বনেচরভাষণম্ থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর দ্বাদশ শ্রেণীর SEMESTER – 4 পাঠ্য হিসেবে নির্দিষ্ট। এখান থেকে SAQ ধরণের প্রশ্ন আসবে। গদ্য, পদ্য ও নাটক মিলিয়ে পূর্ণমান 20 (2 X 3 + 2 X 2 + 5 X 2)।
কালিদাসোত্তর কবিদের মধ্যে ‘কিরাতার্জুনীয়ম্’ মহাকাব্যের রচয়িতা মহাকবি ভারবি অসামান্য জনপ্রিয়তা এবং অসাধারণ কবিপ্রতিভার অধিকারী। ভরবীর অপর নাম ছিল দামোদর। তাঁর পিতার নাম ছিল নারায়ণস্বামী। ‘কিরাতার্জুনীয়ম্’ কাব্যের মৌলিক উপাদান ‘মহাভারতে’র বনপর্ব বা শিবপুরাণ, কবির কল্পনার জালখানি বিস্তারিত হয়ে দীর্ঘ আঠারোটি সর্গে সন্নিবেশিত রয়েছে। এই মহাকাব্যের প্রথম সর্গের নাম ‘বনেচরাগমন’। প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে ‘বনেচরভাষণে’র দশটি শ্লোক। পাণ্ডবদের বনবাসকালে দুর্যোধনের রাজ্যশাসন পদ্ধতি জানার জন্য যুধিষ্ঠির কর্তৃক নিযুক্ত এক বনেচর গুপ্তচর ব্রহ্মচারীর ছদ্মবেশে দুর্যোধনের রাজ্যশাসন সম্বন্ধীয় সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হয়ে দ্বৈতবনে ফিরে এসে যুধিষ্ঠিরের কাছে সমস্ত তথ্য যথাযথ নিবেদন করেন। তারই সুভাষিত সংগ্রহ এই ‘বনেচরভাষণম্’।
‘কিরাতার্জুনীয়ম্’ মহাকাব্যে রয়েছে যেমন গুরুগম্ভীর নীতিবিজ্ঞান, কূট রাজনীতি এবং ওজোগুণসম্পন্ন বীরধর্ম তথা ক্ষাত্রধর্ম সম্পর্কে দীর্ঘ ও সুষ্ঠু আলোচনায় কবি তাঁর বৈদগ্ধের স্বাক্ষর রেখেছেন, তেমন অপরদিকে বন, পর্বত প্রভৃতি নিসর্গদৃশ্য বর্ণনার অবসরে নিখুঁত কথাচিত্র এঁকেছেন। দেবী শ্রী বা লক্ষ্মীর প্রতি মহদাকর্ষণস্বরূপ কবি ভারবির কাব্যের প্রতিসর্গের প্রথমাংশে প্রথম শ্লোকের আদিতে শ্রী এবং প্রতিসর্গের শেষের শ্লোকে লক্ষ্মীকে আশ্রয় করেছেন। এর দ্বারা তাঁর কবিত্বশক্তি নৈপুণ্যে পর্যবসিত হয়েছে। তিনি ছিলেন শব্দকৌশলী বা শব্দ যাদুকর, অর্থগৌরবে ভারবি শ্রেষ্ঠ- ‘ভারবেরর্থগৌরবম্’। মল্লিনাথ তাঁর কাব্যের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘নারিকেলফলসম্মিতং বচো ভারবেঃ’।
বনেচরভাষণম্
বনেচরভাষণম্ পাঠ্যাংশ টি বিষয়ে একনজরে কয়েকটি তথ্য।
| পাঠ্যাংশের নাম | বনেচরভাষণম্ |
| রচনা | ভারবি |
| উৎস গ্রন্থ | কিরাতার্জুনীয়ম্ |
| পাঠ্যাংশটি কোন্ সর্গ থেকে নেওয়া | প্রথম সর্গ |
| কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যের সর্গ সংখ্যা | 18 টি |
SAQ প্রশ্নোত্তর
বনেচরভাষণম্ থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ দ্বাদশ শ্রেণীর SEMESTER – 4 প্রতিটি প্রশ্নের মান 2 অনুসারে বিস্তারিতভাবে সিলেবাস অনুসারে আলোচিত হল।
1) “বনেচরভাষণম্” পদ্যাংশটির উৎস কী?
