সমাস থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর

সমাস থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর দ্বাদশ শ্রেণীর SEMESTER – 4 পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। সমাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানতে হবে। কর্মধারয়, দ্বিগু (সমাহার), দ্বন্দ্ব ও বহুব্রীহি (সমানাধিকরণ, ব্যধিকরণ, নঞ্) পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত। ব্যাকরণ থেকে ছয়/সাতটি দুই নং এর প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো পাঁচটির প্রদত্ত নির্দেশানুসারে উত্তর করতে হবে (2 X 5 = 10)।

আমরা জানব সংস্কৃত ভাষায় সমাস কাকে বলে ও সমাস কতরকমের ও কী কী অর্থাৎ সমাসের শ্রেণীবিভাগ, সমাস নির্ণয়ের বিভিন্ন নিয়ম ও সূত্র। এখানে তোমাদের সাহায্যার্থে সমাসের পুরো বিষয়টিকে খুব সহজভাবে তুলে ধরতে চাইছি, যাতে খুব সহজে তোমাদের বোধগম্য হয়। চতুর্থ সেমিস্টারে কর্মধারয়👈, দ্বিগু👈, দ্বন্দ্ব👈 ও বহুব্রীহি👈 সমাস অনুশীলন করলেই হবে। এই দুটি সমাস থেকেই প্রশ্নোত্তর আছে। সমাসদুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপরের link এ click করে জেনে নাও।

সমাস কাকে বলে

সম্ পূর্বক দিবাদিগণীয় অস্ ধাতুর ঘঞ্ প্রত্যয় করে সমাস শব্দটি নিষ্পন্ন। সমাস শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ সংক্ষেপ। অর্থাৎ একাধিক পদ মিলে একটি পদে পরিণত হাওয়াকে সমাস বলে। সংস্কৃতে সমাসের লক্ষণ হল – একপদীভাবঃ সমাসঃ । সমর্থঃ পদবিধিঃ। সমর্থ অর্থাৎ বিগ্রহবাক্যের অর্থ প্রকাশ করার শক্তিযুক্ত। সমাসের ক্ষেত্রে পদবিধি বলতে দুই বা ততোধিক পদসংক্রান্ত বিধিকেই বুঝতে হবে।

সমাসের কয়েকটি পারিভাষিক শব্দ

সমাসবদ্ধ পদ :- সমস্যমান পদগুলোর মিলিত একপদকে সমাসবদ্ধ পদ বলে। ‘রাজপুরুষঃ’ হল সমাসবদ্ধ পদ।

ব্যাসবাক্য:- সমাসবদ্ধ পদের অর্থটি বোঝাবার জন্য যে পদগুলো প্রয়োগ করা হয়, সেই পদগুলোকে ‘ব্যাসবাক্য’ বা ‘বিগ্রহবাক্য’ বলে। রাজ্ঞঃ পুরুষঃ হল ব্যাসবাক্য।

সমস্যমান পদ :- ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্যের প্রত্যেকটি পদকে সমস্যমান পদ বলে। ‘রাজ্ঞঃ’ ও ‘পুরুষঃ’ পদ দুটি হল সমস্যমান পদ।

পূর্ব পদ :- ব্যাসবাক্যের মধ্যে যে দুটি পদ নিয়ে সমাস হয়, সমস্ত পদে যে ক্রমে বসে সেই ক্রম অনুসারে বসে, তাদের প্রথমটিকে পূর্ব পদ বলে।

উত্তর পদ বা পরপদ :- ব্যাসবাক্যের মধ্যে যে দুটি পদ নিয়ে সমাস হয়, সমস্ত পদে যে ক্রমে বসে সেই ক্রম অনুসারে বসে, তাদের পরেরটিকে উত্তর পদ বা পরপদ বলে।

SAQ প্রশ্নোত্তর

সমাস থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ দ্বাদশ শ্রেণীর SEMESTER – 4 প্রতিটি প্রশ্নের মান 2 অনুসারে বিস্তারিতভাবে সিলেবাস অনুসারে আলোচিত হল। যাদের কঠিন মনে হবে, তারা সংজ্ঞা দিতে গিয়ে কোটেশনে থাকা সংস্কৃত সূত্রটি বাদ দিয়ে দেবে।

1) সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ‘একপদীভাবঃ সমাসঃ’ অর্থাৎ একাধিক পদ মিলে একটি পদে পরিণত হাওয়াকে সমাস বলে। যেমন— কৃষ্ণং শ্রিতঃ = কৃষ্ণশ্রিতঃ।

