প্রত্যয় থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর দ্বাদশ শ্রেণীর SEMESTER – 4 পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। প্রত্যয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানতে হবে। সন্, যঙ্, ণিচ্, টাপ্ ও ঙীপ্ প্রত্যয় পাঠ্যে অন্তর্ভুক্ত। ব্যাকরণ থেকে ছয়/সাতটি দুই নং এর প্রশ্নের মধ্যে যেকোনো পাঁচটির প্রদত্ত নির্দেশানুসারে উত্তর করতে হবে (2 X 5 = 10)।
সংস্কৃত প্রত্যয়
অন্যান্য ভাষার মতো সংস্কৃত ভাষাতেও প্রকৃতি ও প্রত্যয় যোগে শব্দ ভান্ডার সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। অবশ্য কিছু মৌলিক শব্দও আছে।
যে-কোনো ভাষায় প্রকৃতি ও প্রতায় এই দুইয়ের যোগেই গড়ে ওঠে শব্দসম্ভার। অবশ্য কিছু মৌলিক শব্দও আছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। যাই হোক, সংস্কৃত ভাষাতে প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার, কৃৎ প্রত্যয় এবং তদিত প্রত্যয়। শব্দের সাথে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয় তাদের বলে তথিত প্রত্যয়। আর, ধাতুর সাথে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয় সেগুলি দু ধরনের। প্রথম ধরনের প্রত্যয় হল তি, তস্, অস্তি প্রভৃতি। এগুলি দিয়ে গচ্ছতি, গচ্ছতঃ, গচ্ছক্তি প্রভৃতি সমাপিকা ক্রিয়া পাওয়া যায়। আর, আরেক ধরনের প্রত্যয় হল ক্ত, ক্তবতু, তুমুন্ প্রভৃতি। এই দ্বিতীয় ধরনের প্রত্যয়গুলিকে কৃৎ প্রত্যয় বলে।
প্রত্যয় কাকে বলে
শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যেসকল বর্ণ বা বর্ণ সমষ্ঠি যুক্ত হয়ে যে নতুন নতুন শব্দ গড়ে ওঠে, তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয়ের সাহায্যেই শব্দ ভান্ডার গড়ে ওঠে।
প্রত্যয় কয় প্রকার
সংস্কৃত ভাষাতে প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার। যথা –
- কৃৎ প্রত্যয়— ধাতুর সঙ্গে যে সমস্ত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দ গঠন করে , তাকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। যেমন— সন্, যঙ্ ক্ত, ক্তবতু, তুমুন্ প্রভৃতি।
- তদ্ধিত প্রত্যয়— শব্দের উত্তর বিভিন্ন অর্থে যে সকল প্রত্যয় প্রযুক্ত হয়, তাদেরকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
SAQ প্রশ্নোত্তর
প্রত্যয় থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ দ্বাদশ শ্রেণীর SEMESTER – 4 প্রতিটি প্রশ্নের মান 2 অনুসারে বিস্তারিতভাবে সিলেবাস অনুসারে আলোচিত হল। যাদের কঠিন মনে হবে, তারা সংজ্ঞা দিতে গিয়ে কোটেশনে থাকা সংস্কৃত সূত্রটি বাদ দিয়ে দেবে।
1) প্রত্যয় কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যেসকল বর্ণ বা বর্ণ সমষ্ঠি যুক্ত হয়ে যে নতুন নতুন শব্দ গড়ে ওঠে, তাকে প্রত্যয় বলে। যেমন— অস্ + তুমুন্ = ভবিতুম্।
2) প্রত্যয় কয় প্রকার? কি কি?
উত্তর :- প্রত্যয় মূলত দুই প্রকার। যেমন— কৃৎ প্রত্যয় এবং তদ্ধিত প্রত্যয়।
3) সনন্ত ধাতু কাকে বলে?
