আর্যাবর্তবর্ণনম্

আর্যাবর্তবর্ণনম্ গদ্যাংশটি দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। আর্যাবর্তবর্ণনম্ গদ্যাংশটির দেবনাগরী ও বাংলা হরফে নিচে দেওয়া হল। বাংলায় সহজ ও সাবলীল কথায় অনুবাদ করা হল। আর্যাবর্তবর্ণনম্ Text।

কবি ত্রিবিক্রমভট্টের নলচম্পুর প্রথম উচ্ছ্বাস থেকে ‘আর্যাবর্তবর্ণনম্’ পাঠ্যাংশটি নেওয়া হয়েছে। কবি নিজে এই নাম দেননি। মূল অংশ থেকে কিছু কিছু বাক্য ও শ্লোক বাদ দিয়ে পাঠ্যাংশটি একটি সম্পাদিত অংশ। আর্যাবর্তবর্ণনম্ নামটি ভাঙলে পাই আর্যাবর্তস্য বর্ণনম্ অর্থাৎ আর্যাবর্তের বর্ণনা। পাঠ্যাংশ অনুসরণ করে আমরা দেখতে পাই যে, কবি নিজেই বলেছেন “অস্তি…আর্যাবর্তো নাম দেশঃ” এবং ভঙ্গশ্লেষ অলংকার প্রয়োগ করে এই আর্যাবর্ত দেশের একটি সুন্দর সুললিত বর্ণনা দিয়েছেন। এই দেশ জল ও শস্যে মনোহর। এখানে গঙ্গা ও চন্দ্রভাগা নদী প্রবাহিত। এখানে অসুখ হয় না। এই দেশের গ্রামে গ্রামে চতুর গোয়ালাদের বাস। ঘরে ঘরে শুভ্রবর্ণা নারী, প্রভৃতি।

আর্যাবর্তবর্ণনম্’ নামক পাঠ্যাংশটি ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত ‘নলচম্পূর প্রথম উচ্ছ্বাস থেকে নেওয়া হয়েছে। মূল নলচম্পু গ্রন্থের প্রথম উচ্ছ্বাসের শুরুতে কিছু ভূমিকাত্মক শ্লোক আছে। তারপরেই শুরু হয়েছে আর্যাবর্তের বর্ণনা। এই বর্ণনার কিছু কিছু পদ, বাক্য ও শ্লোক বাদ দিয়ে নির্বাচিত পাঠ্যাংশটি প্রস্তুত করা হয়েছে। ভঙ্গশ্লেষ অলংকার প্রয়োগ করে এই আর্যাবর্ত দেশের একটি সুন্দর সুললিত বর্ণনা দিয়েছেন। এই দেশ জল ও শস্যে মনোহর। এখানে গঙ্গা ও চন্দ্রভাগা নদী প্রবাহিত। এখানে অসুখ হয় না। এই দেশের গ্রামে গ্রামে চতুর গোয়ালাদের বাস। ঘরে ঘরে শুভ্রবর্ণা নারী, প্রভৃতি। সুতরাং ‘আর্যাবর্তবর্ণনম্’ এই পাঠ্যাংশের বিষয়বস্তু অনুসারে নামকরণটি সম্পূর্ণভাবে সংগত ও সার্থক।

আর্যাবর্তবর্ণনম্ পাঠ্যাংশ

আর্যাবর্তবর্ণনম্ গদ্যাংশটি ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত নলচম্পূ নামক চম্পূ কাব্যের প্রথমোচ্ছ্বাস থেকে নেওয়া। চম্পূ কথাটির অর্থ হল গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত রচনা চম্পয়তি যোজয়তি গদ্যেপদ্যে ইতি চম্পূ।

আলোচ্য পাঠ্যাংশটিতে দশম শতাব্দীর ভারতবর্ষে আর্যাবর্ত নামে যে অঞ্চলটি বিখ্যাত ছিল তার একটি সুন্দর, সুললিত বর্ণনা পাই। আর্যাবর্তবর্ণনম্ Text

পাঠ্যাংশের নামআর্যাবর্তবর্ণনম্
উৎস গ্রন্থ নলচম্পূ
রচনাত্রিবিক্রমভট্ট
কোন অলঙ্কারে রচিত ভঙ্গশ্লেষ

পাঠ্যাংশ (দেবনাগরী হরফে)

