সংস্কৃত লিঙ্গ

এই অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয় সংস্কৃত লিঙ্গ । এই বিবরণে সংস্কৃত লিঙ্গ সম্পর্কে বিশদে জানবো। Gender in Sanskrit

নামপদ্গুলির জাতি জানা প্রয়োজন। এ জন্য লিঙ্গ জানা আবশ্যক। লিঙ্গ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকলে সঠিক ক্রিয়াপদের প্রয়োগ সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে যে, সংস্কৃত ভাষায় শুধুমাত্র অর্থ দ্বারা লিঙ্গ নির্ণয় হয় না। ব্যাকরণ, অভিধান ও শিষ্ট প্রয়োগ দ্বারাই অধিকাংশ স্থলে বিশেষ্যের লিঙ্গ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যেমন—ভার্যাবোধক ‘দার’ শব্দ পুংলিঙ্গ, নিত্য বহুবচনান্ত। ভার্যা শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ, কিন্তু কলত্র শব্দ ক্লীবলিঙ্গ। ‘পুত্র’ ও ‘কন্যা’ উভয়কে বোঝাতে ‘অপত্য’ শব্দ ক্লীবলিঙ্গ। ‘মিত্র’ শব্দ ‘সূর্য’ অর্থে পুংলিঙ্গ, ‘বন্ধু’ অর্থে ক্লীবলিঙ্গ। ‘গ্রন্থ’ শব্দ পুংলিঙ্গ। কিন্তু ‘পুস্তক’ শব্দ ক্লীবলিঙ্গ এবং ‘অপ্ (জল) শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ নিত্যবহুবচনান্ত । কিন্তু ‘জল’ শব্দ ক্লীবলিঙ্গ ।

লিঙ্গ কাকে বলে? লিঙ্গ কয় প্রকার ও কি কি?

সংস্কৃত লিঙ্গ আলোচ্য। লিঙ্গ শব্দের অর্থ চিহ্ন। যে চিহ্নের দ্বারা কোন শব্দ পুরুষবাচক, স্ত্রীবাচক ও ক্লীববাচক বোঝায়, তাকে লিঙ্গ বলে।

লিঙ্গের প্রকারভেদ

সংস্কৃতে লিঙ্গ তিনটি—

  • পুংলিঙ্গ
  • স্ত্রীলিঙ্গ
  • ক্লীবলিঙ্গ ।

লিঙ্গভেদে পদও তিন প্রকার—পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ ও ক্লীবলিঙ্গ।

পুংলিঙ্গ কাকে বলে ?

যে সকল শব্দে পুরুষ জাতিকে বোঝায় অর্থাৎ যে চিহ্ন বা লক্ষণের সাহায্যে পুরুষ জাতীয় প্রাণী বোঝায় তারা ও তাদের পর্যায়বাচক শব্দগুলি অর্থাৎ একই অর্থে প্রযুক্ত বিভিন্ন শব্দগুলিকে পুংলিঙ্গ হয়। যথা—নরঃ, বালকঃ, মুনিঃ, সাধুঃ, পিতা, রাজা ইত্যাদি।

পুঙ্গলিঙ্গ নির্ণয়ের নিয়মাবলী

দেব দৈত্য স্বর্গ যাগ পর্বত সাগর।

মেঘ বৃক্ষ অরি কাল অসি পঙ্ক শর৷

কর গণ্ড ওষ্ঠ কেশ দন্ত নখ স্তন।

ইহাদের অর্থ পুংলিঙ্গেতে গণন ৷৷

[ক] দেব, দৈত্য, কাল, স্বর্গ, পর্বত, যজ্ঞ, মেঘ, বৃষ, শত্রু, পঙ্ক—শব্দের পর্যায়বাচক শব্দগুলি পুংলিঙ্গ। একই অর্থে প্রযুক্ত ভিন্ন ভিন্ন শব্দকে পর্যায়বাচক শব্দ বলে। যেমন—

