ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ টি একাদশ শ্রেণীর পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। ভারতবিবেকম্ নাট্যাংশটি দেবনাগরী ও বাংলা হরফে নিচে দেওয়া হল। বাংলায় সহজ ও সাবলীল কথায় অনুবাদ করা হল।
যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী রচিত ভারতবিবেকম্ নাটকটি দ্বাদশ দৃশ্যের একটি নাটক। নাটকটি স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের প্রথম পর্বের ঘটনাবলী। নাটকের প্রথম দৃশ্যের অন্তর্গত একটি অংশের নাম , “শ্রীরামকৃষ্ণেণ সহ শ্রীনরেন্দ্রস্য সাক্ষাৎকারঃ”। এখানে শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে নরেন্দ্রের সাক্ষাৎকারটি কেমনভাবে ঘটেছিল এবং তারপর উভয়ের মধ্যে ভাববিনিময়টি কেমন ছিল, তাই নাট্যরূপ লাভ করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
ভারতবিবেকম্
ভারতবিবেকম্ নাটকটি ডক্টর যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী রচিত। নাটকটির প্রথম দৃশ্যের কিছু অংশ একাদশ শ্রেণীর পাঠ্য হিসাবে নির্দিষ্ট। পাঠ্যাংশটি শ্রীরামকৃষ্ণেণ সহ শ্রীনরেন্দ্রস্য সাক্ষাৎকারঃ
পাঠ্যাংশের নাম | শ্রীরামকৃষ্ণেণ সহ শ্রীনরেন্দ্রস্য সাক্ষাৎকারঃ |
রচনা | ডক্টর যতীন্দ্রবিমল চৌধুরী |
উৎস গ্রন্থ | ভারতবিবেকম্ |
দৃশ্য | প্রথম দৃশ্যে |
পাঠ্যাংশ (দেবনাগরী ও বাংলা হরফ এবং অনুবাদ)
ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ
प्रथमदृश्यम्
श्रीरामकृष्णेन सह श्रीनरेन्द्रस्य साक्षातकारः
स्थानम् – कलिकाता-सिमुलियाञ्चले श्रीसुरेन्द्रनाथ-मित्रस्य गृहम् ।
समय:- रात्रेः सप्तमघटिका (ख्रीष्टाव्द: १८८१)
श्रीरामकृष्णदेवः, श्रीसुरेन्द्रनाथमित्रः, भक्ताश्च ।
প্রথম দৃশ্যম্
শ্রীরামকৃষ্ণেন সহ শ্রীনরেন্দ্রস্য সাক্ষাৎকারঃ
স্থানম্ – কলিকাতা-সিমুলিয়াঞ্চলে শ্রীসুরেন্দ্রনাথমিত্রস্য গৃহম্।
সময়ঃ – রাত্রেঃ সপ্তমঘটিকা (খ্রীষ্টাব্দঃ ১৮৮১)
শ্রীরামকৃষ্ণদেবঃ, শ্রীসুরেন্দ্রনাথমিত্রঃ, ভক্তাশ্চ।
প্রথম দৃশ্য
শ্রীরামকৃষ্ণের সাথে শ্রীনরেন্দ্রনাথের সাক্ষাৎকার
স্থান :— কলকাতায় সিমলাতে শ্রী সুরেন্দ্রনাথ মিত্রের বাড়ি
সময় :— রাত ৭টা ( ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ)
শ্রীরামকৃষ্ণদেব, সুরেন্দ্রনাথ মিত্র ও ভক্তেরা
श्रीरामकृष्णः — मातः! मातस्तुभ्यं नमः ।
जयति जयति यति-जनगति-जननी भवतारिणी।
नियत-विहित-सुतशतहित-बन्ध-मोक्षकारिणी ॥
गृह-शतशत- विरचनरत-कोटिदुःखहारिणी ।
ममताघन-करुणानयन-तृषित – शान्तिकारिणी ॥
सदाऽकारणकृपाकारिणि!
तनय- तनय- पुण्यविनय-धन्य मां कुरु जननि!