আর্যাবর্তবর্ণনম্ Text

अस्ति समस्तविश्वम्भराभोगभास्वल्ललामलीलायमानः, समानः सेव्यतया नालोकस्य, ग्राम्यकविकथाबन्ध इव नीरसस्य मनोहरः भीम इव भारतालङ्कारभूतः, अग्रणीः सर्वविषयाणाम्, अनधीतव्याकरण इवादृष्टप्रकृतिनिपातोपसर्गलोपसवर्णविकारः, पशुपतिजटाबन्ध इव विकसितकनककमलकुवलयोच्छलितरञ्जःपुञ्जपिञ्जरितहंसावतंसया प्रचुरचलच्चकोरचक्रवाककारण्डवमण्डलीमण्डिततीरया भगीरथभूपालकीर्तिपताकया स्वर्गगमनसोपानवीथीयमानरिङ्गत्तरङ्गया गङ्गया पुण्यसलिलः प्लावितश्चन्द्रभागालंकृतैकदेशश्च शरण्यः पुण्यकारिणाम्, आरामोरामणीयककदलीवनस्य, धाम-धर्मस्य, आस्पदं सम्पदाम्, आश्रयः श्रेयसाम्, आकरः साधुव्यवहाररत्नानाम्, आचार्यभवनमार्यमर्यादोपदेशानामार्यावर्तो नाम देशः।

यस्मिन्ननवरतधर्मकर्मोपदेशशान्तसमस्तव्याधिव्यतिकराः पुरुषायुषजीविन्यः सकलसंसारसुखभाजः प्रजाः। तथा हि, स्फोटप्रवादो वैयाकरणेषु, ग्रहसंक्रान्तिर्ज्योतिः शास्त्रेषु, भूतविकारवादः सांख्येषु, गुल्मवृद्धिर्वनभूमिषु, गण्डकोत्थानं पर्वतवनभूमिषु दृश्यते न प्रजासु ।

यत्र चतुरगोपशोभिताः संग्रामा इव ग्रामाः, तुङ्गसकलभवनाः सर्वत्र नगा इव नगरप्रदेशा, सदाचरणमण्डनानि नूपुराणीव पुराणि, सदानभोगाः प्रभञ्जना इव जनाः, प्रियालपनसाराणि यौवनानीव वनानि, विटपिहिताश्चटिका इव वाटिकाः, निर्वृतिस्थानान सुकलत्राणीवेक्षुक्षेत्रसत्राणि, कुपितकपिकुलाकुलिता लङ्केश्वरकिंकरा इव भग्नकुम्भकर्णधनस्वापाः कूपाः, सतीव्रतापदोषाः सूर्यद्युतय इव कुलस्त्रियः । अपि च –

भवन्ति फाल्गुने मासि वृक्षशाखा विपल्लवाः।

जायन्ते न तु लोकस्य कदापि च विपल्लवाः ॥

यत्र सौराज्यरञ्जितमनसः सकलसमृद्धिवर्धितमहोत्सवपरम्परारम्भनिर्भराः सततमकुलीनं कुलीनाः, प्राप्तविमानमप्राप्तविमानभङ्गाः, कतिपयवसुविराजितमनेकवसवः, समुपहसन्ति स्वर्गवासिनं जनं जनाः। कथं चासौ स्वर्गान्न विशिष्यते। यत्र गृहे गृहे गौर्यः स्त्रियः, महेश्वरो लोकः, सश्रीका हरयः, पदे पदे धनदाः सन्ति लोकपालाः। केवलं न सुराधिपो राजा। न च विनायकः कश्चित्।

किं बहुना –

देशः पुण्यतमोद्देशः कस्यासौ न प्रियो भवेत्।

युक्तोऽनुक्रोशसम्पन्नैर्यो जनैरिव योजनैः ॥

আর্যাবর্তবর্ণনম্ (বাংলা হরফে)