  • দেব পর্যায়— সুরঃ, অমরঃ, দেব: ইত্যাদি।
  • যজ্ঞ পর্যায়—যজ্ঞঃ, যাগঃ ইত্যাদি।
  • দৈত্য পর্যায়—অসুর,দৈত্যঃ, রাক্ষসঃ ইত্যাদি।
  • মেঘ পর্যায়—বারিবাহঃ, মেঘঃ, ঘনঃ, জলমুচ্, পর্জন্যঃ ইত্যাদি ।
  • কাল পর্যায় —কালঃ, সময়ঃ ইত্যাদি।
  • বৃক্ষ পর্যায়—পাদপঃ, বৃক্ষঃ, তরুঃ ইত্যাদি ।
  • স্বর্গ পর্যায়— স্বর্গঃ, সুরলোকঃ ইত্যাদি।
  • শত্রু পর্যায়—শত্রুঃ, অরিঃ, রিপুঃ ইত্যাদি
  • শর পর্যায়—শরঃ, বাণঃ, ঈষুঃ ইত্যাদি।
  • পঙ্ক পর্যায়—পঙ্কঃ, কর্দমঃ ইত্যাদি।
  • পর্বত পর্যায় —গিরিঃ, পর্বতঃ, নগঃ, শৈলঃ ইত্যাদি।

[খ] শব্দের শেষে রু, তু, ধি, ক প্রভৃতি বর্ণ থাকলে শব্দগুলি প্রায়ই পুংলিঙ্গ হয়। যেমন—

মরুঃ,তরুঃ, হেতুঃ, সেতুঃ, বিধিঃ, নিধিঃ, লোকঃ, পাকঃ শাকঃ ইত্যাদি।

[গ] যেসব শব্দের অন্ত্যবর্ণের পূর্ববর্ণ ট, থ, ন, প, য় ও স হয়, তারা পুংলিঙ্গ। যেমন—

  • ট —শকটঃ, খটঃ, ঘটঃ , পটঃ ইত্যাদি।
  • থ —অর্থঃ, রথঃ, প্রমথঃ ইত্যাদি ।
  • ন—ফেনঃ ঊনঃ, রাবণঃ ইত্যাদি।
  • প―ধূপঃ, দীপঃ, ভূপঃ ইত্যাদি ।
  • স —বায়সঃ , রসঃ, হংসঃ ইত্যাদি।
  • য় —হয়ঃ, সময়ঃ ইত্যাদি

[ঘ] ঘঞ ও অল্ প্রত্যয়াস্ত শব্দগুলি পুংলিঙ্গ। যেমন—

পচ্‌ + ঘঞ্=পাকঃ, জি + অল্=জয়ঃ ।

ঙ) ‘কি’ প্রত্যয়াস্ত শব্দ পুংলিঙ্গ। যেমন —

সম্ -ধা + কি = সন্ধি। নিধা + কি=নিধিঃ । পয়ঃ-ধা +কি = পয়োধিঃ ।

[চ] ণঙ্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ পুংলিঙ্গ। যেমন—যত্ + ণঙ্ = যত্নঃ, প্রচ্ছ্+ণঙ্=প্রশ্নঃ

(ছ] ণ, অথু, ইমন্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ পুংলিঙ্গ। যেমন—ব্যধ্+ণ =ব্যাধঃ, বেপ্+অথু= বেপথুঃ, গুরু + ইমন্‌ = গরিমা ; লঘু + ইমন্= লঘিমা, অণু + ইমন্=অণিমা ইত্যাদি।

(জ) যেসব সমাসবদ্ধ পদের শেষে রাত্র, অহ্ন ও অহ থাকে, তারা পুংলিঙ্গ হয়। যেমন – পূর্বরাত্রঃ , পূর্বাহ্নঃ , পরাহ্নঃ ইত্যাদি।

(ঝ) ‘সূর্য’ অর্থে ‘মিত্র’ শব্দ পুংলিঙ্গ। যেমন— মিত্রশ্চ বরুণশ্চ=মিত্রাবরুণৌ।

[ঞ] কেশ, কণ্ঠ, দন্ত, নগ, গণ্ড শব্দগুলি পুংলিঙ্গ। যথা—কেশঃ, কণ্ঠঃ, দন্তঃ, নখঃ, গণ্ডঃ প্রভৃতি শব্দ পুংলিঙ্গ।

স্ত্রীলিঙ্গ কাকে বলে

যে সকল শব্দে স্ত্রীজাতিকে অর্থাৎ যে চিহ্ন বা লক্ষণের সাহায্যে স্ত্রীজাতীয় প্রাণী বোঝায়, তারাই স্ত্রীলিঙ্গ। যথা— নদী, বালিকা, ছাত্রা, ভার্যা, বধুঃ, মাতা ইত্যাদি।