मातः! जगतः शतशतक्लेशाः मम हृदयं विदारयन्ति । त्वं कृपया साधनशतं मां विज्ञापितवती। किन्तु कुत्र ममोत्तरसाधकाः? उत्तरसाधकनित्यदर्शनलालसा हृदयं मम निरन्तरं क्लिश्नाति । जगज्जननि! कुत्र मम शिवसमोत्तरसाधको यदर्थमहं नित्यमपेक्षे?
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — মাতঃ ! মাতস্তুভ্যং নমঃ। –
জয়তি জয়তি যতি-জনগতি-জননী ভবতারিণী।
নিয়ত-বিহিত-সুতশতহিত-বন্ধ-মোক্ষকারিণী।।
গৃহ-শতশত-বিরচন-রত-কোটিদুঃখ-হারিণী।
মমতা-ঘন-করুণনয়ন-তৃষিত-শান্তিকারিণী।।
সদাহকারণকৃপাকারিণী !
তনয়-তনয়-পুণ্য-বিনয়-ধন্যং মা কুরু জননি!
মাতঃ ! জগতঃ শতশতক্লেশাঃ মম হৃদয়ং বিদারয়ন্তি। ত্বং কৃপয়া সাধনশত মাং বিজ্ঞাপিতবতী। কিন্তু কুত্র মমোত্তরসাধকাঃ ? উত্তরসাধকনিত্যদর্শনলালসা হৃদয়ং মম নিরন্তরং ক্লিশ্নাতি। জগজ্জননি ! কুত্ৰ মম শিবসমোত্তরসাধকো যদর্থমহং নিত্যমপেক্ষে?
শ্রীরামকৃষ্ণ — মা! মা! তোমাকে নমস্কার। সাধুজনদের চালনাকারিণী মা ভবতারিণী, সর্বদা শত শত সন্তানের কল্যাণের প্রতিবন্ধকতা দূর করেন, শত শত গৃহী মানুষদের অনন্ত দুঃখ হরণ করেন, তিনি মমতাময়, তাঁর কৃপাদৃষ্টির জন্য তৃষিত সন্তানদের তিনি শান্তি দেন, সেই দেবী কালিকার জয় হোক জয় হোক। হে মা তুমি সর্বদা অকারণে কৃপা বর্ষণকারিণী। হে জননী! আমাকে এই দীন তনয়ের প্রতি পুণ্য বিনয় দান করে ধন্য করো।
মা! জগতের শত শত দুঃখ আমার হৃদয়কে বিদীর্ণ করেছে। তুমি কৃপা করে শত সাধনা আমাকে শিখিয়েছিলে। কিন্তু কোথায় আমার উত্তরসাধকেরা? উত্তরসাধককে নিত্য দেখার ইচ্ছা আমার হৃদয়কে সব সময় কষ্ট দিচ্ছে। জগজ্জননী! কোথায় আমার শিবের মতো উত্তরসাধক যার জন্য আমি সবসময় অপেক্ষা করে আছি?