উত্তর :- “বনেচরভাষণম্” পদ্যাংশটি মহাকবি ভারবি রচিত “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যের প্রথম সর্গ থেকে নেওয়া হয়েছে।
2) “বনেচরভাষণম্” পদ্যাংশটির কোন্ গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে? গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর :- “বনেচরভাষণম্” পদ্যাংশটি “কিরাতার্জুনীয়ম্” গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে। গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন মহাকবি ভারবি।
3) ভারবি অন্য কী নামে পরিচিত অথবা তাঁর ছদ্ম নাম কী?
উত্তর :- ভারবি অন্য দামোদর, ছত্রভারবি ও আতপত্রভারবি নামে পরিচিত।
4) “কিরাতার্জুনীয়ম্” গ্রন্থের রচয়িতা কে? এর কোন্ সর্গ তোমাদের পাঠ্য?
উত্তর :- “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যের রচয়িতা হলেন মহাকবি ভারবি। এই গ্রন্থের প্রথম সর্গ আমাদের পাঠ্য।
5) “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যটি কয়টি সর্গে রচিত? এই কাব্যের নায়ক কে?
উত্তর :- “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যটি 18 টি সর্গে রচিত। এই কাব্যের নায়ক হলেন অর্জুন।
6) “কিরাতার্জুনীয়ম্” কি ধরনের কাব্য? “কিরাতার্জুনীয়ম্” গ্রন্থের উৎস কি?
উত্তর :- “কিরাতার্জুনীয়ম্” হল মহাকাব্য। কিরাতার্জুনীয়মের উৎস হলো মহাভারতের বনপর্ব।
7) “কিরাতার্জুনীয়ম্” গ্রন্থের প্রসিদ্ধ টীকাকার ও তাঁর টীকার নাম কি?
উত্তর :- “কিরাতার্জুনীয়ম্” গ্রন্থের প্রসিদ্ধ টীকাকারের নাম মল্লিনাথ ও তাঁর টীকার নাম ‘ঘণ্টাপথ’।
8) ভারবি কোন্ উপাধিতে ভূষিত? তিনি কোন্ শিলালেখে কালিদাসের সঙ্গে উল্লিখিত হয়েছেন?
উত্তর :- ভারবি ‘ছত্রভারবি’ উপাধিতে ভূষিত। তিনি আইহোল শিলালিপিতে কালিদাসের সঙ্গে উল্লিখিত হয়েছেন।
9) ভারবির কাব্যশৈলী সম্বন্ধে কি খ্যাতি আছে বা প্রসিদ্ধ বৈশিষ্ঠ্যটি কি? টীকাকার মল্লিনাথ ভারবির কাব্যকে কোন্ ফলের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর :- ভারবি কাব্যের খ্যাতি বা প্রসিদ্ধ বৈশিষ্ঠ্যটি হলো ‘ভারবেরর্থ গৌরবম্’ অর্থাৎ ভারবির অর্থ গৌরব। টীকাকার মল্লিনাথ ভারবির কাব্যকে নারিকেল ফলের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
10) যুধিষ্ঠির কোন্ বনে বনবাস করছিলেন? তিনি কাকে চর হিসেবে পাঠিয়েছিলেন?
উত্তর :- যুধিষ্ঠির দ্বৈতবনে বনবাস করছিলেন। তিনি ব্রহ্মচারী বেশধারী এক কিরাতকে চর হিসেবে পাঠিয়েছিলেন
11) যুধিষ্ঠির বনেচরকে কোথায় পাঠিয়েছিলেন? চর বা ভৃত্যের কর্তব্য কি?