অস্তি সমস্তবিশ্বম্ভরাভোগভাস্বল্ললামলীলায়মানঃ, সমানঃ সেব্যতয়া নালোকস্য, গ্রাম্যকবিকথাবন্ধ ইব নীরসস্য মনোহরঃ, ভীম ইব ভারতালঙ্কারভূতঃ, অগ্রণীঃ সর্ববিষয়াণাম্, অনধীতব্যাকরণ ইবাদৃষ্টপ্রকৃতিনিপাতোপসর্গলোপসবর্ণবিকারঃ, পশুপতিজটাবন্ধ ইব বিকসিতকনককমলকুবলয়োচ্ছলিতরজঃ- পুঞ্জপিঞ্জরিতহংসাবতংসয়া প্রচুরচলচ্চকোরচক্রবাককারণ্ডবমণ্ডলীমণ্ডিততীরয়া ভগীরথভূপালকীর্তিপতাকয়া স্বর্গগমনসোপানবীথীয়মানরিঙ্গত্তরঙ্গয়া গঙ্গয়া পুণ্যসলিলঃ, প্লাবিতশ্চন্দ্রভাগালঙ্কৃতৈকদেশশ্চ শরণ্যঃ পুণ্যকারিণাম, আরামোরামণীয়ককদলীবনস্য, ধাম ধর্মস্য, আস্পদং সম্পদাম, আশ্রয়ঃ শ্রেয়সাম, আকরঃ সাধুব্যবহাররত্নানাম, আচার্যভবনমার্যমর্যাদোপদেশানামার্যাবর্তো নাম দেশঃ।

যস্মিন্ননবরতধর্মকর্মোপদেশশান্তসমস্তব্যাধিব্যতিকরাঃ পুরুষায়ুষজীবিন্যঃ সকলসংসারসুখভাজঃ প্রজাঃ। তথা হি স্ফোটপ্রবাদো বৈয়াকরণেষু, গ্রহসংক্রান্তির্জ্যোতিঃশাস্ত্রেষু, ভূতবিকারবাদঃ সাংখ্যেষু, গুল্মবৃদ্ধিবনভূমিষু, গণ্ডকোত্থানং পর্বতবনভূমিষু দৃশ্যতে ন প্রজাসু।

যত্র চতুরগোপশোভিতাঃ সংগ্রামা ইব গ্রামাঃ, তুঙ্গসকলভবনাঃ সর্বত্র নগা ইব নগরপ্রদেশাঃ, সদাচরণমণ্ডনানি নূপুরাণীব পুরাণি, সদানভোগাঃ প্রভঞ্জনা ইব জনাঃ, প্রিয়ালপনসারাণি যৌবনানীর বনানি, বিটপিহিতাশ্চটিকা ইব বাটিকাঃ, নিবৃত্তিস্থানানি সুকলত্রাণীবেক্ষুক্ষেত্রসত্রাণি, কুপিতকপিকুলাকুলিতা লঙ্কেশ্বরকিংকরা ইব ভগ্নকুম্ভকর্ণধনস্বাপাঃ কৃপাঃ, সতীব্রতাপদোষাঃ সূর্যদ্যুতয় ইব কুলস্ক্রিয়ঃ। অপিচ-

ভবস্তি ফাল্গুনে মাসি বৃক্ষশাখা বিপল্লবাঃ।

জায়ন্তে ন তু লোকস্য কদাপি চ বিপল্লবাঃ।।

যত্র সৌরাজ্যরঞ্জিতমনসঃ সকলসমৃদ্ধিবর্ধিতমহোৎসবপরম্পরারম্ভনির্ভরাঃ, সততমকুলীনং কুলীনাঃ, প্রাপ্তবিমানমপ্রাপ্তবিমানভঙ্গাঃ, কতিপয়বসুবিরাজিতমনেকবসবঃ, সমুপহসস্তি স্বর্গবাসিনং জনং জনাঃ।

কথং চাসৌ স্বৰ্গান্ন বিশিষ্যতে। যত্র গৃহে গৃহে গৌর্যঃ স্ত্রিয়ঃ, মহেশ্বরো লোকঃ, সশ্রীকা হরয়ঃ, পদে পদে ধনদাঃ সত্তি লোকপালাঃ। কেবলং ন সুরাধিপো রাজা। ন চ বিনায়কঃ কশ্চিৎ। কিং বহুনা –