सुरेन्द्रनाथ:— (स्वगतम्) अहो! मधुरेयं सन्ध्या ! पुनः गुरुदेवस्य अनिर्वचनीयो महिमा ! यत्रैव एष तिष्ठति, तत्स्थानं क्षणाज्जायते देवमन्दिरसदृशम्। शरीरादस्य निरन्तरं प्रसरति ज्योतिर्धारा, वाक्यान्निर्गलति निरन्तर- प्रवाहि-सुरधनिधारेव सुधा, हास्यान्निःसरतिअरुणकिरणराशिः ।
সুরেন্দ্রনাথঃ — (স্বগতম) অহো! মধুরেয়ং সন্ধ্যা। পুনঃ গুরুদেবস্য অনির্বচনীয়ো মহিমা! যত্রৈব এষ তিষ্ঠতি, তৎস্থানং ক্ষণাজ্জায়তে দেবমন্দিরসদৃশম্। শরীরাদস্য নিরন্তরং প্রসরতি জ্যোতির্ধারা, বাক্যান্নির্গলতি নিরন্তরং-প্রবাহি-সুরধনিধারেব সুধা, হাস্যান্নিঃসরতি অরুণকিরণরাশিঃ।
সুরেন্দ্রনাথ— (স্বগতভাবে) আহা! কি মধুর এই সন্ধ্যা। আবার গুরুদেবের অনির্বচনীয় মহিমা। ইনি যেখানেই থাকেন, সেই স্থান মুহূর্তের মধ্যে দেবমন্দিরের মতো হয়ে যায়। এঁর শরীর থেকে সর্বদা জ্যোতি নির্গত হয়। কথা থেকে নিরন্তর গঙ্গার ধারার মতো অমৃত নিঃসৃত হয়, হাসি থেকে সূর্যের কিরণ বিচ্ছুরিত হয়।
श्रीरामकृष्णः — ( सुरेन्द्रमुद्दिश्य ) सुरेन्द्र। भृशं वाञ्छामि मातृकास्तुति श्रोतुम्। कश्चन तरुणगायकवरस्तव गृहसकाशे विद्यते वा? तस्मै चेतो ममोत्कण्ठते।
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — (সুরেন্দ্রমুদ্দিশ্য) – সুরেন্দ্র! ভূশং বাঞ্ছামি মাতৃকাস্তুতিং শ্রোতুম্। কশ্চন তরুণগায়কবরস্তব গৃহসকাশে বিদ্যতে বা ? তস্মৈ চেতো মমোংকণ্ঠতে।
শ্রীরামকৃয়— (সুরেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে) সুরেন্দ্র! মার গান শুনতে খুব ইচ্ছে করছে। তোমার বাড়ির কাছে কোনো অল্পবয়স্ক ভালো গায়ক আছে কি? তার জন্য আমার মন উৎকণ্ঠিত হচ্ছে।
सुरेन्द्र: — देव! विद्यते मम गृहसकाशे नरेन्द्रनाथनामधेयः दत्तवंशोद्भवोयुवकः । साम्प्रतं सः विद्यार्जनरतः, ब्राह्ममन्दिरादिकञ्च गच्छति। तरुणे वयसि वर्तमानोऽपि असौ सत्यमेव संगीतनिपुणः ।
সুরেন্দ্রনাথঃ — দেব ! বিদ্যতে মমগৃহসকাশে নরেন্দ্রনাথনামধেয়ঃ দত্তবংশোদ্ভবো যুবকঃ। সাম্প্ৰতং সঃ বিদ্যার্জনরতঃ, ব্রাহ্মমন্দিরাদিকঞ্চ গচ্ছতি। তরুণে বয়সি বর্তমানোঽপি অসৌ সত্যমেব সঙ্গীতনিপুণঃ।
সুরেন্দ্রনাথ— ঠাকুর। আমার বাড়ির কাছে দত্তবংশের নরেন্দ্র নামে একটা ছেলে আছে। সে ইদানীং পড়াশোনা করছে। ব্রাহ্মদের মন্দির-টন্দিরে যায়। বয়সে কম হলেও সে সত্যিই গানে খুব পারদর্শী।
श्रीरामकृष्णः — (हर्षान्वितः) किं नाम? नरेन्द्र इति? सत्यं सर्वनरश्रेष्ठ एवासाविति कथं मह्यं प्रतिभाति? अथवाऽकारणं वा स्निह्यत्यस्मिन्मम मनः । अहो ! अपूर्व वस्तु खलु मनो यदनागतकारणं सूचयति ।
(जननीं भवतारिणीमुद्दिश्य बद्धाञ्जलिर्भूत्वा )
जननि ! अप्येष नरेन्द्रो वरणीयतमो मम मानसपुत्रः स्यात् । मातः कृपामयि । कदापि त्वं मृषा न निर्दिशसि । सत्वरं ब्रूहि, मातः । एष नरेन्द्र एव मम श्रेष्ठ उत्तरसाधकः स्यात् ?