উত্তর :- যুধিষ্ঠির বনেচরকে হস্তিনাপুরে পাঠিয়েছিলেন। কার্যে নিযুক্ত ভৃত্যদের চারচক্ষু প্রভুগণকে প্রতারণা করা উচিত নয়।
12) “यमयुक्त वेदितुम्”— ‘यम्’ পদের দ্বারা কার কথা বলা হয়েছে? তাকে কী জানার জন্য যুক্ত করা হয়েছিল?
উত্তর :- প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে ‘যম্’ পদের দ্বারা বনেচরকে বোঝানো হয়েছে।
কুরুরাজ দুর্যোধনের রাজলক্ষ্মী প্রতিষ্ঠার মূলস্বরূপ প্রজাদের প্রতি তার ব্যবহার জানার জন্য বনেচরকে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
13) বনেচর কী বেশ ধারণ করে হস্তিনাপুরে গিয়েছিলেন? এই বেশ ধারণের কারণ কি?
উত্তর :- বনেচর ব্রহ্মচারীর বেশ ধারণ করে হস্তিনাপুরে গিয়েছিলেন। কারণ ব্রহ্মচারীর বেশ ধারণ করলে, তাকে গুপ্তচর বলে কেউ সন্দেহ করবে না।
14) তথ্য নিবেদন করার পূর্বে বনেচর ক্ষমা প্রার্থনা করলেন কেন?
উত্তর :- রাজকার্যে নিয়োজিত বনেচরের যথার্থ তথ্য পরিবেশন করা উচিত। কিন্তু সেই তথ্য অনেকক্ষেত্রে যুধিষ্ঠিরের অপ্রিয় মানে হতে পরে, তাই সত্যভাষণের পূর্বে তিনি প্রথমেই ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
15) “स वर्णिलिङ्गी”— এখানে ‘वर्णिलिङ्गी’ (বর্ণিলিঙ্গী) কে?
উত্তর :- ‘বর্ণিলিঙ্গী’ শব্দের অর্থ ব্রহ্মচারীর বেশধারী। এখানে বর্ণিলিঙ্গী হলো যুধিষ্ঠিরের নিযুক্ত দূত কিরাত।
16) “कुरूणामधिपस्य”— এখানে কার কথা বলা হয়েছে? তিনি কাকে জয় করতে চান? ‘कुरूणामधिपस्य’ পদটির সন্ধি বিচ্ছেদ কর।
উত্তর :- এখানে দুর্যোধনের কথা বলা হয়েছে। তিনি যুধিষ্ঠিরকে জয় করতে চান। পদটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে হবে কুরূণাম্ + অধিপস্য।
17) “জিহ্মঃ” পদটির অর্থ কি? কাকে জিহ্ম বলা হয়েছে?
উত্তর :- “জিহ্মঃ” পদটির অর্থ কুটিল। দুর্যোধনকে জিহ্ম বলা হয়েছে।
18) “चारचक्षुषो न वञ्चनीयाः”— ‘চারচক্ষু’ কে? কারা মিথ্যা প্রিয়বাক্য বলেন না?
উত্তর :- রাজাদের ‘চারচক্ষু’ বলা হয়েছে। হিতৈষী ব্যক্তিরা মিথ্যা প্রিয়বাক্য বলেন না।
19)’চারচক্ষু’ কাদের বলা হয়েছে? এর অর্থ কী?