দেশঃ পুণ্যতমোদ্দেশঃ কস্যাসৌ ন প্রিয়ো ভবেৎ।

যুক্তোংনুক্রোশসম্পন্নৈর্যো জনৈরিব যোজনৈঃ।।

বাংলায় অনুবাদ

আযাবত নামে এক দেশ আছে। এই দেশ সমস্ত পৃথিবীর ভোগ্য বস্তুর উপস্থিতিতে এবং উজ্জ্ব সৌন্দর্যে বিরাজমান, স্বর্গের মতো উপভোগ্য। গ্রাম্য কবির রচনা যেমন নীরস মানুষের কাছে মনোহর তেমনি এই দেশও ‘নীর-সস্য-মনোহরঃ’ অর্থাৎ জল ও শস্যে মনোহর। ভীম যেমন মহাভারতের অলংকার-স্বরূপ তেমনি এই দেশও ভারতবর্ষের অলংকার-স্বরূপ। এই দেশ সমস্ত সমস্ত দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য। ব্যাকরণে অজ্ঞ লোক যেমন‘ধাতু’ প্রভৃতি প্রকৃতি, ‘চ’ প্রভৃতি নিপাত, ‘প্র’ প্রভৃতি উপসর্গ, বর্ণাদির লোপ, বর্ণের বিকৃতি কাকে বলে জানে না, তেমনি এই দেশেও বংশচ্যুতি, চুরি প্রভৃতি উপদ্রব দেবদায়, ব্রহ্মদায় প্রভৃতি নিয়মের অবলুপ্তি এবং বর্ণব্যবস্থার বিচ্যুতি দেখা যায় না।

প্রস্ফুটিত স্বর্ণপদ্ম ও নীলপদ্ম থেকে ঝরে পড়া পরাগরাশিতে পীত বর্ণে রঞ্জিত হাঁসরূপ অলংকারের দ্বারা শোভিত, অনেক চঞ্চল চকোর চক্রবাক সারসের ঝাঁকে যার তীর শোভিত-, এবং রাজা ভগীরথের কীর্তিরূপ পতাকার দ্বারা নির্মিত স্বর্গে যাওয়ার সিঁড়ির ধাপের মতো আন্দোলিত ঢেউয়ে ভরা গঙ্গার পবিত্র জলে শিবের জটাজাল যেমন ধৌত হয়, ঠিক তেমনি এই দেশ অর্থাৎ ওইরকম শোভাময় গঙ্গার দ্বারা ধৌত হয়। আবার, শিবের জটাজালের এক অংশ যেমন চন্দ্রকলার দ্বারা অলংকৃত হয়েছে তেমনি এই দেশও চন্দ্রভাগা নদী এই দেশের এক অংশকে অলংকৃত করেছে। এই দেশ পুণ্যাত্মা মানুষদের আশ্রয়।

সুন্দর কলার বন দিয়ে ঘেরা বাগানে ভরা এই দেশ। এই দেশ ধর্মকর্মের পুণ্যক্ষেত্র, সম্পদের স্থান এবং কল্যাণমূলক কাজের আশ্রয়। সদ্ব্যবহাররূপ রত্নের খনি এবং আর্য-মর্যাদা উপদেশ দেওয়ার আচার্য গৃহ। এই সেই দেশ যার নাম আর্যাবর্ত।

এই আর্যাবর্ত দেশ, যেখানে সবসময় ধর্মকর্মের উপদেশের ফলে প্রজাদের সমস্ত রোগের প্রাদুর্ভাব দূর হয়ে গিয়েছে, প্রজারা মানুষেরা সর্বোচ্চ আয়ু পর্যন্ত জীবন ধারণ করেন, সমস্ত রকমের সংসারসুখ ভোগ করেন। তার কারণ—স্ফোটতত্ত্ব কেবল বৈয়াকরণদের মধ্যে আলোচিত হতে দেখা যায়, সূর্যের বিভিন্ন রাশিতে সংক্রমণ জ্যোতিঃশাস্ত্রগুলিতে দেখা যায়, পঞ্চ ভূতের বিকার সংক্রান্ত তত্ত্ব সাংখ্য দর্শনের গ্রন্থগুলিতে দেখা যায়, গুল্মের বৃদ্ধি বনভূমিতে দেখা যায়, গণ্ডারের লাফালাফি পাহাড়ের বনাঞ্চলে দেখা যায়, কিন্তু এই সমস্ত জিনিস প্রজাদের মধ্যে দেখা যায় না।