(सुरेन्द्रमुद्दिश्य) सुरेन्द्र! नरेन्द्रनामधारिणे तरुणाय सन्देशं मे शेषय । तद्दर्शनायाहमाकुलो वर्ते ।
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — (হর্ষান্বিতঃ) কিং নাম? নরেন্দ্র ইতি ? সত্যং সর্বনরশ্রেষ্ঠ এবাসাবিতি কথং মহ্যং প্রতিভাতি? অথবাহকারণং বা স্নিহাত্যস্মিন্ মম মনঃ। অহো ! অপূর্বং বস্তু খলু মনো যদনাগতকারণং সূচয়তি।
(জননীং ভবতারিণীমুদ্দিশ্য বদ্ধাঞ্জলির্ভূত্বা)
জননি! অপ্যেষ নরেন্দ্রো বরণীয়তমো মম মানসপুত্রঃ স্যাৎ। মাতঃ কৃপাময়ি। কদাপি ত্বং মৃষা ন নির্দিশসি।সত্বরং ব্রূহি, মাতঃ। এষ নরেন্দ্র এব মম শ্রেষ্ঠ উত্তরসাধকঃ স্যাৎ ?
(সুরেন্দ্রমুদ্দিশ্য) সুরেন্দ্র ! নরেন্দ্রনামধারিণে তরুণায় সন্দেশং মে প্রেষয়। তদ্দর্শনায়াহমাকুলো বর্তে।
শ্রীরামকৃয়— (উৎফুল্ল হয়ে) নামটা কী? নরেন্দ্র? সত্যি ওকেই সব মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে কেন আমার মনে হচ্ছে? নাকি, অকারণেই আমার মন এর দিকে টানছে! আহা! মন এক অপূর্ব বস্তু যা অনাগত কারণের সূচনা দেয়।
(জননী ভবতারিণীকে উদ্দেশ্য করে অঞ্জলিবদ্ধ হয়ে)
জননী! সবচেয়ে বেশি পছন্দের এই নরেন্দ্র আমার মানসপুত্র হোক! মা, দয়াময়ী! তুমি তো কখনোই মিথ্যে আদেশ করো না, এক্ষুনি বলো মা! এই নরেন্দ্রই আমার শ্রেষ্ঠ উত্তরসাধক হবে।
(সুরেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে) সুরেন্দ্র! নরেন্দ্র নামে ছেলেটাকে খবর পাঠাও। তাকে দেখার জন্য আমি আকুল হয়ে আছি।
सुरेन्द्र: — (विस्मयमापन्नः) नैष नरेन्द्रो गुरुदेवपरिज्ञातः । किन्तु कथमयं गुरुदेवो मे तस्मै भृशमुत्कण्ठते ? अथवा गहना खलु महतां चित्तवृत्ति ।
(श्रीरामकृष्णमुद्दिश्य) देव! अहं यामि । भवता क्षणमास्यताम् । अचिरेण प्रत्यावर्तिष्येऽहम्।
সুরেন্দ্রঃ — (বিস্ময়মাপন্নঃ) – নৈষ নরেন্দ্রো গুরুদেবপরিজ্ঞাতঃ। কিন্তু কথময়ং গুরুদেবো মে তস্মৈ ভৃশমুৎকণ্ঠতে? অথবা গহনা খলু মহতাং চিত্তবৃত্তিঃ।
(শ্রীরামকৃষ্ণমুদ্দিশ্য) দেব! অহং যামি। ভবতা ক্ষণমাস্যতাম্। অচিরেণ প্রত্যাবর্তিয্যেহম্।
সুরেন্দ্র— (বিস্মিত হয়ে) এই নরেনকে গুরুদেব তো জানেন না। তাহলে কেন আমার এই গুরুদেব তার জন্য খুব উৎকণ্ঠিত হচ্ছেন? অথবা, মহানদের চিত্তবৃত্তি গভীরই হয়।
(শ্রীরামকৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে) ঠাকুর! আমি যাই। আপনি একটু বসুন। খুব তাড়াতাড়ি আমি ফিরে আসছি।