স্ত্রীলিঙ্গ নির্ণয়ের নিয়মাবলী

[ক] সাধারণতঃ, আ-কারান্ত ও ঈ-কারান্ত শব্দগুলি স্ত্রীলিঙ্গ হয়। যেমন-

আ-কারান্ত — লতা, বালিকা, ছাত্রা, মালা, শাখা, সভা, প্রজা, বর্ষা, শয্যা ইত্যাদি।

ঈ-কারান্ত—নদী, দেবী, যামিনী, বিভাবরী, রজনী, তরুণী ইত্যাদি।

[খ] যে শব্দগুলি ক্তি-প্রত্যয়াস্ত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য, সেগুলি স্ত্রীলিঙ্গ রূপে পরিগণিত হয়। এই প্রকার শব্দগুলির শেষে তি থাকে। যেমন—মন্+ক্তি=মতি ; বুধ+ক্তি=বুদ্ধি

এইরূপ—শক্তিঃ, ভক্তিঃ, শ্ৰুতিঃ, স্মৃতিঃ, ধৃতিঃ, বৃতিঃ ইত্যাদি।

[গ] ভূমি, তিথি, রাত্রিবাচক ও বিদ্যুৎবাচক শব্দগুলি স্ত্রীলিঙ্গ হবে। যথা—

  • ভূমিবাচক —ভূমিঃ, ভূঃ, মেদিনী, পৃথ্বী, ক্ষিতিঃ ইত্যাদি।
  • তিথিবাচক—প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী ইত্যাদি।
  • রাত্রিবাচক —রাত্রিঃ, নিশা, যামিনী, রজনী ইত্যাদি।
  • বিদ্যুৎবাচক —তড়িৎ, চপলা, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী ইত্যাদি ।

[ঘ] এক স্বরবিশিষ্ট ঈ-কার ও ঊ-কারান্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ। যেমন—ধীঃ, ভীঃ, শ্ৰীঃ, হ্রীঃ, ভূঃ। কিন্তু একাক্ষর না হলে পুংলিঙ্গ হয়। যথা— সুধীঃ, স্বয়ম্ভূ, সুত্রী, শম্ভু ইত্যাদি।

[ঙ] ক্যপ্ প্রত্যয়ান্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ। যথা— শী+কাপ্ + (আপ্)=শয্যা; ভৃ+কাপ্ + (আপ্)=ভার্যা, বিদ্‌+কাপ্+ (আপ)=বিদ্যা।

[চ] বিংশতি হতে নবতি পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দগুলি স্ত্রীলিঙ্গ ও একবচনান্ত হয়। যথা—বিংশতি, ত্রিংশৎ, চত্বারিংশৎ, পঞ্চাশ‍ৎ, ষষ্ঠিঃ, সপ্ততিঃ, অশীতিঃ, অষ্টাচত্বারিংশ, ঊনপঞ্চাশৎ, নবতি ইত্যাদি।

ক্লীবলিঙ্গ কাকে বলে

যে সকল শব্দে বা যে চিহ্ন বা লক্ষণের সাহায্যে পুরুষজাতি অথবা স্ত্রীজাতিকে না বুঝিয়ে সাধারণতঃ অন্য কোন বস্তুকে বোঝায়, সেইসব শব্দকে ক্লীবলিঙ্গ বলে। যথা— দধি, গৃহম্, ছত্রম্, পুস্তকম্, ফলম্ ইত্যাদি।

ক্লীবলিঙ্গ নির্ণয়ের নিয়মাবলী

গগন কানন পত্র স্বর্ণ ধন বল।

রুধির আনন নেত্র পুষ্প ফল জল ॥

শুভাশুভ শীত উষ্ণ আহার্য ব্যঞ্জন।

বিবর-বাচক ক্লীবলিঙ্গেতে গণন ৷

[ক] পত্র, পুষ্প, ফল, জল, বল, কানন, আনন, রুধির, গগন, নেত্র, গীত, উষ্ণ, আহার্য পর্যায়বাচক শব্দ ক্লীবলিঙ্গ। যেমন— পত্রম্, পুষ্পম্, প্রসূনম্, ফলম্, জলম্, বারি, বনম্, অরণ্য, ব্যাজনম্, উদ্যানম্, মুখম্, আননম্, রুধিরম্, শোণিতম্, রক্তম্, গগনম্, নভঃ, নেত্রম্, চক্ষুঃ, নয়নম্, গীতম্, উষ্ণম্‌, ভোজ্যম্, অন্নম্, আহার্যম্ ইত্যাদি।

[খ] বন্ধু অর্থে ‘মিত্র’ শব্দ, ভার্যা অর্থে ‘কলত্র’, এবং শত ও সহস্র শব্দ ক্লীবলিঙ্গ ।

[গ] ক্রিয়ার বিশেষণ ও অব্যয় -এর বিশেষণ ক্লীবলিঙ্গ। যেমন— দ্রুতং গচ্ছতি বালা। বায়ুঃ মন্দং বহতি।