উত্তর :- রাজা হলেন চারচক্ষু।
রাজা গুপ্তচরদের দ্বারা নিজরাজ্যে ও পররাজ্যে নিযুক্ত চরদের নিকট থেকে তথ্য নিয়েই রাজকর্ম সম্পাদন করেন।
20) “सदानुकूलेषु हि कुर्वते रतिं नृपेष्वमात्येषु च सर्वसंपदः”— কথাটি কে কাকে বলেছে? ‘नृपेष्वमात्येषु’ পদটির সন্ধি বিচ্ছেদ কর।
উত্তর :- উদ্ধৃত উক্তিটি যুধিষ্ঠিরের নিযুক্ত দূত ব্রহ্মচারী বেশধারী বনেচর যুধিষ্ঠিরকে বলেছেন। পদটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলে হবে নৃপেষু + অমত্যেষু।
21) “न विव्यथे तस्य मनः”— কথাটি কার সম্পর্কে বলেছে? ব্যাথা না পাওয়ার কারণ কি?
উত্তর :- উদ্ধৃত উক্তিটি যুধিষ্ঠিরের নিযুক্ত দূত ব্রহ্মচারী বেশধারী বনেচর সম্পর্কে এই কথাটি বলা হয়েছে।
বনেচর রাজার হিতৈষী, আর হিতৈষীগণ মিথ্যা প্রিয়বাক্য বলেন না। তাই যুধিষ্ঠিরকে তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে গিয়ে বনেচর মনে ব্যাথা পায় না।
22) “क्व भूपतीनां चरितं क्व जन्तवः।”— কথাটি কে কাকে বলেছে?
উত্তর :- উদ্ধৃত উক্তিটি যুধিষ্ঠিরের নিযুক্ত দূত ব্রহ্মচারী বেশধারী বনেচর যুধিষ্ঠিরকে বলেছেন।
23) “क्व भूपतीनां चरितं क्व जन्तवः।”— উদ্ধৃতাংশে দুবার ‘ক্ব’ শব্দের ব্যবহারের কারণ কী?
উত্তর :- উদ্ধৃতাংশে দুবার ‘ক্ব’ শব্দের ব্যবহারের কারণ হলো রাজাদের চরিত্র ও বনেচরের মত -এর মধ্যে অত্যন্ত পার্থক্য বোঝানো হয়েছে।
24) ‘किंसखा’ (কিংসখা) ও ‘किंप्रभु’ (কিংপ্রভু) পদদুটির অর্থ কী?
উত্তর :- কিংসখা পদটির অর্থ কুৎসিত সখা বা দুর্মন্ত্রী এবং কিংপ্রভু পদটির অর্থ কুৎসিত প্রভু।
25) কিংসখা বা মন্দ বন্ধু কে ও কিংপ্রভু বা কুৎসিত প্রভু কে?
উত্তর :- যে মন্ত্রী রাজাকে হিত উপদেশ দেন না, তিনি কিংসখা বা মন্দ বন্ধু। আর যে রাজা মন্ত্রীর হিত উপদেশ গ্রহণ করেন না , তাঁকে কিংপ্রভু বা কুৎসিত প্রভু বলা হয়।
26) কিংসখা বা কুৎসিত বন্ধু কে? কিংপ্রভু বা কুৎসিত প্রভুই বা কে?
উত্তর :- যিনি নৃপতিকে হিতকর উপদেশ দেন না তিনি কুৎসিত সখা। আবার যে রাজা (প্রভু) হিতকারী মন্ত্রীর বাক্য শোনেন না তিনি কুৎসিত প্রভু।
27) “तवानुभावोऽयमवेदि यन्मया”— কথাটি কে কাকে বলেছে? সে কি জানতে পেরেছিল?
উত্তর :- উদ্ধৃত কথাটি যুধিষ্ঠিরের নিযুক্ত দূত ব্রহ্মচারী বেশধারী বনেচর যুধিষ্ঠিরকে বলেছিল। সে শত্রু দুর্যোধনের নিগূঢ় নীতিমার্গ জানতে পেরেছিল।
28) “न बाधतेऽस्य त्रिगणः परस्परम्”— কথাটি কে কার সম্পর্কে বলেছে? ‘त्रिगणः’ (ত্রিগণঃ) কি?