श्रीरामकृष्णः — अहो! तरुण एव शिक्षणीयः । कोमलहृदयत्वात्सर्वमेव तस्य हृदि भवत्यङ्कितम् । काङ्क्षाम्यहं द्रष्टुं जटाजूटधारिणं सर्वभारवाहिनं सुरधनि-कलकलधारामलिनं शिवं विश्वस्य शङ्करं ममोत्तरसाधकम्।
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — অহো! তরুণ এব শিক্ষণীয়ঃ। কোমলহৃদয়ত্বাৎ সর্বমেব তস্য হৃদি ভবত্যঙ্কিতম্। কাঙ্ক্ষাম্যহং দ্রষ্টুং জটাজুটধারিণং সর্বভারবাহিনং সুরধনি- কলকলধারামলিনং শিবং বিশ্বস্য শঙ্করং মমোত্তরসাধকম্।
শ্রীরামকৃয়— আহা! তরুণকেই তো শিক্ষা দিতে হয়। যার কোমল হৃদয় বলে সব কিছুই তার হৃদয়ে আঁকা হয়ে যায়। আমি জটাজুটধারী বিশ্বের ভারবাহী গঙ্গার কলকল ধারায় প্রকটিত শিবকে বিশ্বের শংকরকে আমার উত্তরসাধকরূপে দেখতে চাই
(सुरेन्द्रनाथो नरेन्द्रेण सह प्रत्यावृत्तः)
नरेन्द्रनाथ: — ( प्रविश्य) साधवे नमः ।
(সুরেন্দ্রনাথো নরেন্দ্রেণ সহ প্রত্যাবৃত্তঃ)
নরেন্দ্রনাথঃ — (প্রবিশ্য) সাধবে নমঃ।
(সুরেন্দ্রনাথ নরেন্দ্রকে সাথে নিয়ে ফিরে এলেন)
নরেন্দ্রনাথ— (প্রবেশ করে) ঠাকুর নমস্কার।
(श्रीरामकृष्णस्तं निपुणं पश्यति । नरेन्द्रश्च किञ्चित्पर्याकुलो दृश्यते)
श्रीरामकृष्णः — (स्वगतम्) एष एव स वालको यदर्थमहं नक्तन्दिवं प्रार्थये। कमलकुञ्चितकेशदाम-सुसज्जशिरस्काकर्ण-विस्फारितनयनोऽयं दर्शनदानेनैव मामतुलनं नन्दयति । हृदयतटिनी मम सगर्जन प्रवहतितरां सागरसंगमे सागरजलस्फीतिप्रभावात्यथागङ्गतोयधारा । नटनृत्यचटुलमिव भासते मम चित्तस्थलं यत्र मम स्मृतिगुल्मदल कम्पते मलयपवनस्पर्शत्पुलकाकुलं वेणुवनं यथा ।
(শ্রীরামকৃষ্ণস্তং নিপুণং পশ্যতি। নরেন্দ্রশ্চ কিঞ্চিৎ পর্যাকুলো দৃশ্যতে)
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — (স্বগতম্) এষ এব স বালকো যদর্থমহং নক্তন্দিবং প্রার্থয়ে।কোমলকুঞ্চিতকেশদাম – সুসজ্জশিরস্কাকর্ণ-বিস্ফারিতনয়নোহয়ং দর্শনদানেনৈব মামতুলনং নন্দয়তি। হৃদয়তটিনী মম সগর্জনং প্রবহতিতরাং সাগরসঙ্গমে সাগরজলস্ফীতি-প্রভাবাৎ যথা গঙ্গাতোয়ধারা। নটনৃত্যচটুলমিব ভাসতে মম চিত্তস্থলং যত্র মম স্মৃতিগুম্মদলং কম্পতে মলয় পবনস্পর্শাত্ পুলকাকুলং বেণুবনং যথা।
(রামকৃষ্ণদেব ওকে ভালোভাবে দেখছেন। নরেন্দ্রকেও একটু চঞ্চল দেখাচ্ছে)।
