিনী ছন্দ । এখানে মালিনী ছন্দের লক্ষণ ও উদাহরণ সহ বাংলা ও সংষ্কৃত ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে। সংস্কৃত মালিনী ছন্দ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। मालिनी छन्द। Bankura University এর Major Course এবং Minor Stream এর Syllabus অনুসারে বাংলা ভাষায় ও দেবনাগরী হরফে সংস্কৃত ভাষায় আলোচিত হয়েছে।

ছন্দ শব্দের অন্যতম অর্থ বেদ। লৌকিক ছন্দগুলির মূল বৈদিক ছন্দ। আচার্য গঙ্গাদাস প্রণীত “ছন্দোমঞ্জরী” গ্রন্থে প্রত্যেক ছন্দের লক্ষণই সেই বিশেষ ছন্দে রচিত। তাই ঐ লক্ষণকেই ছন্দের উদাহরণও ধরা হয়। নিচের টেবিলে মালিনী ছন্দের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হল।

ছন্দমালিনী
বৃত্ত সমবৃত্ত ছন্দ
অক্ষর সংখ্যাপনেরোটি
গণন, ন, ম, য এবং য-গণ
গণের চিহ্নv v v / v v v / – – – / v – – / v – –
ইন্দ্রবজ্রা ছন্দের লক্ষণননমযয যুতেয়ং মালিনী ভৌগিলোকৈঃ

মালিনী ছন্দের লক্ষণ

মালিনী একটি সমবৃত্ত ছন্দ। এই ছন্দে প্রতি চরণে পনেরোটি করে অক্ষর (স্বরবর্ণ) থাকে। এতে প্রথমে ভোগী অর্থাৎ অষ্টম অক্ষরে এবং পরবর্তী লোক অর্থাৎ সপ্তম অক্ষরে বা চরণের অন্তে যতি থাকে। মালিনী ছন্দের লক্ষণ নির্দেশ প্রসঙ্গে আচার্য গঙ্গাদাস তাঁর ছন্দোমঞ্জরীতে বলেছেন—

“বদন্তি বংশস্থবিলং জতৌ জরৌ।”

অর্থাৎ, যে ছন্দে রচিত পদ্যের প্রতি চরণের অক্ষরসজ্জা যথাক্রমে—ন-গণ, ন-গণ, ম-গণ, য-গণ এবং য-গণ থাকে সেই ছন্দকে মালিনী ছন্দ বলা হয়।

মালিনী ছন্দের উদাহরণ

মহাকবি কালিদাসের “অভিজ্ঞানশকুন্তলম্” এর অনেক শ্লোক মালিনী ছন্দে রচিত। তার মধ্যে একটি হল তৃতীয় অংকের শ্লোক—

ন / ন / ম / য / য

v v v / v v v / – – – / v – – / v – –

অনব / রত ধ / নুর্জ্যাস্ফা / লনক্রূ / রপূর্বং
রবিকিরণ সহিষ্ণু স্বেদলেশৈরভন্নম্।
অপচিতমপি গাত্রং ব্যায়তত্বাদলক্ষ্যং
গিরিচর ইব নাগঃ প্রাণসারং বিভর্তি।।

উল্লিখিত পদ্যের প্রত্যেকটি চরণে ন, ন, ম, য এবং য-গণে পনেরোটি অক্ষর আছে। তাই এটি একটি মালিনী ছন্দে রচিত পদ্য। এখানে একটি চরণ ভেঙে দেখানো হয়েছে।

ব্যাখ্যা :— উল্লিখিত পদ্যের চরণগুলি বিশ্লেষণ করলে “ত্রিলঘুশ্চ নকারো” নিয়মে পর পর দুটি ন-গণ, “মস্ত্রিগুরুঃ” নিয়মে ম-গণ এবং “পুনরাদিলঘুর্যঃ” নিয়মে পর পর দুটি য-গণ হয়েছে। তাই লক্ষণ অনুযায়ী এখানে মালিনী ছন্দ হয়েছে।

मालिनी छन्द

संस्कृत साहित्यजगति ‘मालिनी’ छन्दसः प्रचुरं प्रयोगं दृश्यते। एवञ्च छन्दः अत्यन्तं लोकप्रसिद्ध विद्यते। कालिदासादयः ‘मालिनी’ छन्दसा एव वहुनि पद्यानि रचितन्तः ।

लक्षणम् – आचार्येन गङ्गादासेन विरचितः ‘छन्दोमञ्जरी’ ग्रन्थे पञ्चदशाक्षरम् ‘मालिनी’ नाम वृत्तम् अस्ति। अस्य छन्दसः लक्षणविषये आचार्य गङ्गादासेन उक्तम्-‘ननमयय युतेयं मालिनी भोगिलोकैः।’ अर्थात् यस्मिन् छन्दसि ‘न, न, म, य, य’ गणाः विद्यन्ते । तत्र ‘मालिनी’ नाम छन्दः भवतिः।

यति – अस्य छन्द‌सि अष्टम, पञ्चदशाक्षरे यति विद्यते ।

लघु-गुरु चिह्नम् – ‘v’ , ‘-‘

उदाहरणम्:-

न / न / म / य / य

v v v / v v v / – – – / v – – / v – –
अनव / रत ध / नुर्ज्यास्फा / लनक्रू/ रपूर्वं

व्याख्यानम् – उक्त चरणं विश्लेषणेन ‘त्रिलघुश्च नकारः’ अनेन नियमेन ‘न’ गणः, ततः पुनः ‘त्रिलघुश्च नकारः’ अनेन नियमेन ‘न’ गणः, ततः ‘मस्त्रिगुरुः’ अनेन नियमेन ‘म’ गणः, ततः ‘पुनरादिलघुर्यः’ अनेन नियमेन ‘य’ गणः, ततः पुनः अनेन नियमेन ‘य’ गणः प्राप्त्यते। अतएव अत्र ‘मालिनी’ छन्दः इति विद्यते।

ধন্যবাদ

সংস্কৃত ছন্দ অধ্যয়ন করতে আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈

আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE👈

Leave a Comment