যেখানে ঘোড়ায় সাজানো যুদ্ধভূমির মতো চতুর গোয়ালাদের দ্বারা সুশোভিত অনেক গ্রাম রয়েছে। যেখানে হাতির বাচ্চারা ঘুরে বেড়ায় এমন বনাঞ্চলে ভরা উঁচু উঁচু সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলির মতো উঁচু উঁচু সব বাড়ি দিয়ে ভরতি নগরের ছোটো ছোটো জায়গাগুলো রয়েছে। যেখানে সব সময় পায়ের অলংকার হয়ে থাকা নুপুরগুলির মতো সজ্জনদের আচরণের দ্বারা অলংকৃত অনেক নগর রয়েছে। যেখানে সর্বদা আকাশচারী তুফানের মতো দান ও ভোগে রত মানুষেরা রয়েছে। যেখানে প্রিয়ার সাথে বার্তালাপের কাজই প্রধান এমন যৌবনের সময়গুলোর মতো পিয়াল আর কাঁঠাল গাছের সারিতে ভরা অনেক বন রয়েছে। যেখানে নীচ লোকদের দ্বারা পরিবৃত দাসীদের মতো গাছের জন্য উপকারী অনেক বাগান রয়েছে। যেখানে সুখের আশ্রয় মনোজ্ঞ গৃহিণীর মতো পরম তৃপ্তিদায়ী আখখেতে অনেক দানশালা রয়েছে। যেখানে ক্রুদ্ধ বানরদের দ্বারা ব্যতিব্যস্ত রাবণের অনুচরেরা যারা কুম্ভকর্ণের গাঢ় ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছিল তাদের মতো পাশে পড়ে থাকা কানাভাঙা কলসীর সাথে গভীর ও সুস্বাদু জলে পূর্ণ অনেক কুয়ো রয়েছে। যেখানে তীব্র উয়তার দোষে দুষ্ট সূর্যকিরণগুলির মতো সতীব্রত পালনের ফলে সাধী কুলনারীরা রয়েছে। আরও –

ফাল্গুন মাসে এই আর্যাবর্তে গাছের ডালগুলো পাতাশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের কখনও ছিটেফোঁটা বিপদও ঘটে না।

এখানে সুশাসনের ফলে তৃপ্ত মানসিকতায় সবরকম সমৃদ্ধিতে বেড়ে ওঠা মহোৎসবের প্রথা সব সময় মেনে কাজকর্মের অনুষ্ঠান করার ওপর নির্ভরশীল হয়ে কুলীনেরা অকুলীনকে মানে কুলহীনকে অর্থাৎ যিনি পৃথিবীতে লীন বা সম্বন্ধযুক্ত হয়ে নেই সেই স্বর্গবাসী দেবতাকে উপহাস করেন। সম্মানহানির ধাক্কা যিনি পাননি তিনি অসম্মানিত লোককে বা দেবরথ পেয়েছেন যিনি সেই স্বর্গবাসী দেবতাকে উপহাস করেন। অনেক-বসু অর্থাৎ বিপুল সম্পদশালীরা স্বল্প অর্থসম্পত্তির অধিকারীকে বা অল্প কয়েকজন বসুদের সান্নিধ্যযুক্ত দেবতাদের উপহাস করেন।

এই দেশ স্বর্গের থেকে কেন বিশিষ্ট হবে না ! যেখানে ঘরে ঘরে ফর্সা বা শুদ্ধস্বভাবা নারী, অতি সমৃদ্ধ লোকজন, চকচকে সব ঘোড়া, পদে পদে দাতা রূপে আবির্ভূত লোকপালরা। কেবল সুরাপায়ী রাজা নন, এখানে রাজার বিরোধীও কেউ নেই। এই দেশের কথা বেশি আর কী বলব—

বহু দয়ালু মানুষদের সাথে যে দেশের যোগ রয়েছে, যে দেশের ভূমি বহু যোজন বিস্তৃত, যার উত্তরের উচ্চ ভূমিতে হিমালয় সবচেয়ে পবিত্র স্থান, এমন আর্যাবর্ত দেশ কার না প্রিয়!

অনুরূপ পাঠ

নিম্নলিখিত পাঠ্যাংশগুলির অনুবাদ জানতে link এ click করুন

আর্যাবর্তবর্ণনম্ Text থেকে জিজ্ঞাস্য

1) ললাম শব্দের অর্থ কী?

অলংকার।

2) নগাঃ শব্দের অর্থ কী?

পর্বতগুলি।

3) নলচম্পূ কার রচনা?

ত্রিবিক্রম ভট্টের।
ধন্যবাদ

আমাদের www.sanskritruprekha.com সাইট Visit করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সংস্কৃতের আরো অনেক তথ্য পাওয়ার জন্য Home Page আসুন। Home Page পৌঁছানোর জন্য CLICK HERE👈

আমদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে CLICK HERE 👈

Leave a Comment