শ্রীরামকৃয়— (স্বগত) ওহো! এই সেই ছেলেটা যার জন্য আমি দিনরাত প্রার্থনা করছি। নরম কোঁকড়ানো চুলে সুসজ্জিত মাথা, আকর্ণ বিস্ফারিত চোখের (অর্থাৎ বড়ো বড়ো চোখের অধিকারী) এই ছেলেটি দর্শনমাত্রেই আমাকে অতুলনীয় আনন্দ দিচ্ছে। সাগরসংগমে সাগরের জলস্ফীতির প্রভাবে যেমন গঙ্গার প্রবাহ বিপুলধারায় প্রবাহিত হয়, তেমনই আমার হৃদয়নদী গর্জন করে বয়ে চলেছে। নটের চঞ্চল নৃত্যের মতো আমার হৃদয় নাচছে, যেখানে আমার স্মৃতিরূপ গুল্মদল চঞ্চল হয়ে কাঁপছে, মৃদুমন্দ বাতাসে যেমন বাঁশবন আনন্দে কাঁপে ঠিক তেমনভাবে।
नरेन्द्रनाथ: — (स्वगतम्) अहो ! कथमहं नात्मानं प्रशमयितुं समर्थोऽस्मि ! नाहं स्वीकरोमि स्वीकरिष्यामि वा तथापि हृदयं मे एष एव हृदयानन्दश्चन्द्रोयस्यानन्दरश्मींश्चकोर इवाहं पिवामि । कोऽसौ महानुभावःकोटिसूर्यसमप्रभः अथ च कोटिचन्द्रसुशीतलो राजते धरातले ? अथवा क्षणिकः, क्षणिक एव मे चित्तविकारः ? मानवशरीरे भागवतसत्तारोप नाहं कदापि स्वीकरिष्यामि। धिङ्मम विद्या यदित्थमपप्रलापमिवाहं कृतवान्, धिङ्माम् ।
নরেন্দ্রনাথঃ — (স্বগতম্) অহো ! কথমহং নাত্মানং প্রশময়িতুং সমর্থোঽস্মি, নাহং স্বীকরোমি স্বীকরিষ্যামি বা তথাপি হৃদয়ং মে এষ এব হৃদয়ানন্দশ্চন্দ্রো যস্যানন্দরশীংশ্চকোর ইবাহং পিবামি।কোহসৌ মহানুভাবঃ কোটিসূর্যসমপ্রভঃ, অথ চ কোটিচন্দ্রসুশীতলো রাজতে ধরাতলে? অথবা ক্ষণিকঃ, ক্ষণিক এব মে চিত্তবিকারঃ? মানবশরীরে ভাগবতসত্তারোপং নাহং কদাপি স্বীকরিষ্যামি। ধিঙ্ মম বিদ্যাং যদিত্থমপপ্রলাপমিবাহং কৃতবান্, ধিঙ্ মাম্।
নরেন্দ্রনাথ— (স্বগতভাবে) আঃ, কেন আমি নিজেকে সংযত করতে পারছি না। আমি মানতে পারছি না বা ভবিষ্যতেও মানতে পারব না, তবুও, আমার হৃদয় যেন বারে বারে মনে করিয়ে দিচ্ছে এই সেই আনন্দ-জাগানো চন্দ্র যার আনন্দরশ্মি আমি চকোর পাখির মতো পান করছি। এই মহানুভাব মানুষটি কে যিনি কোটি সূর্যের সমান দীপ্তিমান অথচ ধরাতলে কোটি চন্দ্রের মতো সুশীতল হয়ে বিরাজ করছেন? নাকি আমার মুহুর্তের এই চিত্তবিকার! মানবশরীরে ভগবানের সত্তা আরোপ আমি কখনও মানতে পারব না। আমার বিদ্যা, শিক্ষাকে ধিক্, যে আমি এইভাবে অনর্থক প্রলাপের মতো বলে চলেছিলাম, আমাকে ধিক্ ।
श्रीरामकृष्णः — (स्वगतम्) निवारिता मम दीर्घपिपासा श्रेष्ठभक्तसन्तानवदनकमलनिरीक्षणेन, एष एव मम सर्वशुभङ्करसदाशिव आकर्णविस्तृतनयनेन्दीवरो भुजयुगनिन्दित-करिकर- युगधारी व्यूढोरस्कः सदाशिवः अधुना सुरेन्द्रेण सह समायातः । अहो ! आनन्दविह्वलः किमहं करिष्यामि ! (आनन्देननृत्यति)