উত্তর :- সন্ +অন্ত = সনন্ত অর্থাৎ সন্ অন্তে বা শেষে যার তাকে বলে সনন্ত। যে ধাতুর শেষে সন্ প্রত্যয় আছে তাকে সনন্ত ধাতু বলে।
4) ইচ্ছা অর্থে ধাতুর পরে কোন্ প্রত্যয় যোগ করা হয়? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- ইচ্ছা অর্থে ধাতুর পরে সন্ প্রত্যয় যোগ করা হয়। যেমন— পঠিতুম ইচ্ছতি ( পঠ্+ সন্ + লট্ তি ) = পিপঠিষতি।
5) যঙন্ত ধাতু কাকে বলে?
উত্তর :- যঙ্ +অন্ত = যঙন্ত অর্থাৎ যঙ্ অন্তে বা শেষে যার তাকে বলে যঙন্ত । যে ধাতুর শেষে যঙ্ প্রত্যয় আছে তাকে যঙন্ত ধাতু বলে।
6) যঙ্ প্রত্যয় কখন হয়? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- কোনো কাজ বারবার করা বা বেশি মাত্রায় করা বোঝালে একস্বর বিশিষ্ট এবং প্রথম বর্ণটি ব্যঞ্জনবর্ণ এমন ধাতুর পরে যঙ্ প্রত্যয় হয়। যেমন— পুনঃ পুনঃ পঠতি = পাপঠ্য়তে।
7) দৃশ্ ধাতু কখন আত্মনেপদী হয়? এ বিষয়ে পাণিনির সূত্রটি লেখ।
উত্তর :- দৃশ্ ধাতু সনন্ত হলে আত্মনেপদী হয়। এ বিষয়ে পাণিনির সূত্রটি হলো “জ্ঞা-শ্রু-স্মৃ-দৃশাং সনঃ”।
8) গমনার্থক ধাতুতে কখন যঙ্ প্রত্যয় হয়? এ বিষয়ে পাণিনির সূত্রটি লেখ।
উত্তর :- আঁকাবাঁকা ভাবে গমন বোঝাতে গমনার্থক ধাতুর উত্তর বক্র বা কুটিল গতি বোঝাতে যঙ্ প্রত্যয় হয়। এ বিষয়ে পাণিনির সূত্রটি হলো “নিত্যং কৌটিল্যে গতৌ”।
9) টাপ্ প্রত্যয় কখন হয়? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- “অজাদ্যতষ্টাপ্” অর্থাৎ অজ প্রভৃতি এবং অকারান্ত শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে টাপ্ প্রত্যয় হয়। যেমন— অজ + টাপ্ = অজা, শূদ্র + টাপ্ = শূদ্রা।
10) ঙীপ্ প্রত্যয় কখন হয়? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- “ঋন্নেভ্যো ঙীপ্” অর্থাৎ ঋকারান্ত এবং নকারান্ত শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে ঙীপ্ প্রত্যয় হয়। যেমন— কর্তৃ + ঙীপ্ = কর্ত্রী, রাজন্ + ঙীপ্ = রাজ্ঞী।
11) “বয়সি প্রথমে”বলতে কি বোঝানো হয়েছে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- বার্ধক্য ভিন্ন বয়সবাচক অকারান্ত শব্দের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে ঙীপ্ প্রত্যয় হয়। যেমন— কুমার + ঙীপ্ = কুমারী, তরুণ + ঙীপ্ = রাজ্ঞী।
12) “দ্বিগোঃ”বলতে কি বোঝানো হয়েছে? উদাহরণ দাও।
উত্তর :- অকারান্ত দ্বিগু সমাসের উত্তর স্ত্রীলিঙ্গে ঙীপ্ প্রত্যয় হয়। যেমন— পঞ্চবটী, ত্রিলোকী, ত্রিপদী ইত্যাদি।
13) নিম্নলিখিত শব্দগুলির স্ত্রীলিঙ্গের ।
উত্তর :-
| পুংলিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
| ধারক | ধরিকা |
| দদৎ | দদতী |
| গচ্ছৎ | গচ্ছন্তী |
| শ্বন্ | শুনী |
অনুরূপ পাঠ
প্রত্যয় থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর এর মতো SEMESTER – 4 এর অনুরূপ পাঠগুলি জানতে নিম্নের Link এ Click করে জেনে নাও—
