এই অধ্যায়ে আমরা জানব আর্যভট্ট ।একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী , স্নাতক , স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছাড়াও WBSSC এর SLST পরীক্ষার্থীদের আর্যভট্ট সম্পর্কে যথাযথ ধারণা থাকতে হবে । আর্যভট্ট বিশ্বের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ। আর্যভট্ট সম্পর্কে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ লিখ, প্রশ্নটির আলোচনা করব। উচ্চমাধ্যমিক 2025 পরীক্ষার্থীদের Suggestive প্রশ্নগুলির মধ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
সংষ্কৃত একটি প্রাচীন ভাষা। এই ভাষাতে প্রাচীন ভারতীয় মনীষার সর্ববিধ অনুশীলনের আশ্চর্য প্রকাশ বৈদিক যুগ থেকে। এর মধ্যে যেমন আধছে সাহিত্যের বিচিত্র মার্গচারণা তেমনি আছে ধর্ম, দর্শন, রাজনীতিশাস্ত্র সামাজিক ও পারিবারিক জীবনচর্চার অনুশাসনমূলক সাহিত্য। বিজ্ঞান, কারিগরিরি চিকিৎসাবিদ্যা, ভাস্কর্য, চিত্র, সঙ্গীত, নৃত্য ইত্যাদি বিষয়ে অজস্র রচিত গ্রন্থ আছে। যা আলোচনা ও যথার্থ সম্পাদনার অভাবে সাধারণ জনেদের কাছে সংস্কৃত সাহিত্য যেন প্রাচীন সাহিত্য ও ধর্মশাস্ত্র রূপেই বেশি পরিচিত।
আর্যভট্ট সম্পর্কে একটি নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ
ভুমিকা :- ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিত শাস্ত্রে আর্যভট্ট এক অবিস্মরণীয় নাম পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে আবর্তন করে এই সত্য তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন। তিনি খ্রীষ্টিয় পঞ্চম শতকে জন্মগ্রহণ করেন।
রচিত গ্রন্থসমূহ :- তাঁর রচিত দুটি গ্রন্থের কথা জানা যায়। প্রথমটি হল আর্যভট্টীয় এবং দ্বিতীয় গ্রন্থটি হল আর্য-সিদ্ধান্ত। দ্বিতীয় গ্রন্থটির নাম পাওয়া গেলও মূল গ্রন্থটি পাওয়া যায়নি।
আর্যভট্টীয়
আর্যভট্টীয় গ্রন্থটি 121 টি শ্লোক ও চারটি পাদ বা অধ্যায় নিয়ে গঠিত –
I) গীতিকাপাদ :- এই অধ্যায়ে 13 টি শ্লোকে কল্প, যুগ, বৃত্তীয় একক, দৈর্ঘ্যের এককের সংজ্ঞা, পৃথিবীর ঘূর্ণন ও অন্যান্য গ্রহের আবর্তন নিয়ে আলোচনা আছে।
II) গণিতপাদ :- এই অধ্যায়ে 33 টি শ্লোকে জ্যামিতিক চিত্র ও তার ধর্ম, সুদকষা, সরল সমীকরণ, সহ সমীকরণ, দ্বিঘাত সমীকরণ, পাটিগণিতের পদ্ধতিতে বর্গমূল, ঘনমূল ইত্যাদি আলোচিত হয়েছে।
III) কালকক্রিয়াপাদ :- এই অধ্যায়ে 25 টি শ্লোকে সময়ের বিভিন্ন একক, যেমন বছর, মাস, দিন প্রভৃতির আলোচনা রয়েছে।
IV) গোলপাদ :- এই অধ্যায় 50 টি শ্লোকে সূর্য, চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহের গতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গোলীয় ত্রিকোণমিতির বিভিন্ন সূত্রও এই অধ্যায়ে পাওয়া যায়।
মূল্যায়ণ
আর্যভট্টের অবদান ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে। গ্রন্থটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাষায় রচিত বলে টিকার সাহায্য ছাড়া বোঝা অসম্ভব। নীলকন্ঠ, সোমযাজী প্রমুখ টিকাকারেরা গ্রন্থটির ব্যাখ্যা করেছেন। পৃথিবীর আকর্ষনের ফলে বস্তু মাটিতে পড়ে একথা আর্যভট্ট প্রথম বলেন।
“আকৃষ্টশক্তিঃ মহী তয়া যৎ আকৃষ্যতে তৎ পততীব ভাতি।”
আর্যভট্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাস্য
গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক।
121 টি।
গুপ্তযুগের নিউটন।
ধন্যবাদ
আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈
আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE👈