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — (স্বগতম্) নিবারিতা মম দীর্ঘপিপাসা শ্রেষ্ঠভক্তসস্তানবদনকমলনিরীক্ষণেন, এষ এব মম সর্বশুভঙ্করসদাশিব আকর্ণবিস্তৃতনয়নেন্দীবরো ভুজযুগনিন্দিতকরিকরযুগধারী ব্যূঢ়োরস্কঃ সদাশিবঃ অধুনা সুরেন্দ্রেণ সহ সমায়াতঃ। অহো ! আনন্দবিহ্বলঃ কিমহং করিষ্যামি। (আনন্দেন নৃত্যতি)
শ্রীরামকৃষ্ণ— (স্বগতভাবে) শ্রেষ্ঠ ভক্তসন্তানের মুখপদ্ম দেখে আমার দীর্ঘদিনের পিপাসা মিটেছে। এই আমার বিশ্বকল্যাণকর সদাশিব, এর নয়নপদ্ম আকর্ণবিস্তৃত, হাতির শুঁড়কেও হার মানায়, এমন এর বাহু দুটি, বিস্তৃত-বক্ষ সদাশিব এই তো সুরেন্দ্রের সাথে এসেছে। আঃ! আমি আনন্দবিহ্বল, আমি কী করব ? (আনন্দে নাচতে লাগলেন)
नरेन्द्रनाथ: — (स्वगतम्) कथमुन्मत्त इव नरीनृत्यमान एष जनो मम हृदयं पर्याकुलयति । अथवैष मम चित्तस्य भ्रमः ।
নরেন্দ্রনাথঃ — (স্বগতম) কথমুন্মত্ত ইব নরীনৃত্যমান এষ জনো মম হৃদয়ং পর্যাকুলয়তি। অর্থবৈষ মম চিত্তস্য ভ্রমঃ।
নরেন্দ্রনাথ— (স্বগতভাবে) কেন পাগলের মতো উদ্দাম নৃত্যরত এই লোকটা আমার হৃদয়কে আকুল করছে। না কি, এটা আমার চিত্তের ভ্রম।
सुरेन्द्रः — भगवन्! व्यामोह इव मम समुपजातो यदहमेनं नरेन्द्र पितृपरिचयादिक्रमेण भवत्सकाशे नासादितवान्।
সুরেন্দ্রঃ — ভগবন্ ! ব্যামোহ ইব মম সমুপজাতো যদহমেনং নরেন্দ্রং পিতৃপরিচয়াদিক্রমেণ ভবৎসকাশে নাসাদিতবান্।
সুরেন্দ্র — ঠাকুর! আমার কোথাও যেন ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে যে আমি এই নরেন্দ্রকে পিতৃপরিচয়ক্রমে আপনার কছে আনিনি।
श्रीरामकृष्णः — सुरेन्द्र। एष मम जन्मजन्मान्तरपरिचितो जनः कथं तद्दत्तपरिचयापेक्षी भवेयम्? अथवा नायमुद्वेगकारणम् (नरेन्द्रमुद्दिश्य ) नरेन्द्र! त्वन्मुखान्मातृनाम भृशं श्रोतुकामोऽस्मि । संगीतेन कुरु चित्तविनोदनम्।
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — সুরেন্দ্র ! এয মম জন্মজন্মান্তর পরিচিতো জনঃ, কথং তদ্দত্তপরিচয়াপেক্ষী ভবেয়ম? অথবা নায়মুদ্বেগকারণম্ । (নরেন্দ্রমুদ্দিশ্য) নরেন্দ্র ! ত্বন্মুখান্মাতৃনাম ভূশং শ্রোতুকামোঽস্মি। সঙ্গীতেন মম কুরু চিত্তবিনোদনম্।