উত্তর :- দুর্যোধনের সম্পর্কে বনেচর এই কথাটি বলেছেন। ‘ত্রিগণ’ বা ত্রিবর্গ বলতে ধর্ম, অর্থ ও কাম তিনটিকে যুগপৎ বোঝায়।
29) দুর্যোধন কিভাবে ত্রিগণের সেবা করছেন?
উত্তর :- দুর্যোধন যথাযথভাবে বিচার করে পক্ষপাতহীন হয়ে শ্রদ্ধাসহকারে অনাসক্তভাবে ত্রিগণের সেবা করছেন।
30) রাজার হিতৈষীদের আচরণ কিরূপ হবে? জগতে কিরূপ বাক্য দুর্লভ?
উত্তর :- রাজার হিতৈষীদের বাক্য কখনও অপ্রিয় সত্য হবে না। “হিতং মনোহারি চ দুর্লভং বচঃ” অর্থাৎ জগতে মনোহর অথচ হিতকর বাক্য দুর্লভ।
31) “तवानुभावोऽयम्”— কথাটি কে কার? ‘तव’ (তব) পদের দ্বারা কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর :- আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলো বনেচর। ‘তব’ পদের দ্বারা যুধিষ্ঠিরকে বোঝানো হয়েছে।
32) ত্রিগণ কি? দুর্যোধন কিভাবে ত্রিগণের সেবা করতেন?
উত্তর :- ধর্ম, অর্থ ও কামকে ত্রিগণ বলা হয়েছে।
দুর্যোধন ধর্ম, অর্থ ও কামকে সমানভাবে সেবা করে চলেছেন। ফলে কেউ কারো দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত না হওয়ায় ধর্ম, অর্থ ও কাম দুর্যোধনকে মধুর বন্ধুত্ব দান করছে।
33) দুর্যোধনের সেবার ফলে ত্রিবর্গের মধ্যে কী ঘটেছিল?
উত্তর :- দুর্যোধনের সেবার ফলে ত্রিবর্গের মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে সখ্য স্থাপন করেছিল এবং কেউ কারও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
34) দুর্যোধন কিভাবে যশ বিস্তার করছেন?
উত্তর :- দুর্যোধন প্রজাদের প্রতি মধুর ব্যবহার করছেন। তার মধুর ব্যবহার কখনও দানশূন্য হয় না। তিনি গুণের বিচার করে দান করছেন। যুধিষ্ঠিরকে জয় করার ইচ্ছায় গুণসম্পদ দ্বারা নির্মল যশ বিস্তার করছেন।
35) “प्रवृत्तिसाराः खलु मादृशां गिरः”— উক্তিটি কার? বাক্যে কী স্বীকার করা হয়েছে?
উত্তর :- আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলো বনেচর। দূতের বক্তব্য কার্যকারণ নির্ধারন করে না, শুধু তথ্য দেয়।
36) “प्रवृत्तिसाराः खलु मादृशां गिरः”— ‘मादृशाम्’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর :- এখানে ‘মাদৃশাম্’ বলতে গুপ্তচরদের বোঝানো হয়েছে। যারা গোপনে তথ্য বা সংবাদ সংগ্রহ করে রাজাকে জানায়। অর্থাৎ তারা সংবাদবাহক হিসেবে কর্তব্য পালন করে।
37) রাজাকে প্রতারণা করা উচিত নয় কেন?
উত্তর :- রাজাকে প্রতারণা করা উচিত নয়, কারণ রাজা গুপ্তচরের মাধ্যমে সমস্ত গোপন তথ্য জানতে পারেন।
অনুরূপ পাঠ
বনেচরভাষণম্ থেকে SAQ প্রশ্ন ও উত্তর এর মতো SEMESTER – 4 এর অনুরূপ পাঠগুলি জানতে নিম্নের Link এ Click করে জেনে নাও—