[ঘ] ভাবে অনট্ প্রত্যয়াস্ত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য ক্লীবলিঙ্গ। এদের শেষে ম বা ণ থাকে।যথা—গগনম্, শয়নম্, ভোজনম্, ভ্রমণম্ ইত্যাদি।

[ঙ] ষ্ণ, ষ্ণা, ও ত্ব প্রভৃতি তদ্ধিত প্রত্যয়ান্ত শব্দ ক্লীবলিঙ্গ। যেমন— গৌরবম্, সাম্যম্, গুরুত্বম্, বন্ধুত্বম্ ইত্যাদি ।

সংস্কৃত ভাষায় কেবল অর্থ দ্বারা লিঙ্গ নির্ণয় হয় না। ব্যাকরণ, অভিধান ও শিষ্ট প্রয়োগ দ্বারাই অধিকাংশ স্থলে বিশেষ্যের লিঙ্গ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। যেমন— ভার্যাবোধক ‘দার’ শব্দ পুংলিঙ্গ, নিত্যবহুবচনান্ত; ভার্যা শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ, কিন্তু ‘কলত্র ‘ শব্দ ক্লীবলিঙ্গ। ‘পুত্র’ ও ‘কন্যা’ উভয়কে বোঝাতে ‘অপত্য ‘ শব্দ ক্লীবলিঙ্গ। ‘মিত্র’ শব্দ ‘সূর্য’ অর্থে পুংলিঙ্গ, ‘বন্ধু’ অর্থে ক্লীবলিঙ্গ। ‘গ্রন্থ’ শব্দ পুংলিঙ্গ। কিন্তু ‘পুস্তক’ শব্দ ক্লীবলিঙ্গ এবং ‘অপ্’ (জল) শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ নিত্যবহুবচনাস্ত।কিন্তু ‘জল’ শব্দ ক্লীবলিঙ্গ ।

সংস্কৃত লিঙ্গ

পুংলিঙ্গস্ত্রীলিঙ্গ
অজঃঅজা
অমরঃ
অমরা
অশ্বঃ
অশ্বা
তনয়ঃতনয়া
তনুতন্বী
গায়কঃগায়িকা
গোপঃগোপী
জনকঃজননী
পুত্রঃপুত্রী
পাচকঃপাচিকা
তরুণঃতরুণী
রাজন্রাজ্ঞী
মানুষঃমানুষী
সত্সতী
সখিঃসখী
বরুণঃবরুণানী
কিশোরঃকিশোরী
কপিঃকপী
কল্যাণঃকল্যাণী
রজকঃরজকী
কারকঃকারিকা
বানরঃবানরী
কোকিলঃকোকিলা
নায়কঃনায়িকা
উপাধ্যায়ঃউপাধ্যায়ী,উপাধ্যায়া,উপাধ্যায়িনী
কর্তৃঃকর্ত্রী
অরণ্যম্অরণ্যানী
অশ্বঃঅশ্বা
বিদ্বস্বিদ্বষী
যুবন্যুবা
মৃন্ময়ঃমৃন্ময়ী
সহোদরঃসহোদরা,সহোদরী
হরিনঃহরিণী
সেবকঃসেবকা, সেবিকা
আচার্যঃআচার্যা, আচার্যানী
মাতুলঃমাতুলী, মাতুলানী
কৃপণঃকৃপণা, কৃপণী
ঘোটকঃঘোটকী
ছাত্রঃছাত্রা, ছাত্রী
হিমঃহিমানী
কুম্ভকারঃকুম্ভকারী
কৃশাঙ্গঃ
কৃশাঙ্গী
ক্ষত্রিয়ঃ ক্ষত্রিয়ী, ক্ষত্রিয়া, ক্ষত্ৰিয়ানী
গর্দভঃ
গর্দভী
শিক্ষকঃশিক্ষিকা
গৃহপতিঃ গৃহপত্নী
গোপালকঃ গোপালিকা
দৌহিত্রঃদৌহিত্রী
নর্তকঃনর্তকী
পাঞ্চালঃপাঞ্চালী
ব্রাহ্মণঃব্রাহ্মণী
ভবঃভবানী
মুষিকঃমূষিকা
১) ‘লিঙ্গ’ শব্দের অর্থ কী ?

চিহ্ন।

২)মিত্র শব্দের পুংলিঙ্গে অর্থ কী?

সূর্য

শব্দের জাতিভেদের নাম কী ?

লিঙ্গ ।

ধন্যবাদ

আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈

আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE👈 

Leave a Comment