শ্রীরামকৃষ্ণ— সুরেন! এ আমার জন্মজন্মান্তর ধরে পরিচিত মানুষ, কেন তোমার দেওয়া পরিচয়ের ওপর নির্ভরশীল হব? তা ছাড়া, আমি নরেন্দ্রর কোনো উদ্বেগের কারণ হব না। কেবল ওকে একটা গান করতে অনুরোধ করছি। (নরেন্দ্রর উদ্দেশ্যে) নরেন! তোমার মুখে মায়ের নাম শুনতে খুব ইচ্ছে করছে। একটা গান করে আমার মনটা জুড়িয়ে দাও।
नरेन्द्रनाथ: — जननी मयि प्रसीदतु । (गायति)
मनो निभृतं पश्य श्यामां जननीम् ।
श्मशनवासिनीं नृमुण्डमालिनीम् ।
हिमाचलनन्दिनीं विश्वपालिनीम् ।
मनो मेऽहर्निशं पश्य
जगद्धात्रीं भवबन्धहारिणीं
शक्तिस्वरूपिर्णीं जननीम् ।
নরেন্দ্রনাথঃ — জননী ময়ি প্রসীদতু। (গায়তি)
মনো নিভৃতং পশ্য শ্যামাং জননীম্।
শ্মশানবাসিনীং নৃমুণ্ডমালিনীম্।
হিমাচলনন্দিনীং বিশ্বপালিনীম্।
মনো মেঽহর্নিশং পশ্য
জগদ্ধাত্রীং ভববন্ধহারিণীং
শক্তিস্বরূপিণীং জননীম্ ।
নরেন্দ্রনাথ— আমার প্রতি প্রসন্ন হও মা। (গাইছে)
শ্মশানবাসিনী নৃমুণ্ডমালিনী হিমাচলনন্দিনী বিশ্ব পালিনী
শ্যামা জননীকে স্থির হয়ে দ্যাখ রে মন।
জগদ্ধাত্রী ভববন্ধনহারিণী
শক্তিস্বরূপিণী জননীকে
দ্যাখ রে মন আমার দিবানিশি।
श्रीरामकृष्णः — नरेन्द्र! अपूर्वः तव कण्ठस्वरः । अपरिमितञ्च तव भक्तिमाहात्म्यम्।
(स्वगतम्) जननि! देविभवतारिणि! त्वं भृशं कृपापरायणा यथैष एव वरेण्यसन्तानो देशस्य सर्वकालिमानं दूरीकर्तुं शक्नुयात्।
শ্রীরামকৃষ্ণঃ — নরেন্দ্র ! অপূর্বঃ তব কণ্ঠস্বরঃ। অপরিমিতঞ্চ তব ভক্তিমাহাত্ম্যম্।
(স্বগতম্) জননি! দেবি ভবতারিণি! ত্বং ভূশং কৃপাপরায়ণা যথেষ এর বরেণ্যসন্তানো দেশস্য সর্বকালিমানং দূরীকর্তুং শক্নুয়াৎ।
শ্রীরামকৃষ্ণ— নরেন! অপূর্ব তোমার কণ্ঠস্বর। অপরিমিত তোমার ভক্তির মাহাত্ম্য।
(স্বগত) জননী! দেবী ভবতারিণী। তুমি খুব কৃপাপরায়ণা হও যাতে এই বরেণ্য সন্তান দেশের সমস্ত কলঙ্ক দূর করতে সক্ষম হয়।
অনুরূপ পাঠ
একাদশ শ্রেণীর অন্যান্য পাঠ্যাংশগুলি জানতে নিম্নের link এ click করুন।
- ব্রাহ্মণচৌরপিশাচকথা পাঠ্যাংশ 👈
- দশকুমারচরিতম্ পাঠ্যাংশ 👈
- দশাবতারস্তোত্রম্ পাঠ্যাংশ 👈
- মেঘদূতম্ পাঠ্যাংশ 👈
- ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ
ভারতবিবেকম্ থেকে জিজ্ঞাস্য
ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ ভারতবিবেকম্ পাঠ্যাংশ
উত্তর- দৃশ্য কাব্য।
উত্তর- সংস্কৃত ভাষায়।
উত্তর- প্রথম দৃশ্য।
ধন্যবাদ
মহাভারতের ছোট প্রশ্নোত্তর তথা আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈
আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE 👈