2) কর্মধারয় সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ‘তৎপুরুষঃ সমানাধিকরণঃ কর্মধারয়ঃ’ অর্থাৎ যে তৎপুরুষ সমাসে সমস্যমান পদদ্বয় সমানাধিকরণ অর্থাৎ বিশেষ্য বিশেষণ ভাবাপন্ন অথবা অভেদ সম্বন্ধে একার্থ প্রতিপাদক হয়, তাকে কর্মধারয় বলে। যেমন— মহান্ রাজা = মহারাজা।

3) দ্বিগু সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ‘সংখ্যাপূর্বো দ্বিগুঃ’ অর্থাৎ যে কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক বিশেষণ থাকে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন— পঞ্চানাং বটানাং সমাহারঃ = পঞ্চবটী।

4) দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ‘উভয়পদার্থ প্রধানো দ্বন্দ্ব’ অর্থাৎ যে সমাসে উভয় পদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন— রামশ্চ লক্ষ্মণশ্চ = রামলক্ষ্মণৌ।

5) “চার্থে দ্বন্দ্ব” বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
উত্তর :- চ + অর্থে অর্থাৎ চ এর অর্থে একাধিক প্রথমান্ত সুবন্ত পদের পরস্পর সমাস হয়, এই সমাসকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

6) “চার্থে দ্বন্দ্ব” এখানে চ এর কয়টি অর্থ ও কি কি?
উত্তর :- চ এর চারটি অর্থ। যথা — সমুচ্চয়, অন্বাচ্চয়, ইতরেতরযোগ ও সমাহার।

7) দ্বন্দ্ব সমাস কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর :- দ্বন্দ্ব সমাস দুই প্রকার। যথা — ইতরেতর দ্বন্দ্ব সমাস ও সমাহার দ্বন্দ্ব সমাস।

8) ইতরেতর দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত একাধিক সুবন্ত পদ একই ক্রিয়ার সঙ্গে অন্বিত হলে, তাকে ইতরেতর দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন— হরিশ্চ হরশ্চ = হরিহরৌ।

9) সমাহার দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যে দ্বন্দ্ব সমাসে বস্তুগুলির সমূহ বোঝালে পদদ্বয়ের সমাসকে সমাহার দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন— অহয়শ্চ নকুলাশ্চ = অহিনকুলম্।

10) বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ‘অন্যপদার্থপ্রধানো বহুব্রীহিঃ’ অর্থাৎ যে সমাসে সমস্যমান পদসমূহের অর্থ প্রধারূপে না বুঝিয়ে অন্য একটি পদের অর্থ প্রধান হয়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন— বীণা পাণৌ যস্যাঃ সা = বীণাপাণিঃ।

11) বহুব্রীহি সমাস কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর :- বহুব্রীহি সমাস দুই প্রকার। যথা —
I) সমানাধিকরণ বহুব্রীহি ও
II) ব্যধিকরণ বহুব্রীহি।

12) সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যে বহুব্রীহি সমাস বিশেষণ ও বিশেষ্য পদে নিষ্পন্ন হয় এবং পদদুটিতে একই বিভক্তি থাকে , তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন— পীতম্ অম্বরং যস্য সঃ = পীতাম্বরঃ।

13) ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদসমূহ বিভিন্ন বিভক্তিযুক্ত হয়, তাকে ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন— পদ্মং নাভৌ যস্য সঃ = পদ্মনাভঃ।

14) ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- “তত্র তেনেদমিতি সরূপে” অর্থাৎ পরস্পর এক প্রকার ক্রিয়ানুষ্ঠান বোঝালে সমানাকার দুটি সপ্তম্যন্ত বা তৃতীয়ান্ত পদে যে সমাস হয়, তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি বলে। যেমন— কেশেষু কেশেষু গৃহীত্বা ইদং যুদ্ধং প্রবৃত্তম্ = কেশাকেশি

15) ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয় করো :- চক্রপাণিঃ, পিতরৌ।
উত্তর :- পিতরৌ  মাতা চ পিতা চ  ইতরেতর দ্বন্দ্ব সমাস। চক্রপাণিঃ  চক্রং পাণৌ যস্য সঃ  বহুব্রীহী সমাস।

16) ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয় করো :- অহর্নিশম্, শরবিদ্ধঃ।
উত্তর :- অহর্নিশম্  অহশ্চ নিশা চ  সমাহার দ্বন্দ্ব সমাস। শরবিদ্ধঃ  শরেণ বিদ্ধঃ  তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস।

17) ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয় করো :- মহারাজঃ, পাণিপাদম্।
উত্তর :- মহারাজঃ  মহান্ রাজা  কর্মধারয় সমাস। পাণিপাদম্  পাণী চ পাদৌ চ  সমাহার দ্বন্দ্ব সমাস।

অনুরূপ পাঠ

সমাস থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর এর মতো SEMESTER – 4 এর অনুরূপ পাঠগুলি জানতে নিম্নের Link এ Click করে জেনে নাও

Leave a Comment